
আস্থার সংকটে শ্রীমঙ্গলের সাংবাদিকতা

সংগ্রাম দত্ত: সারাদেশের মত শ্রীমঙ্গলেও এখন প্রচুর সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েছে। নীতি নৈতিকতা, জ্ঞান, মেধা ও নিরপেক্ষতার অভাব থাকায় অধিকাংশ সাংবাদিকদের নৈতিক দিকগুলো খুবই হালকা হয়ে যাচ্ছে৷ এতে করে সাংবাদিকতার মান বা ভাবমূর্তি সবকিছুই ক্ষুন্ন হচ্ছে৷
সাংবাদিকতা বিশ্বব্যাপী একটি মহান পেশা হিসেবে সমাদৃত । শ্রীমঙ্গলে পাকিস্তান আমলে বিশেষ করে ষাটের দশক থেকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাসেন্দ্র দত্ত, বিপুল রঞ্জন চৌধুরী, কমলেশ ভট্টাচার্য, জহির উদ্দিন আহমেদ, রানা দেবরায়, গোপাল দেব চৌধুরী, সৈয়দ নেসার আহমেদ প্রমুখ সাংবাদিকতার জগতে যাত্রা শুরু করেন ।
দেশ স্বাধীন হবার পর আলফু মিয়া চৌধুরী, আব্দুল হাই চৌধুরী, এম এ সালাম চৌধুরী, মোহাম্মদ মহরম খান, মোঃ শামসুদ্দিন, বিধূভূষণ পাল স্বপন, আব্দুল জলিল, আব্দুল গাফার,এম বি এ বেলাল, এম এ আলী ( রেলওয়ে গেইট ভানুগাছ রোড), ইবনে জামান শামসু সহ কিছু নতুন সাংবাদিকতায় যোগ দেন।
১৯৭৬ সালে শ্রীমঙ্গল শহরের কলেজ রোডে ভেষ্টেট প্রপার্টির কিছু মূল্যবান ভূমি মৌলভীবাজার মহকুমা প্রশাসকের কাছ থেকে দেন দরবার করে বরাদ্দ করিয়ে শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবের নামে লিজ আনা হয়। সরকারের কাছ থেকে ভেষ্টেট প্রপার্টি প্রেসক্লাবের নামে লিজ আনার ব্যাপারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন রাসেন্দ্র দত্ত, বিপুল রঞ্জন চৌধুরী, কমলেশ ভট্টাচার্য, জহির উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুভূষণ পাল স্বপন, রানা দেবরায়, গোপাল দেব চৌধুরী, সৈয়দ নেছার আহমদ প্রমুখ।
পাকিস্তান আমল থেকে যারা সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় মাপের নেতা ও জন প্রতিনিধি পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিপুল রঞ্জন চৌধুরী ( ১৯৬০ সালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কমিশনার), রাসেন্দ্র দত্ত ( ১৯৮৩ সালে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান) ও কমলেশ ভট্টাচার্য (১৯৭২ সালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার চেয়ারম্যান) পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছিলেন। কমলেশ ভট্টাচার্য ও রাসেন্দ্র দত্ত যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ রাজনৈতিক দলের বড় মাপের নেতা ছিলেন। কিন্তু লেখনি কালে তাঁরা দল মতের উর্দ্ধে ছিলেন ও বস্তুনিষ্ট প্রকাশ সংবাদ পরিবেশন করেন । ঐ সময়ে তাদের সাংবাদিকতা নিয়ে কেহ কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়নি। সততা, আদর্শ ও নিরপেক্ষতায় তারা ছিলেন অটুট। তাদের অনেকে মারা গেছেন। অনেকে বিদেশে অবস্হান করছেন। আবার অনেকে বয়সের কারণে এ পেশা থেকে সরে গেছেন।
\'৮০ দশকের শেষ দিকে নিহারেন্দু হোম চৌধুরী সজল, সংগ্রাম দত্তসহ কিছু তরুণ সাংবাদিকতায় আসেন।
আশির দশকে সারোয়ার আহমেদ সাহেব শ্রীমঙ্গলে বেশ কিছুদিন সততা ও নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজারে সাংবাদিকতায় জড়িত আছেন।
\'৯০ দশকের শুরুর দিকে বিশ্বজ্যেতি চৌধুরী বুলেট, ইসমাইল মাহমুদ, আ ফ ম আব্দুল হাই ডন, মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান, স্বপন কুমার সিং, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, বিকুল চক্রবর্তী সহ কিছু তরুণ সাংবাদিকতায় জড়িত হন ।
উল্লেখ্য যে, \'৬০ এর দশক থেকে \'৯০ এর দশক পর্যন্ত কর্মরত সাংবাদিকদের অধিকাংশ অত্যন্ত সততা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন।
১৯৭৬ সালে প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে সবাই একত্র থাকলেও পরবর্তীতে গ্রুপ হয় দু\'টি। বৃহৎ গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিলেন বিপুল রঞ্জন চৌধুরী ও রাসেন্দ্র দত্ত এবং অপরটি ছিল গোপাল দেব চৌধুরী ও সৈয়দ নেছার আহমদের নেতৃত্বে।
গোপাল দেব চৌধুরীর নেতৃত্বে, সৈয়দ নেছার আহমদ, রানা দেবরায় (পরে কানাডা নিবাসি), পার্থ সারথী দেব ধ্রুব ( বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী), ইসহাক কাজলসহ অনেকে ছিলেন।
বর্তমানে রাসেন্দ্র দত্তের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের শ্রদ্ধেয় জহীর সাহেব (তিনি বিদেশি ইংলিশ মিডিয়ার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক) বাদে বর্তমানে তাদের কেহ আর এ জগতে নেই।
ক্রমান্বয়ে রাজনৈতিক পরিস্হিতি অবনতি ও অবৈধ টাকার প্রভাব বেড়ে যাবার কারণে এ পেশা থেকে একটি পক্ষের প্রায় সবাই নিজেদের গুটিয়ে ফেলেন ।
ফলে এ পেশার চরম অবনতি হয়েছে। ন্যুনতম লেখাপড়া নেই। নেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে। তাদের অনেকের ব্যাকগ্রাউন্ডও ভালো নয়। ক্লীন ইমেজের কেহ নেই বললেই চলে।
অধিকাংশই জড়িয়ে পড়েছেন নানান অপরাধের সাথে। ভয় দেখিয়ে সুবিধা আদায়, নারী ঘটিত ব্যবসার সাথে সংযুক্ত, সেবার নামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়, চাঁদাবাজি, জমি দখল, জমি দালালী, সন্রাসী কার্যকলাপ, বালু সিন্ডিকেট এমনকি হত্যাসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এমনকি অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের মামলা মোকদ্দমাও আছে ।
সেনা সমর্থিত সরকারের সময় তাদের কাউকে হোটল প্লাজা, কয়েকজনকে মৌলভীবাজার, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে, আবার কাউকে আপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে জেলে ও পাঠায় এবং কিছুদিন লাল ঘরে থাকার পর বেড়িয়ে আসে। অনেক গ্রেফতার এড়াতে পলাতক ছিলেন ।
সাংবাদিকতার নাম করে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি চলছে যা\' অনেকের ফেসবুক পোস্টে পোস্ট করতে দেখা গেছে । যা সাম্প্রতিক সময়ে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে এক সংবাদকর্মীর টাকা চেয়ে রিপোর্ট না লিখার জন্য অডিও টেপ রেকর্ডার ভাইরাল হয়। এসব কল রেকর্ড ফাঁস ইত্যাদির ব্যাপারে পত্রিকার রিপোর্টও বেরিয়েছে। এমনকি অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কারের খবর শোনা যায়।
বর্তমানে প্রভাবপতিপত্তিশালী নেতৃত্বের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাংবাদিকতার মহান পেশাকে কল্ঙকিত করা হচ্ছে । ফলে সমাজে বিভিন্ন কারণে এ পেশায় সংকট তৈরী হেয়েছে।
জনসাধারণ অতিষ্ট হওয়ার কারণে বছর কয়েক পূর্বে সাংস্কৃতিক কর্মী মোহাম্মদ আশরাফী আজমের নেতৃত্বে বাধ্য হয়ে জনতা অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিলেন। বর্তমানে এহেন পরিস্থিতিতে সংবাদপত্র ও মিডিয়ার প্রতি জনমনে আস্হাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, \'৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে রুগ্ন রাজনৈতি গঠন মূলক সমালোচক, দৃঢ়চেতা ও সাহসী সাংবাদিক ও বিরোধী নেতৃত্বকে নানাভাবে বিশেষ করে সন্ত্রাসী আক্রমণ, হামলা ও মামলা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছে, হচ্ছে। এমনকি প্রশাসন, কোর্ট কাছারিসহ সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সমালোচক, সাংবাদিক ও বিরোধী নেতৃত্ব ঘায়েলের চেষ্টা হয়েছে, হচ্ছে। আর এ ধরনের প্রবণতা থানা পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে পর্যন্ত চলেছে, চলছে।
রুগ্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভালো করেই জানে কাদের কাদের সরিয়ে দিতে হবে। দাবিয়ে রাখতে হবে। মামলা, হামলায় জড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে রাজনীতি, সাংবাদিকতা, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। অতীতেও এরকমের ঘটনা ঘটেছে।
\'৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রীমঙ্গলে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের একজন দুর্দন্ড প্রতাপশালী নেতা এক প্রবীণ সাংবাদিককে ( যিনি সব সময় দল পরিবর্তন করে ক্ষমতাসীন দলের সাথে জড়িত ছিলেন বা থাকতেন ) দিয়ে গ্রুপিং করে নিজেদের পক্ষে একচেটিয়া সাফাই গাওয়ার জন্য সাংবাদিক সংগঠন তৈরি করে ও অপরপক্ষকে দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকি ঐ প্রভাবশালী নেতা ঐ প্রবীণ সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে গোপনে এক সাংবাদিককে শায়েস্তা করতে ও তাঁকে জেলে পোড়ানোর প্রয়াস নিয়েছিলেন। কিন্তু অপর পক্ষ অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে প্রশাসনকে কলম ও কোল্ড ব্রেইনের লড়াইয়ের মাধ্যমে মোকাবেলা করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে অন্যত্র ট্রান্সফার করাতে সমর্থ হয়। এমনকি নানাভাবে সন্ত্রাসী গ্রুপ লেলিয়ে দিয়ে হামলা ও মামলা করিয়ে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পর্দার আড়ালে থেকে যিনি এসব করিয়েছিলেন পরে ধীরে ধীরে তাঁর নেতৃত্বই একসময় দলের মধ্যে হারিয়ে যায়। নিজ দলে থাকা অপর প্রভাবশালী পক্ষ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেয়। শেষ বয়সে পরিস্থিতি এমন হয় যে তাঁর পক্ষে লিখার মতো কোনো লেখক ছিল না। তিনি যাদের বিরোধিতা করে ক্ষতিগ্রস্ত বা সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাদেরই অনেকে তাঁর ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে কলম হাতে নিয়ে তাঁর কথা তুলে ধরেছেন।
\'৭৬ সালে যারা প্রেসক্লাবের ভূমি মৌলভীবাজার মহকুমা প্রশাসক এর কাছ থেকে দেন দরবার করে করে নিয়ে এসেছিলেন তাদের বেশ কয়েকজনকে বাদ দিয়ে ১৯৯৬ সনে প্রেস ক্লাবের ভূমিতে সরকারি অনুদান দিয়ে একটি পক্ষকে দিয়ে প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করে প্রেসক্লাব পরিচালনা করা হয়। পরে সাংবাদিক সংগঠনের বৃহৎ গ্রুপটি ক্রমান্বয়ে নানা কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
সবকিছুতেই প্রভাবশালী নেতৃত্ব নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সাংবাদিকসহ ভিন্ন মতাদর্শীদের অনেককে কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে অঙ্গুলি হেলেনে নিজের পক্ষে ব্যবহারের পথ করা হয়। সৃষ্টি করা হয় অগণিত সংবাদ কর্মীর সংখ্যা। গুঞ্জন শোনা যায় যে, তাদের অনেকের ভিন্ন মতাদর্শের থাকলেও প্রায় সকলেই ছিলেন একক নেতার আধিপত্যের নিয়ন্ত্রণে । এটা শুধু এক স্থানের চিত্র নয়, কম বেশি সারাদেশের চিত্র একই রকমের। অসুস্থ ও ইয়োলো সাংবাদিকতার ফলে শিক্ষিত, মেধাবী ও আদর্শবান লোকেরা এ পেশায় আর আসতে চান না। শুধু সাংবাদিকতা নয়, সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। রাজনীতিতেও আদর্শবান, সৎ, শিক্ষিত ও মেধাবী লোকের স্থান প্রায় নেই বললেই চলে। হকার, পত্রিকার এজেন্ট, মিশুক ড্রাইভার, দোকানদারসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন ইতিমধ্যেই সাংবাদিকতার পেশায় জড়িয়ে পড়ায় সাংবাদিকতার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা হীনতা তৈরি হয়েছে।
সব কিছুর মূলে রয়েছে রুগ্ন রাজনীতি ও অবৈধ বা কালো টাকা ।
প্রভাবশালী মহল ও বিজনেস টাইকুন তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য মাসুয়ারা টাকা দিয়ে কিছু ইলেকট্রনিক , প্রিন্ট মিডিয়া ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে দিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য পোষে রেখেছেন ও তাদের আঙ্গুলি হেলেনে তাদেরে ব্যবহার করে থাকেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
বর্তমানে চলছে নেতৃত্ব দখলের প্রতিযোগিতা। অসংখ্য তরুণকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ার কার্ড জোগাড় করে এনে দল ভারি করা হয়। বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কার ইত্যাদির ঘটনাও অতীতে ঘটেছে, ঘটেছে। একপক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ তুলেছেন, তুলছেন। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব নিয়ে খবর বেরিয়েছে, বেরুচ্ছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে নেতৃত্ব নিয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত রিট পিটিশন হয়েছে। স্থগিত হয়েছে নির্বাচন।
অভিজ্ঞ মহলের মতে সাংবাদিকতার ইথিক্স অনুসারে সকল সাংবাদিক পেশাগত কারণে জনগণের কাছেও দায়বদ্ধ। তাই সততার সহিত নিরপেক্ষভাবে সমাজে ঘটে যাওয়া নানানচিত্র মিডিয়াতে জনস্বার্থে তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান।