চার দিনের সফর

img

চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৮:১০, ২৬ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৪, ২৬ মার্চ ২০২৫

চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষ একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

আজ বুধবার (২৬ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।

পরদিন শুক্রবার বেইজিংয়ের গ্রেট হলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, চীন সরকারের আমন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টা বেইজিংয়ে সরকারি দ্বিপক্ষীয় সফরে যাবেন। বেইজিংয়ে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সেখানে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করছি।

তার মধ্যে রয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিষয়ক সহযোগিতা, গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে সহযোগিতা। এ ছাড়া অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদি সম্পর্কিত ঘোষণা আসতে পারে।

img

মানবিক করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি সরকার: প্রেস সচিব

প্রকাশিত :  ১২:৪৪, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে রাখাইনে করিডোর দেওয়া নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হলো- যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করেছে, যেমন সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমরা যে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছি। আমরা এ বিষয়েও উদ্বিগ্ন যে, রাখাইনে মানবিক দুর্দশা অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে, যা আমরা আর বহন করতে পারব না।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের সহায়তায় মানবিক ত্রাণসহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে সম্মত।

তবে এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে— বলেন শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, যেখানে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে।


জাতীয় এর আরও খবর