img

নারী দিবসে জ্যাকুলিনের চমক

প্রকাশিত :  ০৮:৩১, ০৮ মার্চ ২০২৫

নারী দিবসে জ্যাকুলিনের চমক

বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ চার বছর আগে মিউজিক ভিডিওতে বাঙালি কন্যার বেশে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন । ‘গেন্দা ফুল’-এর ‘বড়লোকের বিটি’ এবার বাংলা গান গাইলেন। নারী দিবসে প্রকাশ্যে এসেছে সেই গানের ভিডিও।

কয়েক মাস আগেই ‘স্টর্মরাইডার’ শীর্ষক গানে জ্যাকুলিনের উপস্থিতি শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এসভিএফ মিউজিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই গানটিরই বাংলা সংস্করণ তৈরি করেছেন অমৃতা সেন ও সিজি। তাদের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওতে গলা মিলিয়েছেন জ্যাকুলিন। নাম ‘আমি কাফি’।

নির্মাতাদের দাবি, নারী দিবসের মূলমন্ত্র উচ্চারিত হয়েছে এই গানটির মাধ্যমে। জ্যাকুলিনও এই প্রথম বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়ে উচ্ছ্বসিত। অভিনেত্রী বলেন, বাংলা সংগীতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমি আপ্লুত। এই গানটি আত্মবিশ্বাস ও শক্তির প্রতীক। নতুন শ্রোতাদের জন্য তাদের ভাষায় গানটিকে তৈরি করতে পেরে আরও ভালো লাগছে। মিউজিক ভিডিওতে কলকাতার জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম প্রভাবীদের দেখা যাবে। রয়েছেন রাজকুমারী কোকো, শতাব্দী দত্ত বণিক, ডিম্পল আচার্য ও অঙ্কিতা সিং।


বিনোদন এর আরও খবর

img

ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি ইন্দ্রাণী

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ১২ মে ২০২৫

ইন্দ্রাণী হালদার টলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী । ছোট-বড় দুই পর্দাতেই যার উজ্জ্বল উপস্থিতি। বলা বাহুল্য, টালিগঞ্জের অন্যতম সফল অভিনেত্রী তিনি। তবে তার জীবনে রয়েছে এক বড় আফসোস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন সে কথাই। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার জানান, ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি তিনি। স্বামীকেও দিতে পারেনি একজন বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, সেই সাক্ষাৎকারে একজন স্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুচ্ছ কিংবা ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য মার্ক দিতে চাই। আমি বাজে বউ একদম। বরকে রান্না করে ভাত বেড়ে দেই না। বর কলকাতার বাইরে থাকে, এখানে এলে আমি বলতে থাকি, এই আমি ভাত রেখে গেলাম, খেয়ে নিও। আমার দেরি হচ্ছে, আমি গেলাম গেলাম… আসলে আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে, ওই ইচ্ছেটা তো আছে। কিন্তু শ্যুটিংয়ের চাপে করে উঠতে পারি না।’

এরপর ইন্দ্রাণী মনে জমে থাকা কষ্ট তুলে ধরেন। বলেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা আমি করতে পারিনি। যেটা বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এখনও ভাবলে আফসোস হয়। ক্যারিয়ার, কাজ, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যেই (অভিনেত্রীর স্বামী) একটা আফসোস।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ভাস্কর (ইন্দ্রাণীর স্বামী) মাঝেমাঝেই বলে, শুধু সংসারের জন্য দায়িত্বই পালন করে গেলে… একটা সময় আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হলো না। তারপর আমরা হাল ছেড়ে দিলাম। তোমারও ৪০-এর বেশি বয়স, আমারও। আর দরকার নেই থাক। আমি একটা দত্তক নিতে চেয়েছিলাম, ভাস্কর রাজি হয়নি। আমার মনে হয়, স্ত্রী হিসেবে আমি ভাস্করকে বাবা হওয়ার সুখটা দিতে পারতাম, কিন্তু সেই ব্যাপার আমি অক্ষম।’

যদিও অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছিলেন যে, সন্তান না থাকলেও তার ও তার স্বামী ভাস্কর রায়ের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।