img

কমলগঞ্জে পূর্ণিমা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার, ডনের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত :  ০৬:৪২, ১৯ মার্চ ২০২৫

 কমলগঞ্জে পূর্ণিমা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার, ডনের স্বীকারোক্তি

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের আলোচিত স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা রেলী (১০) হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি উজ্জ্বল বাউরী ডন (২৩) ও অপর আসামি দিবস রেংগেটকে সাথে নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পূর্ণিমা রেলীকে হত্যা করেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত উজ্জ্বল বাউরী ডনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে মৃতদেহের ২০ ফুট দুরে চা গাছের ঝোপের মধ্যে লুকানো অবস্থায় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা (শুকনো রক্ত) এবং আসামি ডনের বাড়ির পেছনে মাটির নিচ থেকে সাইকেলের প্যাডেল (যার একটি ভাঙ্গা অংশ মৃত দেহের পাশ থেকে পূর্বে জব্দ করা হয়েছে) উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি শমশেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর টিলা থেকে চা শ্রমিক কন্যা পূর্ণিমা রেলী (১০) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা ৩ জোড়া স্যান্ডেল, একটি সাইকেলের প্যাডেল, পুরাতন একটি গামছার সুত্র ধরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটনার সাথে জড়িত দিবস রেংগেট (১৯) ও ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে উজ্জ্বল বাউরি প্রকাশ ডন (২৩)কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরে তাদের মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামি দিবস রেংগেট ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে পূর্ণিমা রেলীকে গলা কেটে ও হাতের কব্জি কেটে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

দুই মিশন নিয়ে লন্ডনে সাবেক মেয়র আরিফুল

প্রকাশিত :  ০৯:০১, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সিলেটের সাবেক মেয়র, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী লন্ডনে এসেছেন। হঠাৎ এ সফর নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। বিশ্বস্ত সূত্র বলছেন, আরিফুল হক চৌধুরী দুটি মিশন নিয়ে লন্ডনে এসেছেন। প্রথম মিশন হচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন সেটা তিনি গ্রহণ করবেন কি না- এমন সিদ্ধান্তের জন্য তারেক রহমানের মতামত নিতে চান তিনি। তারেক রহমানের সিগন্যাল পেলে তিনি সরকারকে সম্মতি জানাবেন।

দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করার পেছনে আরেকটি মিশন হচ্ছে, যদি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন তাহলে তিনি ভবিষতে এমপি পদে নির্বাচনের সুযোগ পাবেন কি না। কারণ সিলেট-১ আসনে আরও কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন। আরিফুল হকের মূল টার্গেট সংসদ নির্বাচন। তিনি তাই সেটার নিশ্চয়তা চাইবেন তারেক রহমানের কাছে। এ ক্ষেত্রে তিনি সিসিক প্রশাসকের দায়িত্ব ছেড়ে দিতেও রাজি।

গত রবিবার লন্ডন সময় বিকাল ৪টায় তিনি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছালে যুক্তরাজ্য বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী তাকে স্বাগত জানান। জানা গেছে, ২/১ দিনের মধ্যেই তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। এদিকে হিথ্রো বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লন্ডনে সবার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে এসেছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে প্রার্থিতা হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মূল টার্গেট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা। তারপর দলের সিদ্ধান্তই সবকিছু। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে সিলেটের কোনো দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সিলেটে দুর্র্নীতি নিয়ে তথ্য সামনে আনব। এর আগে গত সপ্তাহে ঢাকা দক্ষিণ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের জন্য লন্ডনে আসেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। দেশে ফিরে গিয়েই তিনি সম্মতি দেওয়ার পর গতকাল ২৭ এপ্রিল তাকে মেয়র ঘোষণা করে সরকার গেজেট প্রকাশ করেছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর