
পশ্চিম লন্ডনে ১০ দিনেরও বেশি সময় বাথটাবে পড়ে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার

পশ্চিম লন্ডনের ব্রেন্টফোর্ডে এক ব্যক্তি ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বাথটাবে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ৪৬ বছর বয়সী জেসন লায়ন্সের মরদেহ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিম লন্ডনের একটি বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি মৃত্যুর মাত্র ১১ দিন আগে ব্রিক্সটন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, তার শরীরের নিচে একটি আয়না ও রূপালি ফয়েলের মধ্যে ‘পোড়া ছাইয়ের মতো’ একটি অজানা পদার্থ পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্যের কারাগার ও প্রবেশন ওম্বুডসম্যান (PPO) এই ঘটনা তদন্ত করে, যারা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বর্তমান ও সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখে।
জেসন লায়ন্স ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে এইচএমপি ব্রিক্সটন থেকে মুক্তি পান এবং ২৬ সেপ্টেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে তার মরদেহ গুরুতরভাবে পচে যাওয়ায় ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে এক করোনার (ময়নাতদন্তকারী) জানান, তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
PPO-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লায়ন্স অতীতে মাদক সেবনের ইতিহাস থাকলেও তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি মাদকমুক্ত এবং কোনো সহায়তা প্রয়োজন নেই।
এছাড়া, তিনি উদ্বেগ ও হতাশায় ভুগছিলেন, তবে তার কারাগার থেকে মুক্তির আগে তার আত্মহত্যার ঝুঁকি বা উচ্চতর বিপদের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে PPO জানায়।
কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল না
PPO প্রধান অ্যাড্রিয়ান উশার জানান, এই ঘটনায় কারাগার বা প্রবেশন কর্মকর্তাদের কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে মৃত্যুর পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’।
তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত, তিনি ১০ দিনেরও বেশি সময় আগে মারা গিয়েছিলেন, তারপর তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনা কারাগার ও প্রবেশন বিভাগের কর্মীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা যে, যারা মুক্তির পর সহায়তা নিতে অস্বীকার করেন বা পুনর্বাসন সেবায় অংশ নেন না, তারা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।”