img

ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচতে যা যা করবেন

প্রকাশিত :  ০৮:০০, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচতে যা যা করবেন

আইনশৃঙ্খলার নড়বড়ের অবস্থার জন্য দেশজুড়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। পথেঘাটে চলাচল করা মানুষদের জন্য এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় চলতে হচ্ছে। ঠিক কখন কার ওপর হামলা হবে জানে না কেউ। তবে একটু সতর্ক থাকলে এসব বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন যে কেউ।

অফিস বা ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছেন হঠাৎ ছিনতাইকারীর কবলে পড়লেন, তখন কী করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক ছিনতাইকারীর হাত থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায়।

নিরাপদ চলাচলের কৌশল

১. যথাসম্ভব জনবহুল এলাকায় চলাফেরা করুন। ফাঁকা জায়গা বা ফাঁকা রাস্তা এ সময় এড়িয়ে চলুন।

২. ফুটপাতে হাঁটার সময় রাস্তার লেন ধরে হাঁটতে হবে। যদি ভবন বা গাছের আড়ালে কেউ লুকিয়ে থাকে সহজেই নজরে আসবে।

৩. এ সময় অন্ধকার ও নির্জন স্থান এড়িয়ে চলাই ভালো।

৪. নিজেকে রক্ষা করার জন্য আত্মরক্ষার সরঞ্জাম সঙ্গে রাখুন। হতে পারে সেটি পিপার স্প্রে, ছোট বাঁশি, ওয়াকিং স্টিক ইত্যাদি।

মূল্যবান জিনিসপত্র ব্যবহারে সতর্কতা

১. গহনা, দামি মোবাইল ফোন বা অতিরিক্ত পরিমাণে নগদ টাকা সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা না করাই ভালো।

২. রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় ব্যাগ সামনের দিকে শক্ত করে ধরে রাখুন।

৩. রাস্তায় মোবাইলে কথা না বলাই উত্তম।

ছিনতাইকারীর কবলে পড়লে করণীয়

১. ছিনতাইকারীর কবলে পড়লে নিজে অসহায় দেখান, যাতে ছিনতাইকারী আগ্রহ হারায় না হয় আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিক্রিয়া জানান।

২. শুরুতেই আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকুন এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করুন।

৩. ছিনতাইকারীর আচরণবিধি লক্ষ করুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন।

৪. পরিস্থিতি সামাল দিতে তার মানবিক দিক স্পর্শ করার চেষ্টা করুন।

৫. ছিনতাইকারীদের কাছে অস্ত্র থাকে যা দেখে মোটেই ভয় পাওয়া যাবে না। ভয় পেলেও তাদের বুঝতে দেওয়া যাবে না আপনি ভয় পেয়েছেন।

৬. সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে হবে, যাতে ছিনতাইকারী সহজে আক্রমণ করতে সাহস না পায়।

এমন বিপদ একেবারে এড়িয়ে যাবার কোনো উপায় নেই। তবে সতর্কতায় এসব বিপদের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব। তবে সব সময় সতর্ক থাকুন, নিরাপদে থাকুন!


img

চশমা ছাড়াই বাচ্চাদের দৃষ্টি সমস্যা সমাধানে আসছে এল আই ড্রপ

প্রকাশিত :  ১৩:২২, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:২৫, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হচ্ছে মানেই চিকিৎকের কাছে যাও। তারপর পাওয়ার দেখে চশমা দেওয়া হবে। এই ঝামেলা থেকে রেহাই দিতেই নতুন আই ড্রপ আসছে দেশের বাজারে। 

মূলত মায়োপিয়ার চিকিৎসায় এই আই ড্রপের ব্যবহার হবে। মায়োপিয়া মানেই হল দূরের দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকা। দেশে মায়োপিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। ক্রমাগত মোবাইল বা ট্যাবে চোখ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি দেখা, কম আলোয় মোবাইল স্ক্রল করার কারণেই দৃষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছে শিশু ও কমবয়সিরা।

নতুন ফর্মুলায় আই ড্রপটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্মাতা সংস্থা এনটড ফার্মাসিউটিক্যালস। তাদের দাবি, এই ড্রপটি চোখে দিলে মায়োপিয়ার ঝুঁকি কমবে। যে শিশুর দূরের দৃশ্য দেখতে সমস্যা হচ্ছে, স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা পড়তে পারছে না অথবা চোখে যন্ত্রণা, চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা হচ্ছে, তারা এই আই ড্রপটি ব্যবহার করতে পারে। 

তবে মায়োপিয়া যদি ধরা পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শেই আই ড্রপটি নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা আই ড্রপটির ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেটি দেশের বাজারে চলে আসবে বলে জানা গেছে।

আই ড্রপটি ছোটদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের দেওয়া যাবে। এনটড ফার্মাসিউটিক্যালস জানিয়েছে, ওষুধটি তিন পর্যায়ের ট্রায়ালের পরে তার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনো অবধি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়নি।

কিছুদিন আগেই ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক সংখ্যক মানুষ মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হবেন। বিশেষ করে শিশুরা এই অসুখে বেশি ভুগবে। মায়োপিয়ায় আক্রান্ত রোগী কাছের জিনিস দেখতে পারলেও দূরের জিনিস দেখতে তাদের সমস্যা হয়। মায়োপিয়ার অন্যতম বড় কারণ হল সূর্যের আলোয় কম সময় কাটানো। 

গবেষকেরা জানাচ্ছেন, প্রাকৃতিক আলোর চেয়ে কৃত্রিম আলোতেই বেশি অভ্যস্ত এখনকার প্রজন্ম। শিশুদের ক্ষেত্রে সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে রেটিনায় ডোপামিন নামক যৌগের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই যৌগ দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে এবং মায়োপিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু অন্ধকারে যদি মোবাইল বা ট্যাব দেখার অভ্যাস থাকে, তাহলে বিদ্যুতিন ডিভাইস থেকে বেরোনো নীল আলো রেটিনার দফারফা করে দেয়। তখন কেবল দৃষ্টিজনিত সমস্যা নয়, চোখে যন্ত্রণা, চোখ লাল হয়ে ওঠা, পানি পড়া, মাথাযন্ত্রণা, এমনকি মাইগ্রেনও ভোগাতে পারে।

নতুন আই ড্রপটি চোখ খারাপ হওয়া থেকে বাঁচাবে। তবে পাশাপাশি শিশুদের চোখের যত্ন নিতে ও ‘স্ক্রিন টাইম’ বেঁধে দেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।