হিন্দুস্তান টাইমস’র রিপোর্ট

img

বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের দায়ে বিবিসিকে জরিমানা করল ভারত!

প্রকাশিত :  ১৬:২৫, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৪, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের দায়ে বিবিসিকে জরিমানা করল ভারত!

ব্রিটিশ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসিকে বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে জরিমানা করেছে ভারতের আর্থিক অপরাধ দমন সংস্থা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস এ কথা জানিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইন লঙ্ঘনের দায়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ইন্ডিয়াকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৫১০ পাউন্ড (৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮০ ডলার) জরিমানা করেছে।

বিবিসি ইন্ডিয়ার তিন পরিচালক জাইলস অ্যান্টনি হান্ট, ইন্দু শেখর সিনহা এবং পল মাইকেল গিবনসকে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৩৬ পাউন্ড করে এই জরিমানা করা হয়।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে তদন্ত শুরুর পর দিল্লি ও মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে তল্লাশি করেছিল ইডি। আর্থিক অস্বচ্ছতা সংশ্লিষ্ট সন্দেহের ভিত্তিতে এই তল্লাশি চালানো হয়।

বিবিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনো আদেশ পাওয়ার পর আমরা তা সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করব এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করব।

মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদীর গুজরাট দাঙ্গা মোকাবেলা নিয়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিবিসি একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে। এটি প্রকাশ করার পররপই পরপরই বিবিসিকে নিয়ে তদন্ত শুরু হয় ভারতে।

পরে ভারত সরকার বিবিসির তথ্যচিত্রটিকে 'অপপ্রচার' আখ্যা দেয় এবং বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে ডকুমেন্টারিটি নিষিদ্ধ করে।

২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি ট্রেনে আগুন লাগলে ৫৯ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী মারা যায়। যার ফলে গুজরাট রাজ্যে মারাত্মক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সহিংস এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি লোক প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে নৃশংসতায় সহযোগিতা এবং অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের ভিসা ফি বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত :  ১৫:২১, ২৪ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৫৭, ২৪ মার্চ ২০২৫

আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ইটিএ (ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন), স্বল্পমেয়াদী, চিকিৎসা, শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের ভিসা, স্পনসরশিপ ও নাগরিকত্ব ফি বৃদ্ধি করছে যুক্তরাজ্য। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ৯ এপ্রিল থেকে স্বল্পমেয়াদি পর্যটন ভিসার (৬ মাস) জন্য আবেদনকারীকে গুণতে হবে ১২৭ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা। বর্তমানে এই ফি ১১৫ পাউন্ড বা ১৮ হাজার ১০১ টাকা।  

আর দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন ভিসা (৬ মাসের বেশি) ফি হবে ৪৭৫ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৪ হাজার ৭৬৫ টাকা, যা বর্তমানে ৪৩২ পাউন্ড বা ৬৭ হাজার ৩৭৫ রুপি।

এছাড়া ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি  ভিসার ফি করা হবে যথাক্রমে ৮৪৮ পাউন্ড (১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৬ টাকা) এবং ১ হাজার ৫৯ পাউন্ড (১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৮ টাকা)। বর্তমানে এই ফি যথাক্রমে ৭৭১ পাউন্ড (১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৬ টাকা) এবং ৯৬৩ পাউন্ড (১ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭ টাকা)।

বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষার্থী ও কর্মী ভিসা ফি-ও। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থী ভিসার ফি ৪৯০ পাউন্ড (৭৭ হাজার ১২৬ টাকা)। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে এই ফি হবে ৫২৪ পাউন্ড (৮২ হাজার ৪৭৮ টাকা)।

এছাড়া তিন বছর মেয়াদি দক্ষ কর্মী ভিসার ফি করা হচ্ছে ৭৬৯ পাউন্ড বা ১ লাখ ২১ হাজার ৪১ টাকা। বর্তমানে এই ফি ৭১৯ পাউন্ড বা ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭১ টাকা। আর ৫ বছর মেয়াদি কর্মী ভিসা ফি ১ হাজার ৪২০ পাউন্ড (২ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫১৯ পাউন্ড (২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩ টাকা) করা হচ্ছে।

যারা ইটিএ ভিসার জন্য আবেদনে আগ্রহী, তাদেরকেও ৯ এপ্রিলের পর থেকে ১০ পাউন্ডের (১ হাজার ৫৭৪ টাকা) পরিবর্তে ১৬ পাউন্ড (২ হাজার ৫১৮ টাকা) ব্যয় করতে হবে।

ভিসার পাশাপাশি স্পনসরশিপ এবং নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের ফিও বাড়ানো হয়েছে। দক্ষ কর্মীদের স্পনসরের ক্ষেত্রে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ৫২৫ পাউন্ড (৮২ হাজার ৬৭৫ টাকা) স্পন্সর ফি দিতে হবে নিয়োগকর্তাদের, বর্তমানে এই ফি ২৩৯ পাউন্ড বা ৩৭ হাজার ৬১৮ টাকা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব লাভের আবেদন নিবন্ধিত করতে ১ হাজার ৩৫১ পাউন্ড (২ লাখ ১২ হাজার ৬৪৯ টাকা) ফি দিতে হয়। ৯ এপ্রিল থেকে এই ফি হবে ১ হাজার ৪৪৫ পাউন্ড (২ লাখ ২৭ হাজার ৬০২ টাকা)।

ভিসা ফি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, সীমান্ত সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলদারি ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা খাতে প্রতিদিনই সরকারি ব্যয় বাড়ছে। এই ব্যয় সংকুলানের জন্যই ভিসা, স্পনসরশিপ ও নাগরিকত্বের আবেদনের ফি বাড়ানো হয়েছে। কারণ সরকার এই অতিরিক্ত অর্থের জন্য করদাতাদের ওপর চাপ বাড়াতে ইচ্ছুক নয়।

সূত্র : গালফ নিউজ

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর