img

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা

প্রকাশিত :  ০৮:২৪, ২৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা

আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

ভারতের প্রেসিডেন্ট শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মহামান্য মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের উদ্দেশ্যে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।

সেই বার্তায় দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকার, ভারতের জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বহুমুখী। আমাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বহুমুখী সংযোগ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষের সঙ্গে মানুষে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র।

তিনি আরও বলেন, ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ও এসএজিএআর (অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধি) মতবাদ এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারত একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।

অপরদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহামান্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই দিনটি আমাদের ভাগ করা ইতিহাস এবং ত্যাগের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্কের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে চলেছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিকশিত হয়েছে। আমাদের জনগণের জন্যও এটি বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধির জন্য এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে এই অংশীদারিত্বকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

img

হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১৮:৫৪, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। 

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় দিয়েছেন। এটি গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় সংঘটিত গুরুতর অধিকার লঙ্ঘনের শিকারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে আমরা বারবার দাবি জানিয়ে এসেছি যে— নির্দেশনা ও নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা ব্যক্তিসহ সব দোষীর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী জবাবদিহির মুখোমুখি করা হোক। পাশাপাশি আমরা দাবি করেছি, ভুক্তভোগীদের যেন কার্যকর প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।’

শামদাসানি বলেন, ‘আমরা এই মামলার বিচারকার্য সরাসরি পর্যবেক্ষণ করিনি, তবে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগে পরিচালিত যেকোনো জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা নিয়মিতভাবে বলে আসছি। বিশেষত এ ক্ষেত্রে বিচার দোষীর অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে—এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়টিও দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করছি, আমরা সব পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করি।’

রায়ের পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে শামদাসানি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ সত্য উদ্ঘাটন, ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায়বিচারের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডসম্মত, অর্থবহ ও রূপান্তরমূলক নিরাপত্তা খাত সংস্কার থাকা উচিত, যাতে এসব লঙ্ঘন ও নির্যাতন পুনরায় না ঘটে। এ কাজে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সহযোগিতা করতে হাইকমিশনারের কার্যালয় সদা প্রস্তুত।’