img

লোহাগড়ায় নদীতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৮:২০, ২০ মার্চ ২০২৫

লোহাগড়ায় নদীতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া  উপজেলায় মল্লিকপুর ইউনিয়নের পাচুড়িয়া গ্রামে নবগঙ্গা নদীর পানিতে ডুবে আয়শা (১০) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে সাথীদের নিয়ে নবগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে নদীর পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে কিশোরী আয়শা। 

প্রতক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, আয়শা কিশোরগঞ্জ জেলার রফিক শেখের মেয়ে। মৃত আয়শার বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা শিল্পী বেগম উভয় সৌদি প্রবাসী। আয়শার মা, বাবা প্রবাসে থাকার কারনে ছোট বেলা থেকে পাচুড়িয়া গ্রামের খালু আব্দুল মান্নান শেখের বাড়িতে খালার কাছে লালিত পালিত হয়। আয়শা পাচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। খেলার সাথীদের নিয়ে নবগঙ্গা নদীতে গোসেল করতে গেলে এক পর্যায়ে নদীর স্রোতে তলিয়ে যায়। সাথীদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এসে তাকে নদী থেকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ খালেদ সাইফুল্লাহ বেলাল মৃত  বলে ঘোষনা করেন। 

এঘটনায় লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরাদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

img

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত এক যুগের প্রতীক্ষিত আন্তঃনগর `বুড়িমারী এক্সপ্রেস\' ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন ঢাকাস্থ (ঢাকা - বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ (ঢাকা টু বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সমন্নয়কদের পক্ষে- এ্যাড. মমিনুর  রহমান সহ বক্তারা বলেন, আমরা লালমনিরহাট জেলার, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১৯ লক্ষাধিক নিরীহ ও অবহেলিত জনগণ বিনয়ের সহিত আবেদন করিতেছি যে, আমাদের দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রাণের দাবি আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। দীর্ঘদিন যাবত আমরা রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে যাচ্ছি, কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বৈষম্যবাদী মনোভাব থাকায় আমরা উল্লেখিত চার উপজেলার জনসাধারণ সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াতে ব্যবসায়ী ও পর্যটকগণ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

অথচ বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। বুড়িমারী যাতায়াতে অবহেলিত সড়ক পথের এহেন বেহাল অবস্থা, এ অবস্থায় নিরাপত্তা বেষ্টিত এক্সপ্রেস ট্রেন সেবা থেকে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরূপ বৈষম্য দূরীকরণে আপনার সদয় সহানুভূতি কামনা করছি। উল্লেখ্য যে, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বৈষম্যতা দূরীকরণে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে সেই দেশে চার উপজেলা বাসীগণ আমাদের বরাদ্দকৃত আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও, আমাদেরকে সেই সেবা থেকে বৈষম্যতা করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে লালমনিহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রধান করেছিলাম এবং অপরদিকে মাননীয় রেল উপদেষ্টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা ও সচিব রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে রেল ভবন ঢাকা, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট সহ ডাকযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।