img

হিথ্রো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

প্রকাশিত :  ০৪:৪৯, ২২ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:১৩, ২২ মার্চ ২০২৫

হিথ্রো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর শুক্রবার দিনভর বন্ধ থাকার পর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় সীমিত আকারে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। কাছের একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিমানবন্দরটি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েন। বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। খবর-বিবিসি

হিথ্রো বিমানবন্দরে মোট কত ফ্লাইটের উড্ডয়ন ও অবতরণ শুক্রবার বন্ধ থাকতে পারে সে সম্পর্কে সরকারি কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে ফ্লাইট রাডার২৪ জানিয়েছে, এ সংখ্যা কমপক্ষে ১ হাজার তিনশ’ ৫১টি হতে পারে। এটি যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৩০০টি ফ্লাইটের অবতরণ ও উড্ডয়ন হয়। গত বছর রেকর্ড ৮ কোটি ৩৯ লাখ যাত্রী এ টার্মিনাল দিয়ে ভ্রমণ করেছেন।

এদিকে এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ কর্মী কাজ করছেন। বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র এলাকার আকাশে আগুনের লেলিহান শিখা ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা যায়।

উড়োজাহাজের চলাচল অনুসরণকারী (ফ্লাইট ট্র্যাকিং) ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুসারে, ইতিমধ্যে বেশ কিছু ফ্লাইট অন্যান্য বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রী ও সহকর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ২১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের এই বিমানবন্দরে না আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙ্গলেন বৃটিশ পর্বতারোহী

প্রকাশিত :  ১২:১৬, ১৯ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫২, ১৯ মে ২০২৫

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে ১৯তমবারের মতো আরোহণ করে নিজের গড়া রেকর্ড ভাঙলেন ব্রিটিশ পর্বতারোহী কেন্টন কুল। নেপালিদের বাইরে এভারেস্টজয়ীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশিবার এই শৃঙ্গ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করলেন।

এই বসন্ত মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া ও অপেক্ষাকৃত শান্ত বাতাসের সুযোগে এ পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি পর্বতারোহী এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন। কিন্তু ৫১ বছর বয়সী পর্বতারোহী কুল ২০০৪ সালে প্রথমবার এভারেস্টে আরোহণ করেন এবং এর পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই শৃঙ্গে ওঠার অভিযান চালিয়ে আসছেন।

নেপালের স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ১১টায় তিনি চূড়ায় পৌঁছন বলে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানানো হয়।

২০২১ সালে ১৫তম আরোহণে তিনি আমেরিকান ডেভ হানের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয় করা নেপালি নন, এমন পর্বতারোহীর তালিকায় উঠে আসেন। পরের বছর ১৬তম আরোহণে এককভাবে এই শিরোপা নিজের করে নেন।

১৯৯৬ সালে এক রক ক্লাইম্বিং দুর্ঘটনায় দুই পায়ের গোড়ালির হাড় ভেঙে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা কুলকে জানিয়েছিলেন, তিনি আর কোনো দিন নিজের পায়ে হেঁটে চলতে পারবেন না।

২০২২ সালে এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তার এই রেকর্ড ততটা বিস্ময়কর নয়, কারণ অনেক নেপালি শেরপাই তার চেয়ে অনেক বেশিবার এভারেস্ট জয় করেছেন।

তিনি বলেন, ‘শেরপারা এতবার উঠেছেন যে আমি নিজেই অবাক হই, মানুষ আমার বিষয়ে এত আগ্রহ দেখায় কেন।’

অন্যদিকে ৫৫ বছর বয়সী নেপালি পর্বতারোহী কামি রিতা শেরপা এবার তার ৩১তম এভারেস্ট আরোহণের মাধ্যমে নিজের বিশ্বরেকর্ড ভাঙার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কুলের সর্বশেষ এভারেস্ট জয়ের এই খবরে আসে এমন এক সপ্তাহে, যখন এ পর্বতে এক ফিলিপিনো ও এক ভারতীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে।

এ মৌসুমে নেপালি কর্তৃপক্ষ ৪৫৮টি আরোহণ অনুমতিপত্র ইস্যু করেছে। এর ফলে এভারেস্টের পাদদেশে বিদেশি পর্বতারোহী ও তাদের সহায়তাকারীদের জন্য তাঁবু শহর গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ পর্বতারোহীই নেপালি গাইডদের সহায়তায় পর্বতারোহণ করেন, ফলে এ মৌসুমে ৯ শতাধিক মানুষ এভারেস্ট চূড়ার পথে পা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে আটটিই নেপালে অবস্থিত, ফলে প্রতি বসন্তেই শত শত অভিযাত্রী দেশটিতে যান। ১৯৫৩ সালে এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে শেরপার প্রথম সফল আরোহণের পর থেকে নেপালে পর্বতারোহণ এক লাভজনক বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে।

গত বছর আট শতাধিক অভিযাত্রী এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছন, যার মধ্যে ৭৪ জন উত্তরে তিব্বতের দিক থেকে অভিযান পরিচালনা করেন।


 


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর