img

গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত :  ০৫:১৬, ২৩ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

গাজীপুরের কাশিমপুরের একটি বাড়ির কক্ষ থেকে স্ত্রী-সন্তান ও স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের ধারণা।

আজ রোববার (২৩ মার্চ) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন গোবিন্দবাড়ি দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন—মো. নাজমুল ইসলাম (২৯), স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২২) ও তাদের চার বছরের সন্তান নাদিয়া আক্তার। নিহত নাজমুল টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার শুলাপ্রতিমা গ্রামের মো. আবুর ছেলে। তার কোনো পেশা ছিল না এবং তিনি নেশা করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, গাজীপুর মহানগরীর গবিন্দবাড়ি এলাকায় শ্বশুড়ের বাড়িতেই স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে নাজমুল ইসলাম বসবাস করতেন। অনেকদিন ধরেই নানা বিষয় নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। এসব নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গত শনিবার রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তারা নিজ ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। পরদিন ঘুম থেকে না ওঠায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পরিবারের লোকজন তাদের ডাকাডাকি করতে থাকেন। কোনো সারাশব্দ না পেয়ে তারা ঘরের পেছন দিকের জানালা টেনে ফাঁকা করে দেখেন নাজমুলের মরদেহ ঝুলে আছে। পরে ঘরের দরাজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখেন খাদিজা ও নাদিয়ার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

img

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত এক যুগের প্রতীক্ষিত আন্তঃনগর `বুড়িমারী এক্সপ্রেস\' ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন ঢাকাস্থ (ঢাকা - বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ (ঢাকা টু বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সমন্নয়কদের পক্ষে- এ্যাড. মমিনুর  রহমান সহ বক্তারা বলেন, আমরা লালমনিরহাট জেলার, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১৯ লক্ষাধিক নিরীহ ও অবহেলিত জনগণ বিনয়ের সহিত আবেদন করিতেছি যে, আমাদের দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রাণের দাবি আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। দীর্ঘদিন যাবত আমরা রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে যাচ্ছি, কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বৈষম্যবাদী মনোভাব থাকায় আমরা উল্লেখিত চার উপজেলার জনসাধারণ সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াতে ব্যবসায়ী ও পর্যটকগণ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

অথচ বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। বুড়িমারী যাতায়াতে অবহেলিত সড়ক পথের এহেন বেহাল অবস্থা, এ অবস্থায় নিরাপত্তা বেষ্টিত এক্সপ্রেস ট্রেন সেবা থেকে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরূপ বৈষম্য দূরীকরণে আপনার সদয় সহানুভূতি কামনা করছি। উল্লেখ্য যে, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বৈষম্যতা দূরীকরণে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে সেই দেশে চার উপজেলা বাসীগণ আমাদের বরাদ্দকৃত আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও, আমাদেরকে সেই সেবা থেকে বৈষম্যতা করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে লালমনিহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রধান করেছিলাম এবং অপরদিকে মাননীয় রেল উপদেষ্টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা ও সচিব রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে রেল ভবন ঢাকা, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট সহ ডাকযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।