img

লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সাথে ইবিএফসিআই এর বৈঠক অনুষ্টিত

প্রকাশিত :  ১৪:১৬, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সাথে ইবিএফসিআই এর বৈঠক অনুষ্টিত

কামরুল আই রাসেল, লন্ডনঃ টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির জন্য EBFCI ও বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন এর অংশীদারিত্ব জোরদারের আহবান জানানো হয়েছে। 

লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ১৯ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২৫ বিকেলে যুক্তরাজ্যে নব নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম এবং ইউরোপ বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (EBFCI) এর প্রেসিডেন্ড ড. ওয়ালি তসর উদ্দিন এমবিই ডিবিএ জেপির নেতৃত্বে EBFCI এর ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা দলের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ইবিএফসিআই টিম তাদের চলমান উদ্যোগগুলি উপস্থাপন করেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ও ইউরোপের মধ্যে টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন্ন বেশ কিছু প্রকল্প এবং ইভেন্টগুলির উপর আলোকপাত করা হয়।

আলোচনায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং ইবিএফসিআই এর মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়, বিশেষ করে বাণিজ্য বৃদ্ধি, চ্যালেঞ্জের উপর সংলাপ, অ্যাডভোকেসি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ব্যবসা-সম্পর্কিত প্রকল্পের ক্ষেত্রে।

ড. ওয়ালি তসর উদ্দিন বলেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে, সেইসাথে বাংলাদেশ ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইবিএফসিআই-এর গভীর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি কৌশলগত ব্যবসায়িক সহযোগিতা এবং যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে সহজতর করার জন্য হাই কমিশনের সাথে একসাথে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

‘‘আমরা উন্নত বাণিজ্য সম্পর্ক, দক্ষতা উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্য কনস্যুলার সার্ভিসের সহযত করার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সাথে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। 

তিনি ব্যবসার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, বিশেষ করে প্রবাসি বাংলাদেশীদের (এনআরবি) প্রেক্ষাপটে, একটি সহযোগিতামূলক পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা, কনস্যুলার এবং ব্যবসায়িক উন্নয়ন পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সহায়তা করার গুরুত্বের উপরও জোর দেন।

নব নিযুক্ত হাই কমিশনার আবিদা ইসলাম ইবিএফসিআই  এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাংলাদেশ এবং প্রবাসি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ইবিএফসিআই-এর সক্রিয় প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ হাই কমিশন বাংলাদেশী নাগরিক এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ইবিএফসিআই -এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষে উভয় সংস্থার সম্মিলিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্মুখ।

ইবিএফসিআই টিম ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে অবস্থিত অন্যান্য বাংলাদেশী দূতাবাসের সাথে তাদের চলমান যোগাযোগ নিয়েও আলোচনা করে। একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে তাদের সাথে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে যা টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিকে সহজতর করবে এবং জড়িত সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য সুযোগ তৈরি করবে।

উভয় পক্ষই প্রবাসি বাংলাদেশী (NRB) ব্যবসা এবং পেশাদারদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় কনস্যুলার সহায়তা এবং নির্দেশনা পেতে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছেন। ইবিএফসিআই -এর ‘অব্যাহত এবং বর্ধিত সহায়তার অনুরোধ হাই কমিশন অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। 

ইবিএফসিআই এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন টিম এই আলোচনাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং  প্রবাসি ব্যবসায়িদে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে কাজ করবে বলে জানানো হয়।


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরাবর জাসদের স্মারকলিপি: বাংলাদেশের জঙ্গীবাদী ধর্মীয় চরমপন্থীদের অভ্যুত্থান মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান

প্রকাশিত :  ১৭:৪০, ২৪ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৪৭, ২৪ মার্চ ২০২৫

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য জাসদের প্রতিনিধি দল আজ ২৪ মার্চ সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে । স্মারকলিপিতে তারা বাংলাদেশের চলমান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চরম মৌলবাদী জঙ্গিদের  অভ্যুত্থান ও এর ফলে উদ্ভূত সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতার আন্দোলনের ছদ্মাবরণে এই অভ্যুত্থান শুরু হয়ে বর্তমানে দেশজুড়ে সহিংসতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও যুক্তরাজ্যসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন এবং দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন বিদ্রোহীদের দখলে। অভ্যুত্থানের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলা এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকার এই ঘটনা প্রতিরোধে ব্যর্থ নয়, বরং একে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করছে। আমরা জোরালোভাবে অনুরোধ করছি যে, যুক্তরাজ্য হাইকমিশন এই অভিযোগসমূহ তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করুক। 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটি বাংলাদেশের সংবিধান থেকে মুছে ফেলার অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে (ICT) ব্যবহার করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক নেতাদের বিচারিক হত্যার পরিকল্পনা একটি চরম বিচারিক প্রহসন। ICT, যা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত হয়েছিল, এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

জাসদ নেতৃবৃন্দ যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি অভ্যুত্থানকে নিন্দা জানানো, দায়ী ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, একটি স্বাধীন তদন্ত, মানবিক সহায়তা প্রদান এবং নির্যাতিতদের রাজনৈতিক আশ্রয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে অভ্যুত্থান-সমর্থিত শক্তিগুলো কোনো ধরনের সহায়তা না পায়।

স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, যুক্তরাজ্য জাসদের কার্যকরী সভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক মনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান এবং কবি সালমা বেগম।

কমিউনিটি এর আরও খবর