img

কিয়ারার আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনয় লুকিয়ে দেখতেন সিদ্ধার্থ

প্রকাশিত :  ০৯:০৪, ১৩ মার্চ ২০২৫

কিয়ারার আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনয় লুকিয়ে দেখতেন সিদ্ধার্থ

তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা বলিউডে এক দশকের ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘শেরশাহ’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তারা। সেই সময় থেকে একে অপরের প্রেমে পড়েন। প্রেম অবশেষে বিয়েতে রূপ নেয়। বিয়ের বছর দুয়েকের মাথায় সুখবর দিলেন এ জুটি। তারা মা-বাবা হতে চলেছেন।

যদিও তাদের প্রেম-ভালোবাসা আর ভালো লাগার অনুভূতি আরও আগে থেকেই ছিল। এমনই একদিনের ঘটনা, যখন কিয়ারা আদভানি আপত্তিকর দৃশ্যে চরম সুখপ্রাপ্তির অভিনয় করছেন, সেই সময় সেটে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। কিয়ারার অভিনয় সামনে থেকেই উপভোগ করেন তিনি। 

একটা আপত্তিকর দৃশ্য। আর তাকে ঘিরে হাজারো বিতর্ক। তবে বিতর্কে আর যা-ই হোক না কেন, আখেরে লাভ হয়েছে কিয়ারার। ‘লাস্ট স্টোরিজ’-এ আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনয় করে ঝড় তুলেছিলেন অভিনেত্রী। সেই দৃশ্যে শুটিং করতে তার মোটেই অস্বস্তি হয়নি। চিত্রনাট্য অনুযায়ী শুটিং হয়েছে, এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন কিয়ারা আদভানি। 

তবে অভিনেত্রী যেদিন সেই দৃশ্য শুট করছিলেন, ঠিক পুরোটাই সামনে থেকে দেখেন সিদ্ধার্থ। আসলে করণ জোহরের মারফত আগে থেকেই বিষয়টি জানতেন অভিনেতা। যে কারণে সেদিন শুটিং দেখতে স্পটে হাজির হন অভিনেতা। 

তখনই কাছ থেকে দেখে কিয়ারাকে মেয়ে হিসেবে বড্ড ঘরোয়া বলে মনে হয় অভিনেতার। সিদ্ধার্থ বলেন, ‘কিয়ারা জানত না যে আমি শুটের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ও নিজের চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ সাহসী।’


img

কারাগারে ৮০ শতাংশ মহিলাই নির্দোষ: কারাবাসের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনলেন রিয়া

প্রকাশিত :  ০৬:০২, ২৬ মার্চ ২০২৫

অভিনেত্রী রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসেও ছিলেন তিনি।

ছাড়পত্র পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। সিবিআই তার অন্তিম রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসে ছিলেন তিনি।

কারাবাসের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন রিয়া। কারাবাসের অন্দরের সঙ্গে বাইরের জগতের কোনও মিল নেই বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “কারাগারের মধ্যে কোনও সমাজ নেই। তাই বাকি দুনিয়ার থেকে পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। তবে কারাগারের অন্দরে সমতা রয়েছে। ওখানে আলাদা করে কোনও পরিচিতি নেই কারও। সবাই এক একটা সংখ্যা সেখানে।”

তদন্ত চলাকালীন যে মহিলারা কারাবাসে থাকেন, তাঁদের বেশির ভাগই নির্দোষ বলে দাবি রিয়ার। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, অভিযুক্ত মহিলাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নির্দোষ ছিলেন। বাকি ২০ শতাংশ স্বীকার করতেন যে তাঁরা অপরাধ করেছেন। হয় নিজেকে বাঁচানোর জন্য অপরাধ করেছেন বা অন্য কোনও কারণে।”

রিয়া আরও বলেন, “বিচার পেতে অনেকটা সময় লাগে। তাই এই নির্দোষ মহিলাদেরও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় কারাবাসে কাটাতে হয়। কেউ কেউ দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই সাত-আট বছর কারাবাসে কাটিয়ে দেন।”

কারাগারের ভিতরে কী কী অসুবিধা হয় সেগুলিও জানিয়েছেন রিয়া। অভিনেত্রীর কথায়, “কারাগারের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায় না। বাইরের জগতের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ হয়তো পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে ফেলেছেন দীর্ঘ দিন কারাবাসে থাকতে থাকতে। প্রতি দিন কারাবাসে টিকে থাকাই কঠিন। এক একটা দিন এক একটা বছরের মতো মনে হয় কারাগারের মধ্যে। আমিও কঠিন সময় কাটিয়েছিলাম। অবশ্যই কারাগারের মধ্যে অবসাদ রয়েছে। সেই অন্ধকার জগতের সাক্ষী আমিও।”