img

ভারতের বিপক্ষে ইলন মাস্কের মামলা

প্রকাশিত :  ০৫:২৬, ২১ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৪০, ২১ মার্চ ২০২৫

ভারতের বিপক্ষে ইলন মাস্কের মামলা

ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সেন্সরশিপ বাড়ানোর নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়- এমন অভিযোগ করেছেন এক্স হ্যান্ডেলের মালিক ইলন মাস্ক।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানায়, গত ৫ মার্চ কর্ণাটকের আদালতে এক্স এই মামলা দায়ের করেছে বলে বৃহস্পতিবার জানা গেছে। ইলন মাস্ক পরিচালিত এক্স অভিযোগ করেছে, ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সমাজ মাধ্যমের কনটেন্ট বা বিষয়ের উপর সেন্সরশিপ আরোপ করার নানা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। এটি সমাজ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে এক্স।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নোটিস দিয়ে জানিয়েছে, সমাজ মাধ্যমের কোনো পোস্ট ব্লক করার জন্য যে কোনো সরকারি অফিস ওই ওয়েবসাইটে নোটিস ইস্যু করতে পারবে।

এক্স-এর অভিযোগ, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভারত সরকার চরম সেন্সরশিপের ব্যবস্থা করেছে। এটি ব্যবহার করে তারা যে অপছন্দের কনটেন্ট ব্লক করে দিতে পারে বলে অভিযোগ। যা সমাজমাধ্যম সংস্থা হিসেবে এক্স-এর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে আদালতে বলা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহেই আদালতে শুনানি হয়েছে। আদালত পরবর্তী শুানির তারিখ দিয়েছে ২৭ মার্চ। 

ভারতে মাস্কের অন্যান্য সংস্থা

সম্প্রতি মাস্ক জানিয়েছেন, ভারতে টেসলা এবং স্টারলিংকের ব্যবসা শুরু করা হবে। মুম্বইয়ে টেসলায় কাজ করার জন্য লোক চেয়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। জিও এবং ভারতীয় এয়ারটেলের সঙ্গে স্টারলিংক নিয়ে চুক্তিও হয়েছে মাস্কের। তবে ভারত সরকরারে সঙ্গে এখনও চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি মাস্কের।

শুল্ক নিয়েও ভারতের সঙ্গে অ্যামেরিকার দড়ি টানাটানি চলছে। আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বস্তুত, একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ভারত অ্যামেরিকার জিনিসের উপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক বসায়। তারই প্রেক্ষিতে অ্যামেরিকা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে অ্যামেরিকার। কিন্তু এখনো কোনো সমাধানসূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে এক্স-এর এই মামলা পরিস্থিতি আরো জটিল করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

img

দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

প্রকাশিত :  ০৫:২২, ২০ মে ২০২৫

স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘স্টারলিংক অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটি ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর