img

শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের ভিসা ফি বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত :  ১৫:২১, ২৪ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৫৭, ২৪ মার্চ ২০২৫

শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের ভিসা ফি বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য

আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ইটিএ (ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন), স্বল্পমেয়াদী, চিকিৎসা, শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের ভিসা, স্পনসরশিপ ও নাগরিকত্ব ফি বৃদ্ধি করছে যুক্তরাজ্য। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ৯ এপ্রিল থেকে স্বল্পমেয়াদি পর্যটন ভিসার (৬ মাস) জন্য আবেদনকারীকে গুণতে হবে ১২৭ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা। বর্তমানে এই ফি ১১৫ পাউন্ড বা ১৮ হাজার ১০১ টাকা।  

আর দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন ভিসা (৬ মাসের বেশি) ফি হবে ৪৭৫ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৪ হাজার ৭৬৫ টাকা, যা বর্তমানে ৪৩২ পাউন্ড বা ৬৭ হাজার ৩৭৫ রুপি।

এছাড়া ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি  ভিসার ফি করা হবে যথাক্রমে ৮৪৮ পাউন্ড (১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৬ টাকা) এবং ১ হাজার ৫৯ পাউন্ড (১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৮ টাকা)। বর্তমানে এই ফি যথাক্রমে ৭৭১ পাউন্ড (১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৬ টাকা) এবং ৯৬৩ পাউন্ড (১ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭ টাকা)।

বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষার্থী ও কর্মী ভিসা ফি-ও। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থী ভিসার ফি ৪৯০ পাউন্ড (৭৭ হাজার ১২৬ টাকা)। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে এই ফি হবে ৫২৪ পাউন্ড (৮২ হাজার ৪৭৮ টাকা)।

এছাড়া তিন বছর মেয়াদি দক্ষ কর্মী ভিসার ফি করা হচ্ছে ৭৬৯ পাউন্ড বা ১ লাখ ২১ হাজার ৪১ টাকা। বর্তমানে এই ফি ৭১৯ পাউন্ড বা ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭১ টাকা। আর ৫ বছর মেয়াদি কর্মী ভিসা ফি ১ হাজার ৪২০ পাউন্ড (২ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫১৯ পাউন্ড (২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩ টাকা) করা হচ্ছে।

যারা ইটিএ ভিসার জন্য আবেদনে আগ্রহী, তাদেরকেও ৯ এপ্রিলের পর থেকে ১০ পাউন্ডের (১ হাজার ৫৭৪ টাকা) পরিবর্তে ১৬ পাউন্ড (২ হাজার ৫১৮ টাকা) ব্যয় করতে হবে।

ভিসার পাশাপাশি স্পনসরশিপ এবং নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের ফিও বাড়ানো হয়েছে। দক্ষ কর্মীদের স্পনসরের ক্ষেত্রে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ৫২৫ পাউন্ড (৮২ হাজার ৬৭৫ টাকা) স্পন্সর ফি দিতে হবে নিয়োগকর্তাদের, বর্তমানে এই ফি ২৩৯ পাউন্ড বা ৩৭ হাজার ৬১৮ টাকা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব লাভের আবেদন নিবন্ধিত করতে ১ হাজার ৩৫১ পাউন্ড (২ লাখ ১২ হাজার ৬৪৯ টাকা) ফি দিতে হয়। ৯ এপ্রিল থেকে এই ফি হবে ১ হাজার ৪৪৫ পাউন্ড (২ লাখ ২৭ হাজার ৬০২ টাকা)।

ভিসা ফি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, সীমান্ত সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলদারি ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা খাতে প্রতিদিনই সরকারি ব্যয় বাড়ছে। এই ব্যয় সংকুলানের জন্যই ভিসা, স্পনসরশিপ ও নাগরিকত্বের আবেদনের ফি বাড়ানো হয়েছে। কারণ সরকার এই অতিরিক্ত অর্থের জন্য করদাতাদের ওপর চাপ বাড়াতে ইচ্ছুক নয়।

সূত্র : গালফ নিউজ

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙ্গলেন বৃটিশ পর্বতারোহী

প্রকাশিত :  ১২:১৬, ১৯ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫২, ১৯ মে ২০২৫

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে ১৯তমবারের মতো আরোহণ করে নিজের গড়া রেকর্ড ভাঙলেন ব্রিটিশ পর্বতারোহী কেন্টন কুল। নেপালিদের বাইরে এভারেস্টজয়ীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশিবার এই শৃঙ্গ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করলেন।

এই বসন্ত মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া ও অপেক্ষাকৃত শান্ত বাতাসের সুযোগে এ পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি পর্বতারোহী এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন। কিন্তু ৫১ বছর বয়সী পর্বতারোহী কুল ২০০৪ সালে প্রথমবার এভারেস্টে আরোহণ করেন এবং এর পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই শৃঙ্গে ওঠার অভিযান চালিয়ে আসছেন।

নেপালের স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ১১টায় তিনি চূড়ায় পৌঁছন বলে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানানো হয়।

২০২১ সালে ১৫তম আরোহণে তিনি আমেরিকান ডেভ হানের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয় করা নেপালি নন, এমন পর্বতারোহীর তালিকায় উঠে আসেন। পরের বছর ১৬তম আরোহণে এককভাবে এই শিরোপা নিজের করে নেন।

১৯৯৬ সালে এক রক ক্লাইম্বিং দুর্ঘটনায় দুই পায়ের গোড়ালির হাড় ভেঙে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা কুলকে জানিয়েছিলেন, তিনি আর কোনো দিন নিজের পায়ে হেঁটে চলতে পারবেন না।

২০২২ সালে এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তার এই রেকর্ড ততটা বিস্ময়কর নয়, কারণ অনেক নেপালি শেরপাই তার চেয়ে অনেক বেশিবার এভারেস্ট জয় করেছেন।

তিনি বলেন, ‘শেরপারা এতবার উঠেছেন যে আমি নিজেই অবাক হই, মানুষ আমার বিষয়ে এত আগ্রহ দেখায় কেন।’

অন্যদিকে ৫৫ বছর বয়সী নেপালি পর্বতারোহী কামি রিতা শেরপা এবার তার ৩১তম এভারেস্ট আরোহণের মাধ্যমে নিজের বিশ্বরেকর্ড ভাঙার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কুলের সর্বশেষ এভারেস্ট জয়ের এই খবরে আসে এমন এক সপ্তাহে, যখন এ পর্বতে এক ফিলিপিনো ও এক ভারতীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে।

এ মৌসুমে নেপালি কর্তৃপক্ষ ৪৫৮টি আরোহণ অনুমতিপত্র ইস্যু করেছে। এর ফলে এভারেস্টের পাদদেশে বিদেশি পর্বতারোহী ও তাদের সহায়তাকারীদের জন্য তাঁবু শহর গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ পর্বতারোহীই নেপালি গাইডদের সহায়তায় পর্বতারোহণ করেন, ফলে এ মৌসুমে ৯ শতাধিক মানুষ এভারেস্ট চূড়ার পথে পা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে আটটিই নেপালে অবস্থিত, ফলে প্রতি বসন্তেই শত শত অভিযাত্রী দেশটিতে যান। ১৯৫৩ সালে এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে শেরপার প্রথম সফল আরোহণের পর থেকে নেপালে পর্বতারোহণ এক লাভজনক বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে।

গত বছর আট শতাধিক অভিযাত্রী এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছন, যার মধ্যে ৭৪ জন উত্তরে তিব্বতের দিক থেকে অভিযান পরিচালনা করেন।


 


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর