img

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘পূর্ণ সমর্থন’ ট্রাম্পের: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত :  ০৬:২৫, ২১ মার্চ ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘পূর্ণ সমর্থন’ ট্রাম্পের: হোয়াইট হাউস

দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নারকীয় তাণ্ডব চালাচ্ছে। গত কয়েকদিনে ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি।

বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। তবে এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘পূর্ণ সমর্থন’ আছে ট্রাম্পের। একইসঙ্গে গাজায় চলমান গণহত্যার জন্য হামাসকে অভিযুক্ত করেছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল আক্রমণ পুনরায় শুরু করার বিষয়টিকে “পূর্ণ সমর্থন” করেন। এছাড়া গত মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন তিনি।

ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লিভিট বলেন, “তিনি ইসরায়েল ও আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন।”

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল তা একতরফাভাবে লঙ্ঘন করে এবং গত মঙ্গলবার থেকে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যার মধ্যে ২০০ শিশুও রয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ১০৪২ জন।

এছাড়া বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু রয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডে রক্তপাতের জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন লিভিট।

হোয়াইট হাউসের এই প্রেস সেক্রেটারি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসকে স্পষ্ট করে বলেছেন— যদি তারা সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দেয় তবে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে এবং দুর্ভাগ্যবশত, হামাস গণমাধ্যমে জীবন নিয়ে খেলা করাকেই বেছে নিয়েছে।”

লিভিট আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে “সম্পূর্ণরূপে দোষ হামাসের”। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান— ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে বন্দি “সকল জিম্মিকে” মুক্তি দেওয়া হোক।

এদিকে বৃহস্পতিবারের রক্তাক্ত ঘটনার বিষয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উত্তরাঞ্চলের জরুরি পরিষেবার প্রধান ফারেস আওয়াদ বলেন, “বেইত লাহিয়ার জনগণের জন্য এটি ছিল এক রক্তাক্ত রাত। উদ্ধারকারীরা এখনও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ।”

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করল পাকিস্তান

প্রকাশিত :  ১০:২৩, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো গোলাগুলি হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। রাষ্ট্র পরিচালিত রেডিও পাকিস্তান এবং পিটিভি নিউজ নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আজাদ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে একটি ভারতীয় কোয়াডকপ্টার ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে। পেহেলগাম হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজের মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।

স্থানটি নির্দিষ্ট করে নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান তার আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় একটি ভারতীয় কোয়াডকপ্টার সফলভাবে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। শত্রু আজাদ কাশ্মীরের ভিম্বের জেলার মানাওয়ার সেক্টরে একটি কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করে নজরদারির চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সময়মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে শত্রুর এই নিকৃষ্ট প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়।

নিরাপত্তা সূত্র এই ঘটনাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সতর্কতা, পেশাদার দক্ষতা এবং প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতির স্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে অভিহিত করে। এক সামরিক সূত্র বলেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী সর্বদা শত্রুর যেকোনো আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক ও কার্যকর জবাব দিতে প্রস্তুত। সমগ্র জাতি প্রতিটি ফ্রন্টে শত্রুকে যথাযথ জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘পরিমিত ও কার্যকরভাবে’ জবাব দিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৮-২৯ এপ্রিল রাতে পাকিস্তানি সেনারা কুপওয়ারা ও বারামুলা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা এবং আখনুর সেক্টরে অপ্ররোচিতভাবে ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই উত্তেজনার পরিমিত ও কার্যকর জবাব দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে এতে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।