img

গণপরিষদ নির্বাচন কীভাবে করতে চায় এনসিপি

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ১১ মার্চ ২০২৫

গণপরিষদ নির্বাচন কীভাবে করতে চায় এনসিপি

সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। এটি এনসিপির প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে—সম্প্রতি এনসিপির এমন প্রস্তাব রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি।  

নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে এখনো অটল অবস্থানে আছে এনসিপি।সম্প্রতি রয়টার্সে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। পরে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ আপত্তি জানান। 

এ বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, আমরা ধরে নিতে পারি, এককভাবে গণপরিষদের ব্যাপারে তাদের (বিএনপির) আপত্তি নেই। গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে করতে গেলে তাদের আপত্তি। আমরা এই দুই নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা বলিনি। আমরা বলেছি, গণপরিষদ নির্বাচনে যারা জিতে আসবেন, সংবিধান প্রণয়নের পর তারাই আইনসভায় রূপান্তরিত হয়ে যাবেন। এটি হলে এখানে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যাই হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু নির্বাচনকে প্রথাগতভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলা হয় এবং মানুষ এর সঙ্গেই পরিচিত, এ জন্যই এটা এভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু মূলত আমরা বলতে চেয়েছি, গণপরিষদই আইনসভায় রূপান্তরিত হয়ে যাবে।

সালাহ উদ্দিন আহমদের বক্তব্য বিএনপির দলীয় অবস্থান কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সামান্তা। 

তিনি বলেন, তারা (সালাহ উদ্দিন) ঐকমত্য পোষণ না করার কথা এভাবে বলে দিতে পারছেন, এমন রিজিড অবস্থানে চলে যাওয়া আসলে তাদের পার্টি লাইন কি না, এ ব্যাপারটা এখনো বুঝতে পারছি না। অতীতে তাদের দলের বক্তব্য পরিবর্তনের নজির আছে। এ ক্ষেত্রেও এটা হবে কি না, তাদের কোনো একজন নেতা আবার নমনীয় অবস্থানে থাকবেন কি না, এটা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।


বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

স্বাধীনতা দিবসে মিরসরাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশিত :  ০৬:০০, ২৬ মার্চ ২০২৫

মিরসরাই উপজেলা ও দুই পৌরসভা বিএনপির নবগঠিত কমিটি ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সহ ৫০০ গজের মধ্যে এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার কথা ছিলো চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ও তার নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে, সকাল ১১টায় একই স্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করার প্রস্তুতি ছিলো উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরী ও সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আরেকটি গ্রুপের।

এর আগে সোমবার মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। মিরসরাইয়ে বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর সমর্থক পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মিরসরাই সদরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ঝাড়ু মিছিল বের করেন। এতে করে উপজেলায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা সদরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি সহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন।

বিএনপির উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মিরসরাই সদরে মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার সকালে মিরসরাই উপজেলা সদরে দেখা যায় শুনশান নীরবতা। উপজেলা প্রশাসন সহ কয়েকটি সংস্থা ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে উপজেলা সদরে দেখা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন বলেন, জনগণের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত ও পাঁচজনের অধিক চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। তবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে পালনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপর এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে জানান তিনি। উল্লেখিত আদেশ লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।