img

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি

প্রকাশিত :  ০৬:১৫, ২৫ মার্চ ২০২৫

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা।

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে।

এর আগে সোমবার (২৪ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক পদে নিয়োগদান করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে বলা হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ওই দুই বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান

১৯৬৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০১ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম পাসের পর ১৯৯২ সালে জেলা আদালতে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টে এবং ২০০২ সালের ১৫ মে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০০৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তার আরও একটি পরিচয় তিনি সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের মেয়ে।


আজিমপুর কবরস্থান রক্ষার রায়, ধর্ষণের শিকার নারীদের দ্রুত মামলা নেওয়ার বিষয়ে নীতিমালা করে রায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রথাগত অধিকার রক্ষার রায়, অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনায় শিশু জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের রায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেল শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের রায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামা বাধ্যতামূলকের রায়সহ অসংখ্য আলোচিত রায় দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

img

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত এক যুগের প্রতীক্ষিত আন্তঃনগর `বুড়িমারী এক্সপ্রেস\' ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন ঢাকাস্থ (ঢাকা - বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ (ঢাকা টু বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সমন্নয়কদের পক্ষে- এ্যাড. মমিনুর  রহমান সহ বক্তারা বলেন, আমরা লালমনিরহাট জেলার, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১৯ লক্ষাধিক নিরীহ ও অবহেলিত জনগণ বিনয়ের সহিত আবেদন করিতেছি যে, আমাদের দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রাণের দাবি আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। দীর্ঘদিন যাবত আমরা রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে যাচ্ছি, কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বৈষম্যবাদী মনোভাব থাকায় আমরা উল্লেখিত চার উপজেলার জনসাধারণ সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াতে ব্যবসায়ী ও পর্যটকগণ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

অথচ বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। বুড়িমারী যাতায়াতে অবহেলিত সড়ক পথের এহেন বেহাল অবস্থা, এ অবস্থায় নিরাপত্তা বেষ্টিত এক্সপ্রেস ট্রেন সেবা থেকে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরূপ বৈষম্য দূরীকরণে আপনার সদয় সহানুভূতি কামনা করছি। উল্লেখ্য যে, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বৈষম্যতা দূরীকরণে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে সেই দেশে চার উপজেলা বাসীগণ আমাদের বরাদ্দকৃত আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও, আমাদেরকে সেই সেবা থেকে বৈষম্যতা করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে লালমনিহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রধান করেছিলাম এবং অপরদিকে মাননীয় রেল উপদেষ্টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা ও সচিব রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে রেল ভবন ঢাকা, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট সহ ডাকযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।