img

কী কারণে সম্পর্ক ভাঙল বিজয়-তামন্নার, প্রকাশ্যে এল আসল কারণ

প্রকাশিত :  ১১:২৩, ০৭ মার্চ ২০২৫

কী কারণে সম্পর্ক ভাঙল বিজয়-তামন্নার, প্রকাশ্যে এল আসল কারণ

বিজয়-তামন্না সব সময় যেন জুটিতে হাজির হতেন। অভিনেতার সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন তমন্না আর সেটাই কি সম্পর্ক ভাঙার কারণ হয়ে দাঁড়াল!

একে অপরকে চোখে হারাতেন তাঁরা। লুকিয়ে প্রেম করায় বিশ্বাসী ছিলেন না বিজয় বর্মা-তমন্নার ভাটিয়ার কেউই। সম্পর্কের শুরু থেকেই সবটাই রেখেছিলেন সকলের সামনে। ‘লাস্ট স্টোরিজ়’ ওয়েব সিরিজ়ের শুটিং-এ প্রেমের শুরু। তার পর প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। বিজয়-তমন্না সব সময় যেন জুটিতে। বিজয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন তমন্না আর সেটাই কি সম্পর্ক ভাঙার কারণ হয়ে দাঁড়াল!

শোনা গিয়েছিল ২০২৫ সালেই বিয়ে করবেন বিজয়-তমন্না। প্রস্তুতিও নাকি শুরু হয়ে গিয়েছিল। মুম্বই শহরে নাকি নতুন ঠিকানার খোঁজ করছিলেন যুগল। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। পথ আলাদা হল দুই তারকার! জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগেই সম্পর্ক ভেঙেছেন তাঁরা। তবে বিচ্ছেদ মানেই মুখ দেখাদেখি বন্ধ, এমন নয়। একে অপরের বন্ধু হয়ে সব সময় পাশে থাকবেন, ঘনিষ্ঠ মহলে এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা।

ইতিমধ্যে বিজয়ের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি সমাজমাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছেন অভিনেত্রী। তাঁদের বিচ্ছেদের খবর এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না অনুরাগীরা। তবে সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ত্রিশ পেরিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রেমিক বিজয়ের সঙ্গে থিতু হওয়ার কথা ভেবেছিলেন। বিয়ের জন্য খানিকটা উদ্‌গ্রীব হয়ে ওঠেন। সেই নিয়ে একাধিক বার মনোমালিন্য হয়েছে তাঁদের। সেই কারণেই বিচ্ছেদ। যদিও এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও মন্তব্য করেননি তারকা যুগল। বলিপাড়া সূত্রে খবর, বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্কে আসার আগে তমন্নার নাম জড়িয়েছে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি থেকে পাক খেলোয়াড় আব্দুল রজ্জাক। এক সময় শোনা গিয়েছিল আমেরিকার এক চিকিৎসকের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী। যদিও সময়ের সঙ্গে সেই জল্পনা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।

img

কারাগারে ৮০ শতাংশ মহিলাই নির্দোষ: কারাবাসের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনলেন রিয়া

প্রকাশিত :  ০৬:০২, ২৬ মার্চ ২০২৫

অভিনেত্রী রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসেও ছিলেন তিনি।

ছাড়পত্র পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। সিবিআই তার অন্তিম রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসে ছিলেন তিনি।

কারাবাসের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন রিয়া। কারাবাসের অন্দরের সঙ্গে বাইরের জগতের কোনও মিল নেই বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “কারাগারের মধ্যে কোনও সমাজ নেই। তাই বাকি দুনিয়ার থেকে পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। তবে কারাগারের অন্দরে সমতা রয়েছে। ওখানে আলাদা করে কোনও পরিচিতি নেই কারও। সবাই এক একটা সংখ্যা সেখানে।”

তদন্ত চলাকালীন যে মহিলারা কারাবাসে থাকেন, তাঁদের বেশির ভাগই নির্দোষ বলে দাবি রিয়ার। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, অভিযুক্ত মহিলাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নির্দোষ ছিলেন। বাকি ২০ শতাংশ স্বীকার করতেন যে তাঁরা অপরাধ করেছেন। হয় নিজেকে বাঁচানোর জন্য অপরাধ করেছেন বা অন্য কোনও কারণে।”

রিয়া আরও বলেন, “বিচার পেতে অনেকটা সময় লাগে। তাই এই নির্দোষ মহিলাদেরও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় কারাবাসে কাটাতে হয়। কেউ কেউ দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই সাত-আট বছর কারাবাসে কাটিয়ে দেন।”

কারাগারের ভিতরে কী কী অসুবিধা হয় সেগুলিও জানিয়েছেন রিয়া। অভিনেত্রীর কথায়, “কারাগারের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায় না। বাইরের জগতের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ হয়তো পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে ফেলেছেন দীর্ঘ দিন কারাবাসে থাকতে থাকতে। প্রতি দিন কারাবাসে টিকে থাকাই কঠিন। এক একটা দিন এক একটা বছরের মতো মনে হয় কারাগারের মধ্যে। আমিও কঠিন সময় কাটিয়েছিলাম। অবশ্যই কারাগারের মধ্যে অবসাদ রয়েছে। সেই অন্ধকার জগতের সাক্ষী আমিও।”