img

স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবার মান ও দাম নিয়ে গণশুনানির আহ্বান

প্রকাশিত :  ১০:৩০, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবার মান ও দাম নিয়ে গণশুনানির আহ্বান

বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার মান ও মূল্য কত হবে এবং কীভাবে সেবা দেবে, সে বিষয়ে গণশুনানির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশ।

আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের এবং সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক স্যাটেলাইট বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসিতে আবেদন জমা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। খুব সম্ভবত আগামী মাসেই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে পারে। কিন্তু এই স্যাটেলাইট সেবার ধরন, মান, গ্রাহকের খরচের পরিমাণ, ব্যবহারের পরিমাণ (ডেটা লিমিট, স্পিড), সিগন্যাল ট্রান্সমিশন, ল্যাটেনসি, বিশেষ করে প্যাকেজ ও প্যাকেজের মূল্য এবং মেয়াদ কীভাবে নির্ধারিত হবে, তা এখনো জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, একটি জবাবদিহিমূলক সেবার মান ও মূল্য নির্ধারণের জন্য সেবাটি চালু হওয়ার আগেই গণশুনানি প্রয়োজন

ভুটানের তথ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে স্টারলিংকের মূল্য নির্ধারণ করেছে। ‘রেসিডেনসিয়াল লাইট’ প্যাকেজের মাসিক খরচ ৩ হাজার গুলট্রাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ২০০ টাকা), যেখানে ইন্টারনেটের গতি ২৩ এমবিপিএস থেকে ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত। স্ট্যান্ডার্ড রেসিডেনসিয়াল প্যাকেজের জন্য মাসে ৪ হাজার ২০০ গুলট্রাম (প্রায় ৫ হাজার ৮০০ টাকা) গুনতে হবে, যা ২৫ এমবিপিএস থেকে ১১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতিসম্পন্ন। কিন্তু ভুটানের যে মূল্য নির্ধারিত হয়েছে তা বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের সামর্থ্যের প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাধারণত মূল্য নির্ধারণ করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশের মূল্যের ওপর। কিন্তু বাংলাদেশের করহার আর অন্যান্য দেশের করহার এক নয়। একইভাবে জনগণের সামর্থ্য এক নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক বিচার-বিবেচনা নেওয়ার জন্য জনগণের কাছ থেকে মতামত নিতে গণশুনানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

গণশুনানি আয়োজনের আবেদন দু-এক দিনের মধ্যেই বিটিআরসিতে জমা দেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।


img

দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

প্রকাশিত :  ০৫:২২, ২০ মে ২০২৫

স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘স্টারলিংক অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটি ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।