img

ঈদ-পুনর্মিলনীর আড়ালে আওয়ামী লীগের সমাবেশ, এলাকায় অস্বস্তি

প্রকাশিত :  ০৪:৫৯, ২৪ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৪৯, ২৪ মার্চ ২০২৫

ঈদ-পুনর্মিলনীর আড়ালে আওয়ামী লীগের সমাবেশ, এলাকায় অস্বস্তি

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ১নং বাবরা হাচলা ইউনিয়নের শুক্তগ্রাম দত্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাগমের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাসান সরদার, আশফাকুর রহমান, চম্পক ঘোষ, রমজান, হিরক সরদার ও সাইফ জামান—যারা অবৈধভাবে নির্বাচিত এমপি কবিরুল হক মুক্তির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত, তারা এই আয়োজনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও দত্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ ব্যানারে আসতে না পারায় আয়োজকরা ঈদ পুনর্মিলনীর নামে মূলত দলীয় লোকসমাগম ঘটিয়ে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াত পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করায় পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিতে পারে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের উপনির্বাচনের (নড়াইল-১) সময় আওয়ামী লীগ ক্যাডার হিরক সরদার স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবু ধীরেন্দ্র নাথ সাহাকে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

img

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত এক যুগের প্রতীক্ষিত আন্তঃনগর `বুড়িমারী এক্সপ্রেস\' ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন ঢাকাস্থ (ঢাকা - বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ (ঢাকা টু বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সমন্নয়কদের পক্ষে- এ্যাড. মমিনুর  রহমান সহ বক্তারা বলেন, আমরা লালমনিরহাট জেলার, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১৯ লক্ষাধিক নিরীহ ও অবহেলিত জনগণ বিনয়ের সহিত আবেদন করিতেছি যে, আমাদের দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রাণের দাবি আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। দীর্ঘদিন যাবত আমরা রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে যাচ্ছি, কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বৈষম্যবাদী মনোভাব থাকায় আমরা উল্লেখিত চার উপজেলার জনসাধারণ সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াতে ব্যবসায়ী ও পর্যটকগণ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

অথচ বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। বুড়িমারী যাতায়াতে অবহেলিত সড়ক পথের এহেন বেহাল অবস্থা, এ অবস্থায় নিরাপত্তা বেষ্টিত এক্সপ্রেস ট্রেন সেবা থেকে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরূপ বৈষম্য দূরীকরণে আপনার সদয় সহানুভূতি কামনা করছি। উল্লেখ্য যে, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বৈষম্যতা দূরীকরণে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে সেই দেশে চার উপজেলা বাসীগণ আমাদের বরাদ্দকৃত আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও, আমাদেরকে সেই সেবা থেকে বৈষম্যতা করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে লালমনিহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রধান করেছিলাম এবং অপরদিকে মাননীয় রেল উপদেষ্টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা ও সচিব রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে রেল ভবন ঢাকা, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট সহ ডাকযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।