img

৯ মিনিটেই শেষ পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ ট্রেনের টিকিট

প্রকাশিত :  ০৫:৪৫, ১৪ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০২, ১৪ মার্চ ২০২৫

৯ মিনিটেই শেষ পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ ট্রেনের টিকিট
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ট্রেনে ঈদ যাত্রার প্রথম দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল আটটায়। এ সময় বিক্রি করা হয় পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। টিকেট বিক্রি শুরুর প্রথম ৯ মিনিটের মধ্যেই এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে। বাকি ট্রেনগুলোর ৪/৫টি করে টিকিট এখনো অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টায় রেলের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম অভিমুখী কোনো ট্রেনের টিকিট অবশিষ্ট নেই। তবে, ওই সময় পর্যন্ত পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, পার্বতীপুর ও রাজশাহীগামী ট্রেনের টিকিট অবশিষ্ট ছিল। সকাল ১১টার দিকে মোটামুটি সব অঞ্চলের ট্রেনের টিকিটই শেষ হয়ে গেছে। এর ফাঁকেও একটি দুটি ট্রেনের টিকিট মাঝেমধ্যে দেখাচ্ছে।
এদিকে ১৪ মার্চ দেওয়া হয়েছে আগামী ২৪ মার্চের অগ্রিম টিকিট। অর্থাৎ আজকে টিকিট কাটলে ২৪ তারিখে ট্রেনে ঈদ যাত্রা করতে পারবে যাত্রীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে আজ। সবমিলিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার ২৫৭টি টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল আটটা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলের ট্রেনে প্রায় ১৭ হাজারের মতো টিকিট রয়েছে। টিকিট বিক্রির আট থেকে নয় মিনিটের মধ্যে মোটামুটি টিকিট শেষ হয়ে গেছে। যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় টিকিটের সংখ্যা কম হলে সবাই টিকিট পাচ্ছে না। এদিকে শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে অনলাইনে।

রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল ১৫ মার্চ বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চের অগ্রিম টিকিট। পর্যায়ক্রমে ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৬ মার্চ। ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৭ মার্চ। ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৮ মার্চ। ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ।
img

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত এক যুগের প্রতীক্ষিত আন্তঃনগর `বুড়িমারী এক্সপ্রেস\' ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন ঢাকাস্থ (ঢাকা - বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ (ঢাকা টু বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সমন্নয়কদের পক্ষে- এ্যাড. মমিনুর  রহমান সহ বক্তারা বলেন, আমরা লালমনিরহাট জেলার, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১৯ লক্ষাধিক নিরীহ ও অবহেলিত জনগণ বিনয়ের সহিত আবেদন করিতেছি যে, আমাদের দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রাণের দাবি আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। দীর্ঘদিন যাবত আমরা রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে যাচ্ছি, কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বৈষম্যবাদী মনোভাব থাকায় আমরা উল্লেখিত চার উপজেলার জনসাধারণ সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াতে ব্যবসায়ী ও পর্যটকগণ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

অথচ বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। বুড়িমারী যাতায়াতে অবহেলিত সড়ক পথের এহেন বেহাল অবস্থা, এ অবস্থায় নিরাপত্তা বেষ্টিত এক্সপ্রেস ট্রেন সেবা থেকে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরূপ বৈষম্য দূরীকরণে আপনার সদয় সহানুভূতি কামনা করছি। উল্লেখ্য যে, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বৈষম্যতা দূরীকরণে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে সেই দেশে চার উপজেলা বাসীগণ আমাদের বরাদ্দকৃত আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও, আমাদেরকে সেই সেবা থেকে বৈষম্যতা করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে লালমনিহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রধান করেছিলাম এবং অপরদিকে মাননীয় রেল উপদেষ্টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা ও সচিব রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে রেল ভবন ঢাকা, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট সহ ডাকযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।