img

সুখবর এলো মেহজাবীনের

প্রকাশিত :  ০৫:১১, ১০ মার্চ ২০২৫

সুখবর এলো মেহজাবীনের

প্রেমিক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এখনও হাতের মেহেদি রঙ যায়নি। এরমধ্যেই এলো সুখবর। মাকসুদ হোসেন পরিচালিত ছবি ‘সাবা’ তে-ই প্রথম অভিনয় করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে  আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান সিনেমা কম্পিটিশনে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশি এই ছবিটি।

সামাজিক মাধ্যমে এই সুসংবাদটি ভাগ করে নেন মেহজাবীন নিজেই। এর আগে ব্যাঙ্গালুরু ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল পেজে প্রকাশ করা হয় এসব তথ্য। আর সেটি শেয়ার করেই আনন্দ প্রকাশ করেন মেহজাবীন চৌধুরী।

মেহজাবীন লেখেন, আজকের সকালটা কত সুন্দর!  ব্যাঙ্গালুরু ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান সিনেমা কম্পিটিশনে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ফিচার ফিল্ম সাবা। টিমের সকলকে অভিনন্দন।

দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব দাপিয়েছে মেহজাবীনের এই ছবিটি। প্রথমে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, এরপর বুসান উৎসব। ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবের রেড সি উৎসব- এমন কোনো জায়গা বাকি নেই যেখানে ‘সাবা’র সাফল্য উঠে আসেনি। 

‘সাবা’র মাধ্যমে ১৪ বছরের টিভি অভিনয়জীবন পেরিয়ে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন। এতে আরও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

 


 


img

কারাগারে ৮০ শতাংশ মহিলাই নির্দোষ: কারাবাসের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনলেন রিয়া

প্রকাশিত :  ০৬:০২, ২৬ মার্চ ২০২৫

অভিনেত্রী রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসেও ছিলেন তিনি।

ছাড়পত্র পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। সিবিআই তার অন্তিম রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসে ছিলেন তিনি।

কারাবাসের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন রিয়া। কারাবাসের অন্দরের সঙ্গে বাইরের জগতের কোনও মিল নেই বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “কারাগারের মধ্যে কোনও সমাজ নেই। তাই বাকি দুনিয়ার থেকে পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। তবে কারাগারের অন্দরে সমতা রয়েছে। ওখানে আলাদা করে কোনও পরিচিতি নেই কারও। সবাই এক একটা সংখ্যা সেখানে।”

তদন্ত চলাকালীন যে মহিলারা কারাবাসে থাকেন, তাঁদের বেশির ভাগই নির্দোষ বলে দাবি রিয়ার। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, অভিযুক্ত মহিলাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নির্দোষ ছিলেন। বাকি ২০ শতাংশ স্বীকার করতেন যে তাঁরা অপরাধ করেছেন। হয় নিজেকে বাঁচানোর জন্য অপরাধ করেছেন বা অন্য কোনও কারণে।”

রিয়া আরও বলেন, “বিচার পেতে অনেকটা সময় লাগে। তাই এই নির্দোষ মহিলাদেরও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় কারাবাসে কাটাতে হয়। কেউ কেউ দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই সাত-আট বছর কারাবাসে কাটিয়ে দেন।”

কারাগারের ভিতরে কী কী অসুবিধা হয় সেগুলিও জানিয়েছেন রিয়া। অভিনেত্রীর কথায়, “কারাগারের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায় না। বাইরের জগতের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ হয়তো পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে ফেলেছেন দীর্ঘ দিন কারাবাসে থাকতে থাকতে। প্রতি দিন কারাবাসে টিকে থাকাই কঠিন। এক একটা দিন এক একটা বছরের মতো মনে হয় কারাগারের মধ্যে। আমিও কঠিন সময় কাটিয়েছিলাম। অবশ্যই কারাগারের মধ্যে অবসাদ রয়েছে। সেই অন্ধকার জগতের সাক্ষী আমিও।”