img

বিশ্বকবি মঞ্চ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

প্রকাশিত :  ১৯:৫৩, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশ্বকবি মঞ্চ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

যুক্তরাজ্যে বিশ্ব কবি মঞ্চ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কবি আবুল কালাম আজাদ ছোটন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাফছা ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক ফখরুল আম্বিয়া।

কবি আবুল কালাম আজাদ ছোটনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, ভাষার জন্য জীবন দান করা সালাম বরকত রফিক জব্বার শফিউর সহ নাম না জানা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার মর্যাদা, ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব এবং কবিতার মাধ্যমে ভাষার প্রতি ভালোবাসা তুলে ধরা হয়।

অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলএর সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, সাবেক ডেপুটি  মেয়র সাহেদ আলী, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব, সম্মিলিত ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি লেখক গবেষক ফারুক ও আহমেদ রুহুল আমিন।

বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কেবল ভাষার অধিকার রক্ষার দিন নয়, এটি সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রতীক। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন স্নিগ্ধা কামাল, মোঃ ফয়জুল ইসলাম, বাদল রহমান, ধামানজয় পাল, শাহ সোহেল, একেএম আব্দুল্লাহ, মুজিবুল হক মনি, স্নিগ্ধা মিষ্টি, সালমা বেগম, ফাতেমা রেবেয়া আলম, আমিনা আক্তার সুরভী, নাজমা কুদ্দুস।

সংগীত পরিবেশন করেন কাজী কল্পনা, সায়েদা তামান্না, ইকবাল আহমদ, শুকুর আহমদ, মজিবুল হক মনি, সোহেল আহমদ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরাবর জাসদের স্মারকলিপি: বাংলাদেশের জঙ্গীবাদী ধর্মীয় চরমপন্থীদের অভ্যুত্থান মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান

প্রকাশিত :  ১৭:৪০, ২৪ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৪৭, ২৪ মার্চ ২০২৫

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য জাসদের প্রতিনিধি দল আজ ২৪ মার্চ সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে । স্মারকলিপিতে তারা বাংলাদেশের চলমান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চরম মৌলবাদী জঙ্গিদের  অভ্যুত্থান ও এর ফলে উদ্ভূত সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতার আন্দোলনের ছদ্মাবরণে এই অভ্যুত্থান শুরু হয়ে বর্তমানে দেশজুড়ে সহিংসতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও যুক্তরাজ্যসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন এবং দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন বিদ্রোহীদের দখলে। অভ্যুত্থানের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলা এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকার এই ঘটনা প্রতিরোধে ব্যর্থ নয়, বরং একে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করছে। আমরা জোরালোভাবে অনুরোধ করছি যে, যুক্তরাজ্য হাইকমিশন এই অভিযোগসমূহ তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করুক। 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটি বাংলাদেশের সংবিধান থেকে মুছে ফেলার অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে (ICT) ব্যবহার করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক নেতাদের বিচারিক হত্যার পরিকল্পনা একটি চরম বিচারিক প্রহসন। ICT, যা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত হয়েছিল, এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

জাসদ নেতৃবৃন্দ যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি অভ্যুত্থানকে নিন্দা জানানো, দায়ী ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, একটি স্বাধীন তদন্ত, মানবিক সহায়তা প্রদান এবং নির্যাতিতদের রাজনৈতিক আশ্রয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে অভ্যুত্থান-সমর্থিত শক্তিগুলো কোনো ধরনের সহায়তা না পায়।

স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, যুক্তরাজ্য জাসদের কার্যকরী সভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক মনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান এবং কবি সালমা বেগম।

কমিউনিটি এর আরও খবর