img

সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১৪:০৮, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত

সিলেট বিভাগের চারটি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জকে নিয়ে সিলেটে জালালাবাদ প্রদেশ ঘোষণার দাবীতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের উদ‍্যোগে গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারী বুধবার পূর্ব লন্ডনের ভ‍্যালেন্স রোডস্থ উডেহাম কমিউনিটি সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং রিজিওনাল সদস্য সচিব মোঃ তাজুল ইসলাম ও কমিউনিটি সংগঠক কদর উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেটের প্রেট্রন কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর, গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, ও কমিউনিটি সংগঠক হাবিবুর রহমান রানা। 

সভায় রিজিওনাল নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খান জামাল নুরুল ইসলাম, আজিজুল আম্বিয়া, সৈয়দ সায়েম করিম, আজম আলী, আব্দুল বাছিত রফি, আব্দুর রহিম রনজু,আব্দুল মুকিত, খালেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, সেরওয়ান আলী, হালিমুল ইসলাম, শাহ আজিজ সাজু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ তানভীর হোসেন, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, বদরুল হক মনসুর, কামরুল আই রাসেল, আমজাদ হোসেন, ও কবির আলী, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন, \"১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ‍্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছিল ।পাকিস্তান আমলে ও বাংলাদেশ আমলে সিলেট বিভাগের তেমন কোন উন্নতি হয়নি। সিলেট বিভাগ সব সময় বৈষম‍্যের শিকার। সিলেটের খনিজ সম্পদ, চা বাগান, রাবার বাগান সহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও সিলেটের সমস‍্যার এখনও কোন সমাধান হয় নি।বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি দূর্যোগময় মুহুর্তে সিলেটবাসীর অবদান ইতিহাসের অন্তর্গত।

সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে চারটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করলেও সিলেট বিভাগকে প্রদেশ করার কোন প্রস্তাব করেনি। এটা আরেকটি বৈষম‍্য বলে  তিনি  উল্লেখ করেন।

বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, \"সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না. বাংলাদেশ আমার দেশ, সিলেট আমার প্রদেশ’ চট্টগ্রামের সাথে সিলেটকে যুক্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে. তিনি বলেন \"আমরা সিলেট বিভাগ নিয়ে জালালাবাদ প্রদেশ চাই,,সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে বাংলাদেশকে যদি কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করতেই হয় তাহলে বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলা নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হবে যুক্তিযুক্ত। চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করা হবে অবাস্তব ও অযৌক্তিক। বৃহত্তর সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থা ও লে-আউট আলাদা একথা সরকারের বুঝা উচিৎ, সিলেট থেকে চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকায় বরং যাওয়া যাবে দ্রুত। তাই চট্টগ্রামের সাথে সিলেট কানেক্ট করে প্রদেশ করলে সিলেট হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত, এরকম হটকারি, অবাস্তব এবং  অযৌক্তিক সীদ্ধান্ত কোনো অবস্থাতেই বিশ্বময় বসবাসকারী গ্রেটার সিলেটবাসী  মেনে নেবে না বলে তিনি সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন সিলেটবাসীর সাত দশকের পুরোনো দাবি। এ দাবীকে পাশ কাটিয়ে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেবে না। 

বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব বলেন। \"১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে তথা রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা - দীক্ষা, জ্ঞান - গরিমা, সাংস্কৃতিক ইতিহাস ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে এমনকি প্রবাসের মাটিতে ক্যাটারিং সেক্টর  ও ব্যাবসা বানিজ্য এবং বিশ্বময় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণে ব্যাপক ভুমিকা রাখা সহ বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে গ্রেটার সিলেটবাসীর অবদান অনস্বীকার্য।\"

পাকিস্তান আমল থেকেই দেশে বিদেশে সিলেট প্রদেশ গঠণের দাবীতে আন্দোলন চলছে ।তাই অবিলম্বে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রদেশ ঘোষণার দাবী জানানো হয় ।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদশালী এলাকা সিলেটের খনিজ তেল,গ্যাস,পাথর,চা শিল্প,পর্যটন ও দেশের রেমিটেন্সের সিংহভাগই আসে প্রবাসী সিলেটবাসীর মাধ্যমে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন বর্তমান সরকার যদি প্রাদেশিক সরকার গঠন করে তাহলে সিলেটের নাম আসবে সবার আগে।কারণ সিলেটের মানুষের এই দাবী দীর্ঘদিনের। সিলেটবসীর ন্যায্য দাবী সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের ক্যাম্পেইনে দেশে বিদেশে সিলেট বাসীকে আর ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরাবর জাসদের স্মারকলিপি: বাংলাদেশের জঙ্গীবাদী ধর্মীয় চরমপন্থীদের অভ্যুত্থান মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান

প্রকাশিত :  ১৭:৪০, ২৪ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৪৭, ২৪ মার্চ ২০২৫

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য জাসদের প্রতিনিধি দল আজ ২৪ মার্চ সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে । স্মারকলিপিতে তারা বাংলাদেশের চলমান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চরম মৌলবাদী জঙ্গিদের  অভ্যুত্থান ও এর ফলে উদ্ভূত সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতার আন্দোলনের ছদ্মাবরণে এই অভ্যুত্থান শুরু হয়ে বর্তমানে দেশজুড়ে সহিংসতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও যুক্তরাজ্যসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন এবং দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন বিদ্রোহীদের দখলে। অভ্যুত্থানের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলা এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকার এই ঘটনা প্রতিরোধে ব্যর্থ নয়, বরং একে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করছে। আমরা জোরালোভাবে অনুরোধ করছি যে, যুক্তরাজ্য হাইকমিশন এই অভিযোগসমূহ তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করুক। 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটি বাংলাদেশের সংবিধান থেকে মুছে ফেলার অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে (ICT) ব্যবহার করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক নেতাদের বিচারিক হত্যার পরিকল্পনা একটি চরম বিচারিক প্রহসন। ICT, যা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত হয়েছিল, এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

জাসদ নেতৃবৃন্দ যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি অভ্যুত্থানকে নিন্দা জানানো, দায়ী ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, একটি স্বাধীন তদন্ত, মানবিক সহায়তা প্রদান এবং নির্যাতিতদের রাজনৈতিক আশ্রয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে অভ্যুত্থান-সমর্থিত শক্তিগুলো কোনো ধরনের সহায়তা না পায়।

স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, যুক্তরাজ্য জাসদের কার্যকরী সভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক মনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান এবং কবি সালমা বেগম।

কমিউনিটি এর আরও খবর