img

ফেরত পাঠাতে ৫০০ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত :  ০৬:১০, ০৭ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১২, ০৭ মার্চ ২০২৫

ফেরত পাঠাতে ৫০০ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। দেশটিতে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিও আছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের। এই অভিযোগে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো শুরু করেছে তারা।

কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থানের অনুমতি ও কাগজপত্র না থাকার কারণে বাংলাদেশের ৪০০-৫০০ নাগরিককে ফেরত পাঠানোর জন্য এরই মধ্যে দেশটির সরকার চিহ্নিত করেছে। সেখানে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিতে ব্যর্থ হলে তাদের সবাইকে দেশে ফিরতে হতে পারে।

ফেরত আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধ ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দফা বৈঠক করেছে। বুধবারের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকালের বৈঠকে অংশ নেন পুলিশের বিশেষ শাখা, ইমিগ্রেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এরই মধ্যে অবৈধ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের ঢাকায় পাঠাতে শুরু করেছে। গড়ে সপ্তাহে ৬-৭ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনো দেশে অবস্থানের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা না থাকার কারণে অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিককে গ্রহণের বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সব দেশের জন্য প্রযোজ্য।

উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিকদের ফেরত নিতে অসম্মতি জানালে যারা বৈধ উপায়ে বিভিন্ন কাজে বা ভ্রমণে বিদেশে যান, তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এটি হতে দেওয়া যাবে না।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। ফাইল ছবিহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া অনেক ভারতীয় নাগরিককে মার্কিন সরকার হাতকড়া পরিয়ে সামরিক বিমানে ফেরত পাঠিয়েছে। এ বিষয়টির উল্লেখ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের কীভাবে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ফেরত পাঠানোর জন্য চিহ্নিত ব্যক্তির বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্ট থাকলে তাকে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে ফেরত আসা ব্যক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক বা একাধিক নিরাপত্তা কর্মী একই ফ্লাইটে আসছেন, এমনটিও ঘটছে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, কোনো ব্যক্তির বৈধ পাসপোর্ট না থাকলে তার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মিশনকে সরকারিভাবে জানানো হয়। সে ক্ষেত্রে মিশন প্রথমে যাচাই করে দেখে যে, ওই ব্যক্তি আসলেই বাংলাদেশের নাগরিক কি না। যাচাইয়ে বাংলাদেশের নাগরিক প্রমাণ হলে তার জন্য এককালীন ভ্রমণের পারমিট (টিপি-ট্রাভেল পারমিট) দেওয়া হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজেদের ব্যবস্থাপনায় তাকে পাঠিয়ে দেয়। 

তিনি আরও বলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের ঢাকায় বিমানবন্দরে গ্রহণ করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে সরকার সহযোগিতা করবে। বুধ ও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

শারীরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী সংগঠন খুঁজছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

প্রকাশিত :  ২০:৫৭, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল একটি গুণগত গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার জন্য স্থানীয় কমিউনিটি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আগ্রহ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো টাওয়ার হ্যামলেটসে বসবাসরত বয়স্ক নাগরিক এবং এশীয় বংশোদ্ভূত নারীদের মধ্যে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার  কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা।
এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ‘প্লেস পার্টনারশিপ’ প্রোগ্রামের আওতায় নীতিনির্ধারণী কাজে সহায়তা করবে এবং স্থানীয় জনগণের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণে সহায়ক হবে।
নির্বাচিত সংস্থাটি স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে, ফোকাস গ্রুপ এবং উন্মুক্ত প্রশ্ন ভিত্তিক জরিপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ সম্পন্ন করবে। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট £১৫,০০০ পাউন্ড।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
- সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে প্রাথমিক আলোচনা
- প্রকল্পের মূল কর্মসূচি সূচক (KPIs) নির্ধারণ
- একটি চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রস্তুত ও জমা
কাউন্সিলের পক্ষ থেকে স্থানীয় পর্যায়ে শক্তিশালী সম্পৃক্ততা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক গবেষণার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংস্থাগুলোকে এই কাজে অংশ নেওয়ার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। আগ্রহী সংস্থাগুলিকে একটি সংক্ষিপ্ত লিখিত প্রস্তাবনা জমা দিতে হবে। প্রস্তাব জমা দেওয়ার শেষ সময় মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর বিকেল ৫টা।
বিস্তারিত তথ্য ও প্রকল্পের বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন:
সোফি বাওয়েন, পাবলিক হেলথ অফিসার, হেলদি এনভায়রনমেন্টস
ইমেইল: Sophie.bowen@towerhamlets.gov.uk

কমিউনিটি এর আরও খবর