img

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং

প্রকাশিত :  ১৫:৪৮, ০৮ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৫৩, ০৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। গত সোমবার (৩ মার্চ) দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসকে (আইএএনএস) দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভারত সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে শক্তিশালী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘ভারত সর্বদা তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা সর্বদা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। কারণ (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) অটল বিহারী বাজপেয়ী বলতেন, আমরা আমাদের বন্ধুদের পরিবর্তন করতে পারি; প্রতিবেশীদের নয়। সুতরাং, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।’’

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, আমরা স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশ সমর্থন করি; যেখানে সব সমস্যার সমাধান গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গুরুতর অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সহিংস উগ্রপন্থীদের মুক্তি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের ‘হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা’র অভিযোগের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, তারা আশা করছেন বাংলাদেশ কোনও ধরনের পার্থক্য না করেই হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনবে।

তিনি বলেন, আমরা বারবার গুরুত্ব দিয়ে বলেছি যে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।

এর আগে, গত মাসে ওমানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে তিনি সন্ত্রাসবাদকে বাংলাদেশে স্বাভাবিক করা উচিত নয় বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানান ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সূত্র: আইএএনএস।

img

\'সবার আগে বাংলাদেশ\'—নতুন স্বপ্নের পথে এক পদক্ষেপ

প্রকাশিত :  ১৭:৫৭, ২৭ মার্চ ২০২৫

ঢাকা, ২৭ মার্চ ২০২৫: দেশের অগ্রগতি, গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থকে সবার ওপরে রাখার প্রত্যয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত উদয় টাওয়ারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রকিবুল ইসলাম বকুল, এবং কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এছাড়া, সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল মোনায়েম মুন্না, এসএম জিলানী, নুরুল ইসলাম নয়ন, আতিকুর রহমান রুমন, গিয়াসউদ্দিন রিমন, রাজিব আহসান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, জাহিদুল ইসলাম রনি ও এহসান মাহমুদ।

প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শুধু একটি সংগঠন নয়; এটি একটি আদর্শ, একটি স্বপ্ন, যেখানে দেশ ও জনগণের কল্যাণই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। সংগঠনটি দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সভাপতি শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, \"আমাদের লক্ষ্য—বাংলাদেশকে এমন এক দেশে পরিণত করা, যেখানে জনগণের কণ্ঠস্বরই হবে প্রকৃত শক্তি। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব।\"

সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, \"এই সংগঠন দেশের উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার রক্ষায় নিরলস কাজ করবে। আমরা বিশ্বাস করি, দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সবার আগে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়াই সত্যিকারের দেশপ্রেম।\"

এই ফাউন্ডেশনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো—দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে আনার পাশাপাশি দেশের জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাও সংগঠনটির অন্যতম লক্ষ্য।

নতুন এই সংগঠনের যাত্রায় দেশের নানা স্তরের মানুষ ইতোমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংগঠন ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য জনগণকেই সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’। এই যাত্রা কতটা সফল হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

জাতীয় এর আরও খবর