img

সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ, কত নম্বরে বাংলাদেশ?

প্রকাশিত :  ০৭:৪২, ২০ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৪৩, ২০ মার্চ ২০২৫

সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ, কত নম্বরে বাংলাদেশ?

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭ দেশের মধ্যে ১৩৪তম। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫-এর প্রতিবেদনে এ র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়েছে। 

এর আগে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৩ দেশের মধ্যে ছিল ১২৯তম। ২০২৩ সালে এই তালিকায় বাংলাদেশ ছিল ১১৮তম।

অন্যদিকে সুখী দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান ১১৮তম, পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯তম, মিয়ানমারের অবস্থান ১২৬তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩৩তম এবং নেপালের অবস্থান ৯২তম। 

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা অষ্টমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড। ফিনল্যান্ডের পর যথাক্রমে রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন, নেদারল্যান্ড, কোস্টা রিকা, নরওয়ে।  

এ ছাড়া সুখী দেশের তালিকায় ৮তম স্থানে রয়েছে ইসরায়েল। এরপরেই আছে লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, অষ্ট্রিয়া, ক্যানাডা, স্লোভেনিয়া। 

অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে আবারও স্থান পেয়েছে আফগানিস্তান। এরপরেই পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন দ্বিতীয় অসুখী দেশ হিসেবে তালিকায় রয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে লেবানন, যা নিচ থেকে তৃতীয়।

সুখী দেশের এই তালিকা তৈরি করার জন্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে জরিপ চালানো হয়। জরিপে যেসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়, তার মধ্যে রয়েছে একজন মানুষের নিজের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা (তার নিজের বিবেচনা অনুযায়ী), মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সুরক্ষা ও সহায়তা পরিস্থিতি, স্বাধীনতা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, গড় আয়ু ও দুর্নীতির মাত্রা। 

এই গবেষণাটি অ্যানালিটিক্স সংস্থা গ্যালাপ ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সলিউশন নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। 


img

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত এক যুগের প্রতীক্ষিত আন্তঃনগর `বুড়িমারী এক্সপ্রেস\' ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন ঢাকাস্থ (ঢাকা - বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ (ঢাকা টু বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সমন্নয়কদের পক্ষে- এ্যাড. মমিনুর  রহমান সহ বক্তারা বলেন, আমরা লালমনিরহাট জেলার, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১৯ লক্ষাধিক নিরীহ ও অবহেলিত জনগণ বিনয়ের সহিত আবেদন করিতেছি যে, আমাদের দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রাণের দাবি আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। দীর্ঘদিন যাবত আমরা রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে যাচ্ছি, কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বৈষম্যবাদী মনোভাব থাকায় আমরা উল্লেখিত চার উপজেলার জনসাধারণ সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াতে ব্যবসায়ী ও পর্যটকগণ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

অথচ বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। বুড়িমারী যাতায়াতে অবহেলিত সড়ক পথের এহেন বেহাল অবস্থা, এ অবস্থায় নিরাপত্তা বেষ্টিত এক্সপ্রেস ট্রেন সেবা থেকে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরূপ বৈষম্য দূরীকরণে আপনার সদয় সহানুভূতি কামনা করছি। উল্লেখ্য যে, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বৈষম্যতা দূরীকরণে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে সেই দেশে চার উপজেলা বাসীগণ আমাদের বরাদ্দকৃত আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও, আমাদেরকে সেই সেবা থেকে বৈষম্যতা করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে লালমনিহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রধান করেছিলাম এবং অপরদিকে মাননীয় রেল উপদেষ্টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা ও সচিব রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে রেল ভবন ঢাকা, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট সহ ডাকযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।