img

‘তুরিন আফরোজ ক্ষমতার সবরকম অপব্যবহার করেছেন’

প্রকাশিত :  ০৫:২৮, ১২ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩৯, ১২ মার্চ ২০২৫

‘তুরিন আফরোজ ক্ষমতার সবরকম অপব্যবহার করেছেন’

আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেছেন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর থাকা অবস্থায় ক্ষমতার সব রকম অপব্যবহার করেছে। তখন সে ছিল পরাক্রমশালী। এক মুহূর্তের মধ্যে তার মাকে বাড়ি থেকে বের দিয়েছেন। উত্তরার বাড়িতে সেই মায়ের থাকার নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানিতে বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে তিনি এসব কথা বলেন। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় পাঁচতলা বাড়িতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম এবং তুরিন আফরোজের ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ আহমেদের বসবাস করা নিয়ে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই বাড়িতে শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। 

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার মনজুর রাব্বী, ব্যারিস্টার আতিকুল হক। তুরিন আফরোজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল করিম।

সেদিন ব্যারিস্টার আতিকুল হক বলেন, রাজধানীর উত্তরায় পাঁচতলা বাড়িতে বসবাসকে কেন্দ্র করে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এর ফলে ওই বাড়িতে তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা নেই।

তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরার রেসিডেনন্সিয়াল মডেল টাউনের ১১ নম্বর সড়কের ৩ সেক্টরের ১৫ নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়িতে ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন শামসুন্নাহার বেগম এবং তার ছেলে শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ। তবে নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজকে ওই বাড়ি থেকে ২০১৭ সালে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। পরে ওই বাড়ির ভোগ দখল ও মালিকানা দাবি করে শাহনেওয়াজ ও তুরিন আফরোজ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দুটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করে। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর দুই পক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা জারি করে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। 

এরপর যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আবেদন করে শাহনেওয়াজ। পরে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখে জেলা জজ আদালত। এরপর ২০২৩ সালের মার্চে জেলা জেজ আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন দায়ের করে শাহনেওয়াজ।

২০২৩ সালের ২ এপ্রিল বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্তরায় ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থার আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। পরবর্তী সময়ে আদালত পরিবর্তিত হয়ে মামলাটি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ (অ্যাবসুলেট) ঘোষণা করে স্থিতাবস্থা বাতিল করে রায় দেয়। এর ফলে ওই বাড়িতে শাহনেওয়াজ ও তার মা শামসুন্নাহার বেগমের বসবাসের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই।

এখন বাড়ির ভোগ দখল ও মালিকানা দাবি করে দায়ের করা দুটি মামলাই বিচারিক আদালতে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে বলে জানান আইনজীবী আতিকুল হক।

উল্লেখ্য, বিচারিক আদালতের মামলার আরজিতে তুরিন আফরোজ দাবি করেছেন, তুরিনের মা শামসুন্নাহার ১৯৯১ সালে ক্রয়সূত্রে উত্তরার সম্পত্তির মালিক হন। পরের বছর ১৯৯২ সালে শামসুন্নাহার তার স্বামী তসলিম উদ্দিনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিযুক্ত করেন। পরে ১৯৯৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তসলিম উদ্দিন মেয়ে তুরিন আফরোজকে হেবা (দানপত্র) করেন। তবে শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আদালতে লিখিত জবাব দিয়ে বলেছেন, তসলিম উদ্দিন কখনো তার মেয়ে তুরিন আফরোজকে উত্তরার সম্পত্তি দান করেননি। বরং শামসুন্নাহার তার ছেলে শাহনেওয়াজকে উত্তরার সম্পত্তি ১৯৯৭ সালে হেবা করে দেন। পরে ওই জমি শাহনেওয়াজের নামে নামজারি করে ১৯৯৯ সালে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের কাছ থেকে ২৫ লাখ ঋণ নেওয়া হয়। এবং রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা বাড়িতে তারা ২০০২ সালে থেকে বসবাস করে আসছিলেন।

গভীর জঙ্গলে চলছে প্রশিক্ষণ

img

মাতৃভূমিতে ফিরতে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত :  ১৭:৫১, ২৭ মার্চ ২০২৫

রোহিঙ্গারা নিজেদের মাতৃভূমিতে ফিরতে সশস্ত্র প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারের জঙ্গলের ভেতরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন রোহিঙ্গা যুবকরা। গোপনে চলা এ প্রশিক্ষণের সময় কয়েকদিন পর পর সরিয়ে নিতে হচ্ছে তাঁবুও। দিনের পর দিন প্রশিক্ষণ শিবিরের আকার বাড়ছে। 

 ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে। 

সংবাদমাধ্যমটি বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা এবং একজন শরণার্থী শিবিরের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা যোদ্ধারা গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারে যান এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরে আসেন। তারা প্রস্তুত হচ্ছেন আবারও মিয়ানমারে গিয়ে সামরিক জান্তা ও প্রতিপক্ষ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়তে। 

নিজেদের সামরিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ২৫ বছর বয়সি রোহিঙ্গা তরুণ মোহাম্মদ আয়াস।  ২০১৭ সালে তিনি প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে শিশুদের বার্মিজ ভাষা শেখান। সম্প্রতি মিয়ানমারের জঙ্গলে ছয় মাসে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।  জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুদ্ধের। 

আয়াস বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত। আমার নিজের জীবনের পরোয়া নেই। আমাদের অধিকার, স্বাধীনতা আর মাতৃভূমি ফিরিয়ে আনতে যা লাগে আমি তা করতে প্রস্তুত। ’

ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, আয়াসের মতো শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থী স্বেচ্ছায় সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিচ্ছেন; যারা কুতুপালং শিবিরে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন। 

চার বছরের কন্যা সন্তানের জনক আয়াস জানান, তিনি ছয় মাস জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রতিদিন তারা তাঁবু স্থানান্তর করে অবস্থান বদলাতেন যেন ধরা না পড়েন। সকালে বাঁশির আওয়াজে ঘুম ভাঙত, তারপর শুরু হতো শারীরিক প্রশিক্ষণ। এরপর ভাগ হয়ে কেউ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মার্শাল আর্ট শিখতো, কেউ শিখতো প্রযুক্তিগত দক্ষতা—যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার, শত্রু নজরদারি ও কৌশলগত তথ্য সংগ্রহ।

দুপুরে গোসল, খাওয়া ও বিশ্রামের পর আবার শুরু হতো প্রশিক্ষণ।

আয়াস বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য শান্তি। আমরা অধিকার ও সুযোগ নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে চাই। কিন্তু আমাদের ভূমি আজ সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের দখলে। আমরা আমাদের মাতৃভূমি ফেরত চাই—এবং সেটার জন্য লড়াই করব।

তিনি তার গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি, তবে দাবি করেন, এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা যুবক ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। সব শিবিরেই নিয়োগ চলছে।

রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ করছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের মধ্যে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীরা উভয়পক্ষই তাদের (রোহিঙ্গাদের) গণহত্যা ও জোরপূর্বক নিয়োগের শিকার করছে। এক রোহিঙ্গা যোদ্ধা জানান, যদি সু চি ক্ষমতায় ফেরেন, তবে হয়তো পরিস্থিতি বদলাতে পারে—কিন্তু তারা আর অপেক্ষা করতে চান না।

৪২ বছর বয়সি আরেক যোদ্ধা আবু নিয়ামত উল্লাহ বলেন, আমাদের প্রধান শত্রু  মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, যারা গণহত্যা চালাচ্ছে, এরপর আরাকান আর্মি।

তিনি বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে, কেউ প্রশিক্ষণে মিয়ানমারে গিয়ে আবার ফিরে এসে শিবিরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করে।

‘কাউকে জোর করি না। শুধু বলি, তুমি কি ফিরতে চাও? কেউ রাজি হলে আমরা তাদের পথ দেখাই। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, চলছে।’

তিন সন্তানের বাবা নিয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর সবসময়ই অন্যায় হয়েছে।  অথচ বিশ্ব মিডিয়া শুধু গাজা ও ইউক্রেন নিয়ে ব্যস্ত। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আর অপেক্ষা করব না। সময় এসেছে নিজেদের রক্ষা করার, নিজের অধিকার আদায় করে নেওয়ার।’

৩০ বছর বয়সি রোহিঙ্গা কমান্ডার রাইনাইং সো (ছদ্মনাম) জানান, এখন আর শান্তির অপেক্ষা নয়—যদি শান্তি না আসে, তবে তারা লড়াই করতেই প্রস্তুত।

রাইনাইং বলেন, পুরো রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এখন ঐক্যবদ্ধ। আমরা সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে লড়তে চাই, আমাদের ভূমি ফেরত চাই, আমাদের অধিকার ফেরত চাই। 

তিনি জানান, ২০২১ সালের পর আরাকান আর্মির সঙ্গে সমন্বয়ের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। 

এই কমান্ডার বলেন, ‘তারা মুসলিমদের সঙ্গে কাজ করতে চায় না। শুধু বৌদ্ধদের নিয়ে কাজ করতে চায়। তাই এখন যারাই আমাদের সামনে আসবে—সেনাবাহিনী হোক বা আরাকান আর্মি—আমরা লড়াই করব।’

তবে শিবিরের রোহিঙ্গারা জোরপূর্বক নিয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় এক ডজন সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়; যাদের বিরুদ্ধে মাদক পাচার, চাঁদাবাজি, খুন ও মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে।

এদের মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গা সংহতি সংস্থা (আরএসও), আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা), আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) এবং ইসলামি মাহাজ।

এরমধ্যে আরএসও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে কাজ করছে এবং আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শরণার্থী শিবির থেকে জোরপূর্বক লোক নিয়োগ করছে। ইতোমধ্যে তাদের নাম খারাপ হওয়ায় তারা মাঝে মাঝে ‘মংডু মিলিশিয়া’ নামে পরিচয় দেয়।

ফর্টিফাই রাইটস-এর পরিচালক জন কুইনলি জানান, তাদের সংস্থা রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করছে।

তাদের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ১৭ বছরের কিশোরদেরও অপহরণ করে প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘শিবিরে মানবিক সহায়তা ক্রমাগত কমছে। রোহিঙ্গাদের চলাচলে কড়াকড়ি, শিক্ষার সুযোগ নেই, কোনো স্বাধীনতা নেই।’

২০২৩ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে প্রায় দুহাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে ফর্টিফাই রাইটস-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নিয়োগে ব্যবহার করা হয়েছে ‘আদর্শিক, জাতীয়তাবাদী ও আর্থিক প্রলোভন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, হুমকি ও বাধ্যতামূলক কৌশল’।

এছাড়াও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউএসএইড বন্ধের নির্বাহী আদেশও বড় হুমকি। কারণ, শিবিরের মানবিক সহায়তার ৫৫ শতাংশই ইউএসএইড থেকে আসত।

কুইনলি বলেন, ‘এই অবস্থায়, আরও মানুষ অস্ত্র হাতে নেওয়ার পথ বেছে নিতে পারে—যদি না বাংলাদেশ সরকার তাদের কাজের সুযোগ, স্বাধীন চলাফেরা বা সম্মানজনক জীবন যাপনের অনুমতি দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের সঙ্গে আমি শিবিরে কথা বলেছি, তারা প্রবল হতাশ ছিলেন। অনেকের জন্য অস্ত্র তুলে নেওয়াই এখন নিজের ভাগ্য গড়ার একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’