img

চাঞ্চল্যকর সেই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত :  ১১:১০, ০৮ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১৮, ০৮ মার্চ ২০২৫

চাঞ্চল্যকর সেই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪

মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন শিশুটির মা। মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার চারজন হলেন- শিশুটির বোন জামাই সজিব (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪২), বোন জামাইয়ের বড় ভাই রাতুল (২০) এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা (৪৫)।

মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ধর্ষণে সহযোগিতা এবং পরবর্তী সময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে শিশুটির বোন জামাই সজিব, সজিবের বড় ভাই রাতুল এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদার বিরুদ্ধে।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ ৮ বছরের শিশুটি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে বড় বোনের বাড়ি শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বেড়াতে যায়। ৫ মার্চ রাতে বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে সে। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে বোন জামাই সজিব ঘরের দরজা খুলে দিলে শ্বশুর হিটু শেখ ঘরে ঢোকেন। ঘুমন্ত শিশুটির মুখ চেপে ধরে পাশের কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন টিটু। রাত আড়াইটার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে শিশুটিকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তার বোন। তখন না বুঝলেও সকালে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারেন বোন। 

এ অবস্থায় বিষয়টি কাউকে না জানাতে হিটু শেখের ঘরে শিশুটি ও তার বোনকে আটকে রাখা হয়। পরে জোহরা নামে এক প্রতিবেশি বিষয়টি জানতে পেরে শিশুটিকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

তবে ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক শিরিন সুলতানা দুপুরেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

মাগুরা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, শিশুটির চিকিৎসার কারণে পরিবারের সবাই ঢাকায় অবস্থান করায় মামলাটি হতে সময় লেগেছে। তারপরও মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের পর শিশুটির চাচা ইব্রাহিম শেখ বলেন, আমাদের ছোট মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।


বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

স্বাধীনতা দিবসে মিরসরাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশিত :  ০৬:০০, ২৬ মার্চ ২০২৫

মিরসরাই উপজেলা ও দুই পৌরসভা বিএনপির নবগঠিত কমিটি ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সহ ৫০০ গজের মধ্যে এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার কথা ছিলো চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ও তার নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে, সকাল ১১টায় একই স্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করার প্রস্তুতি ছিলো উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরী ও সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আরেকটি গ্রুপের।

এর আগে সোমবার মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। মিরসরাইয়ে বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর সমর্থক পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মিরসরাই সদরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ঝাড়ু মিছিল বের করেন। এতে করে উপজেলায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা সদরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি সহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন।

বিএনপির উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মিরসরাই সদরে মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার সকালে মিরসরাই উপজেলা সদরে দেখা যায় শুনশান নীরবতা। উপজেলা প্রশাসন সহ কয়েকটি সংস্থা ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে উপজেলা সদরে দেখা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন বলেন, জনগণের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত ও পাঁচজনের অধিক চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। তবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে পালনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপর এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে জানান তিনি। উল্লেখিত আদেশ লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।