
জামালগঞ্জের সাচনাবাজারে অগ্নিকান্ডে ১০ দোকান পুড়ে ছাই, শিশু আহত

মশার কয়েলের আগুন থেকে সুনামগঞ্জের বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারে ১০ টি দোকান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে বাজারের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতির পাশাপাশি আগুনে পুড়ে এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
সোমবার সকালে সাচনাবাজারের সিএনবি রোডে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জামালগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আহত শিশুর নাম ফারদিন মিয়া (১৪)। তাকে সকালেই সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার দুই পা পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন, তার চাচা ব্যবসায়ী ওমর ফারুক।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সকালে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শন করেছেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর ও সাচনাবাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ আল আজাদসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, সম্ভবত মশার কয়েল থেকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। কারণ যে দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেই দোকানে এক শিশু মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছিল। আজ সকালে হটাৎ করে সাচনাবাজারের উত্তরদিকের সিএনবি রোডের ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের ফরিদ স্টোরে প্রথমে আগুন দেখা যায়। পরে আশপাশের বিভিন্ন দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফরিদ স্টোরের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা মালিকের ভাতিজা শিশু ফারদিন মিয়া আটকা পড়লে বাজারের লোকজন দোকানের সাটার ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। আগুনে তার দুই পা পুড়ে গেছে। তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাজারের ওমর ফারুক, আবু বক্কর, দেলোয়ার হোসেন, নিখিল চন্দ্র দে, সনিজত দে, হারুন মিয়া, আফজাল হোসেন, জুয়েল আহমদ, সুরঞ্জন চন্দ ও জাফর আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সাচনাবাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ আল আজাদ বলেন,‘ মশার কয়েলের আগুন থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। একটা ছেলে রাতে কয়েল জ্বালিয়ে দোকানে ঘুমিয়ে ছিল। সেই কয়েলের আগুন প্রথমে একটি কাপড়ে লেগেযায় এরপর ওই দোকানে পেট্রোল থাকায় আগুন দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ১০টি দোকানের এক কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।’
জামালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বিজন সিংহ বলেন,‘ খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, মশার কয়েলের আগুন থেইে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে। আগুনে বাজারের ১০ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ক্ষতির পরিমান কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর বলেন‘, যতটুকু জানা গেছে মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। যে দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত সেই দোকানে পেট্রোল ছিল তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ দোকানে ডিজেল-পেট্রোল রাখার ব্যপারে ব্যবসায়ীদের সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতার চেষ্টা করব আমরা।’