img

ভারতের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত :  ১৮:০৫, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এসেও পাল্টায়নি টাইগারদের ব্যাটিংয়ের সেই চিত্র। টপ অর্ডার ব্যর্থতায় ৩৫ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করেছেন তাওহিদ হৃদয়। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দল। অল্প পুঁজি নিয়েও ভালোই লড়াই করেছেন স্পিনাররা। তবে শেষ হাসিটা ভারতই হেসেছে।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২২৮ রান তুলে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেছেন হৃদয়। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন জাকের। ভারতের হয়ে ৫৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ শামি। জবাবে খেলতে নেমে ৪৬ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

ব্যাটিংয়ের শুরুটা বাংলাদেশ যতটা খারাপ করেছিল, বোলিংয়ের শুরু হয়েছে তার চেয়েও খারাপ। নতুন বলেও ধারহীন ছিলেন তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানরা। তাদের সাদা-মাটা বোলিংয়ের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল। তাতে ৮ ওভারেই দলীয় ফিফটি স্পর্শ করে ভারত।

শুরুর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে ইনিংসে প্রথমবার সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। দশম ওভারের পঞ্চম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ভালো লেংথে করেছিলেন তাসকিন। সেখানে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি রোহিত। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় কভার পয়নেটের দিকে, সেখানে খানিকটা পেছনের দিকে সরে সহজ ক্যাচ নিয়েছনে রিশাদ। 

রোহিত ফেরার পর ভারতের রানের লাগাম টেনে ধরেন রিশাদ হসেন-মেহেদি হাসান মিরাজরা। উইকেটে এসে শুরু থেকেই দেখে-শুনে খেলছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু এই টপ অর্ডার ব্যাটার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ইনিংসের ২৩তম ওভারে রিশাদের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা সৌম্যের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন কোহলি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ২২ রান।

সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন। চারে নেমে ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২৮তম ওভারে ফিজের অফ-কাটার বুঝতে না পেরে বৃত্তের মধ্যেই ক্যাচ দিয়েছেন আইয়ার।

অক্ষর প্যাটেলকে রাহুলের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। পরিকল্পনা ছিল, দ্রুত রান তুলে দেবেন এই ব্যাটার। তবে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছেন রিশাদ। এই লেগিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন অক্ষর, ফিরতি ক্যাচ নিয়েছেন রিশাদ নিজেই। ৮ রান করে অক্ষর ফেরায় দেড়শর আগে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। তাতে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

এরপর রাহুলও দ্রুত ফিরতে পারতেন। থিতু হওয়ার আগেই ক্যাচ দিয়েছিলেন এই ব্যাটার। তবে জাকের আলি সেই সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। সেই সঙ্গে ম্যাচ থেকেও ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।

রাহুলের সঙ্গে গিলের অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের জুটিতে আর কোনো বিপদ ছাড়াই জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত। ১২৯ বলে অপরাজিত ১০১ রান করেছেন গিল। আর রাহুলের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৪১ রান।

বাংলাদেশের হয়ে ৩৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারকে হারায় টাইগাররা। ইনফর্ম এই ব্যাটার ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। মোহাম্মদ শামির করা ওভারের শেষ বলটি অফ স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরে ছিল। সেখানে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি। ব্যাটের ভেতরের দিকের কানায় লেগে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে।

প্রথম ওভারেই উইকেট হারানো বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল তিনে নামা শান্তর দিকে। তবে হতাশ করেছেন অধিনায়ক। সৌম্যের পথ ধরেই ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পেয়েছেন হারষিত রানা। চতুর্থ বলটি আউটসুইং করেছিলেন এই পেসার, সেখানে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট কভারে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়েন শান্ত।

২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তানজিদ তামিম। তবে চারে নেমে সুবিধা করতে পারলেন না মিরাজ। শামির করা সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আরো বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় কাট করতে গিয়ে স্লিপে শুবমান গিলের হাতে ধরা পড়েন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে ১০ বলে ৫ রান করেছেন তিনি।


img

মেসির জোড়া গোলে টানা পঞ্চম জয় মায়ামির

প্রকাশিত :  ০৭:৫৫, ১৩ জুলাই ২০২৫

অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে প্রথমে দলকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। বিরতির পরপরই লড়াইয়ে ফেরে প্রতিপক্ষ ন্যাশভিলে। এরপর আবার মেসির ঝলক। তাতে লিগে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিলো ইন্টার মায়ামি।

আজ রোববার (১৩ জুলাই) ভোরে আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া গোলে ভর করে ন্যাশভিলে এসসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মায়ামি।

গত ম্যাচেই এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোল করার ইতিহাস গড়েন মেসি। এবার সেই সংখ্যাকে তিনি পাঁচে বাড়িয়ে নিলেন। এ নিয়ে মন্ট্রিয়েল, কলম্বাস ক্রু, আবার মন্ট্রিয়ল, নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলুশন এবং ন্যাশভিলের বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচেই করলেন জোড়া গোল।

ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপত্য দেখায় মায়ামি। তবে অষ্টম মিনিটে জোড়া সুযোগ মিস করে হতাশায় পোড়ান তাদেও আয়েন্দে ও লুইস সুয়ারেজ। ১৫তম মিনিটে বক্সে বেঞ্জামিন ক্রেমাসচির হেড রুখে দেন ন্যাশভিলের গোলরক্ষক জো উইলিস। 

একের পর এক ব্যর্থতার পর অবশেষে ১৭তম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে সাফল্য পায় মায়ামি। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তার বাঁকানো নিচু শট জড়ায় জালে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগান পাননি উইলিস।

একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত থাকা ন্যাশভিলে লড়াইয়ে ফেরে বিরতির পর। ৪৯তম মিনিটে ডানপ্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে বক্সের বাইরে থেকে ক্রস নেন ডিফেন্ডার অ্যান্ডি নাজার। গোলমুখে বল পেয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন হ্যানি মুখতার। তাতে সমতায় ফেরে ন্যাশভিলে।

তবে গোলরক্ষক উইলিসের ভুলে বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারেনি তারা। ৬২তম মিনিটে সতীর্থের ব্যাকপাস বুকে নিয়ে ফের সতীর্থকে দিতে গিয়ে মেসিকে দিয়ে বসেন উইলিস। ডি-বক্স লাইনে বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগান আর্জেন্টাইন তারকা। ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে গোলরক্ষককে পরাস্ত করার পর ন্যাশভিলের আরেক ডিফেন্ডারের বাধা অতিক্রম করে গোল আদায় করে নেন মেসি। 

আর এ গোলেই নির্ধারণ হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। যদিও সমতায় ফেরার দুটো সুযোগ পেয়েছিল ন্যাশভিলে। কিন্তু তারা সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। তাতে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি।

এ জয়ে ১৯ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে অবস্থান করছে মায়ামি। তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে শীর্ষে উঠে আসার। ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।