img

ড. ইউনূসের চীন সফর: ভারত কি উদ্বিগ্ন, নাকি নির্লিপ্ত?

প্রকাশিত :  ১২:০৮, ২৬ মার্চ ২০২৫

ড. ইউনূসের চীন সফর: ভারত কি উদ্বিগ্ন, নাকি নির্লিপ্ত?

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীন সফরে গিয়েছেন। এই সফরকে ঘিরে যেমন বাংলাদেশে নানা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, তেমনি আঞ্চলিক কূটনীতিতেও নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। বিশেষ করে ভারত এই সফরকে কীভাবে দেখছে, তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে। কেউ বলছেন, ভারত উদ্বিগ্ন; আবার কেউ মনে করছেন, দিল্লি এখনো অপেক্ষার নীতিতে রয়েছে।

ড. ইউনূসের এই সফরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, বিশেষ করে তিস্তা নদী প্রকল্পে চীনা অর্থায়ন নিশ্চিত করা, দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বাড়ানো এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করা। তবে সফরের শুরুতেই জানা গেছে, চীন এখনো কোনো বড় প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

এদিকে, ভারতের কূটনৈতিক মহলও এই সফর নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও চীনের ঘনিষ্ঠতা বাড়লে ভারত তার দীর্ঘদিনের প্রভাব হারাতে পারে। যদিও দিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সংক্ষেপে বলেছেন, \"বাংলাদেশ তার সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিতে স্বাধীন। তবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার জন্য ভারত বরাবরই বাংলাদেশের পাশে থাকবে।\"

বিশ্লেষকদের মতে, ভারত সরকারের এই সংযত প্রতিক্রিয়া আসলে ভেতরের গভীর উদ্বেগ আড়াল করার প্রচেষ্টা। চীনের দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে ভারত বরাবরই সতর্ক। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান এবং মালদ্বীপের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় দিল্লি কৌশলগত চাপে রয়েছে। বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বাড়লে ভারত এই অঞ্চলে তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য হারানোর আশঙ্কা করছে।

একজন ভারতীয় কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, \"আমরা বাংলাদেশকে আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখি। তবে চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কতটা গভীর হবে, তা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।\"

তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে চীনের কাছ থেকে অর্থায়ন চাইছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময় ভারত এই প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তা নদীর পানিবণ্টন ইস্যুতে বরাবরই সংবেদনশীল। ভারত চায় না যে বাংলাদেশ এই প্রকল্পে চীনের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ুক।

বর্তমান সরকার আবারও তিস্তা প্রকল্পে চীনের সহায়তা চাইলে ভারতের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া-তে প্রকাশিত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যদি চীনের কাছ থেকে এই প্রকল্পের জন্য বড় অঙ্কের ঋণ নেয়, তবে ভারত তা ভালোভাবে নেবে না। কারণ, এটি শুধু একটি অবকাঠামোগত প্রকল্প নয়; এটি আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিরও অংশ।

বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা সংকট একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চীন কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে, কিন্তু এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে, চীন এ বিষয়ে আরও কার্যকর ভূমিকা নেবে।

একজন ভারতীয় পররাষ্ট্র বিশ্লেষক বলেন, \"বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের সমর্থন আশা করছে, কিন্তু চীন কখনোই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে না। ভারতও এই বিষয়ে খুব একটা সক্রিয় নয়। ফলে বাংলাদেশকে নিজস্ব কৌশলেই সমাধান খুঁজতে হবে।\"

বাংলাদেশের নতুন সরকার গঠনের পর ভারত কিছুটা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন, তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ড. ইউনূসের সরকার এখনো ভারতের সঙ্গে বড় কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেনি, যা দিল্লির জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও নীতি বিশ্লেষক ব্রহ্ম চেলানি বলেন, \"ভারত এখনো দেখছে, বাংলাদেশের নতুন সরকার কীভাবে কাজ করে। তারা এখনো সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানাতে চায় না। তবে একবার যদি বাংলাদেশ চীনের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে, তাহলে ভারত নিশ্চিতভাবেই পদক্ষেপ নেবে।\"

ড. ইউনূসের সফরের পর অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে চীনের দিকে ঝুঁকছে। যদিও বাংলাদেশের অবস্থান বরাবরই ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির পক্ষে, তবে এই সফর নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

একজন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ বলেন, \"বাংলাদেশের জন্য চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে ভারত আমাদের ঐতিহ্যগত মিত্র, অন্যদিকে চীন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে।\"

ড. ইউনূসের চীন সফর শুধু অর্থনৈতিক বা কূটনৈতিক সফর নয়; এটি বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানেরও একটি পরীক্ষা। ভারত যদি মনে করে বাংলাদেশ চীনের দিকে বেশি ঝুঁকছে, তাহলে ভবিষ্যতে তারা নতুন কৌশল গ্রহণ করতে পারে।

তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো ভারসাম্য বজায় রাখার নীতিতেই রয়েছে। ড. ইউনূস চীন সফর শেষে ভারত সফর করতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। যদি এটি সত্য হয়, তবে বোঝা যাবে যে বাংলাদেশ উভয় দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।

আসন্ন দিনগুলোতে বাংলাদেশ, চীন ও ভারতের সম্পর্ক কোন পথে গড়াবে, তা নির্ভর করবে কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলোর ওপর। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই সফরের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে গভীর ছাপ ফেলবে।

img

৫ আগস্টের পর পালানো কর্মকর্তারাও পাচ্ছেন পদক, পুলিশে ক্ষোভ

প্রকাশিত :  ০৮:৪৮, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

আজ থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে । পুলিশ সপ্তাহে নিয়মমাফিক পুলিশের বিগত বছরের কর্মকাণ্ডের ভালো-মন্দ দিক পর্যালোচনার বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়ার কথা থাকলেও পদকের ভারে সেটি গৌণ হয়ে যায়। 

এবার ৬২ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদক দেওয়া হবে। তবে পদক প্রদানের আগেই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। পদকের জন্য তালিকা তৈরিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এতে পুলিশের ভেতরে কারও কারও মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, ছাত্র-জনতার অন্দোলনের সময় যেসব পুলিশ সদস্য তাদের সহকর্মীদের জীবন এবং পুলিশের স্থাপনা ও সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে হতাহত হয়েছেন, তাদের কেউই পদকের জন্য বিবেচিত হননি।

অপরদিকে ৬-৭ আগস্ট যেসব কর্মকর্তা ভয়ে রাজারবাগে যাননি, তাদেরও পদক দেওয়া হয়েছে। রাজারবাগ থেকে যিনি পালিয়ে এসেছেন, তাকেও পদকের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। বন্যার সময় কুমিল্লায় ত্রাণ বিতরণকালে মঞ্চে উঠতে না দেওয়া, রংপুরের সুধী সমাবেশে যে কর্মকর্তাকে গাালাগাল করা হয়েছে এবং ব্যর্থতার দায়ে যাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারাও পাচ্ছেন পদক।

ব্রিটিশ আমলে (১৯৩২ সাল) চালু হয় পুলিশের বিপিএম ও পিপিএম পদক।  ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের পদক দেওয়ার রীতির শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। সাব-অর্ডিনেট অফিসারদের কাজকে নিজের কৃতিত্ব হিসাবে দেখিয়ে অনেক কর্মকর্তা এই পদক বাগিয়ে নেন আওয়ামী লীগ আমলে। এবারও পদকের তালিকা তৈরিতে সেরকমই হচ্ছে বলে জানা গেছে। পদকের জন্য যে ৬২ জনকে বিবেচনা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ জনই সুপিরিয়র কর্মকর্তা। ফ্যাসিবাদের দোসর হিসাবে অতীতে যারা শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক নিয়েছেন, তারা এবার প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেও পদক নিতে যাচ্ছেন। বিরোধী দলকে দমন করে শেখ হাসিনার আমলে অনেকে বিপিএম-পিপিএম পদক পান। বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার পুরস্কার হিসাবে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ পদক পেয়েছিলেন।

জানা যায়, ১৯৫২ থেকে শুরু করে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অনেকেই  আইজিপি পদে দায়িত্ব পালন করেন। এদের মধ্যে কেবল আশরাফুল হুদা ও আনোয়ারুল ইকবাল ছাড়া কোনো আইজিপি বিপিএম বা পিপিএম পদক নেননি। পাকিস্তান আমলেও সুপিরিয়র অফিসাররা এসব পদক নিতেন না। আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী হিসাবে তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, একেএম শহিদুল হক, বেনজীর আহমেদসহ অনেক ঊর্ধ্বতন অফিসার এসব পদক নিয়েছেন। এই ধারাবাহিকতায় এবারও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদক দেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, এবার পদক দেওয়া হচ্ছে সাবেক আইজিপি ময়নুল হক, র‌্যাব মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসানসহ একাধিক অতিরিক্ত আইজিপিকেও।

পদক প্রদান সংক্রান্ত কমিটির সভাপতিও পদক পেয়েছেন। বাংলাদেশে বিপিএম বা পিপিএম পদকের জন্য লিখিত আবেদন করতে হয়। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের পদকের জন্য আবেদন করতে হয় না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগেই পদকপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫ বছরে প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক পদক দেওয়া হয়। ওই বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিকা রাখার পুরস্কারস্বরূপ ৪০০ পুলিশ সদস্যকে এ পদক দেওয়া হয়। এছাড়া ২০২৩ সালে ১১৫, ২০২১ সালে ১১৫, ২০২০ সালে ১১৮, ২০১৮ সালে ১৮২, ২০১৭ সালে ১৩২, ২০১৬ সালে ১০২, ২০১৫ সালে ৭৬, ২০১৪ সালে ১০৪ এবং ২০১৩ সালে ৬৭ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হয়। জানতে চাইলে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘আমরা সাধারণত আবেদনের ভিত্তিতেই পদক তালিকা তৈরি করি। তবে দুটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে। পুলিশের গুলশান বিভাগের একজন সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত হয়েও ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছেন। সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য তাকে এবার পদক দেওয়া হচ্ছে।’

পদক পেলেন যারা : গত বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬২ পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক পেয়েছেন। সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজ, উদ্ভাবনীমূলক পদক্ষেপ, চাঞ্চল্যকর সূত্রবিহীন মামলার রহস্য উদঘাটন, দক্ষতা, প্রশংসনীয় অবদান ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা, রাষ্ট্রতির পুলিশ পদক (পিপিএম), রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞানে পদকপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ইনস্পেকটর মনিরুল হক ডাবলুর (ওসি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ) নাম পদকের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর চূড়ান্ত করার পর গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার হয়। এ প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। 

বিপিএম পেয়েছেন প্রাক্তন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম, র‌্যাব মহাপরিচালক একে এম শহিদুর রহমান, অ্যাডিশনাল আইজিপি (চলতি দায়িত্বে) (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ, সিএমপি পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স) রওনক আলম, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক আকন্দ (আরআই, পুলিশ সদর দপ্তর), সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম, হাবিলদার মো. সাইফুল ইসলাম (র‌্যাব-১৫), ডিএমপির এএসআই মো. মেসবাহ উদ্দিন, কনস্টেবল মো. রুহল আমিন ভূঞা (সচিবালয় নিরাপত্তা বিভাগ, ডিএমপি)

বিপিএম-সেবা পেয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি (চলতি দায়িত্বে) (ফিন্যান্স) মো. আকরাম হোসেন, অ্যাডিশনাল আইজি (চলতি দায়িত্বে) (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল আইজিপি (চলতি দায়িত্বে) (লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ, অ্যাডিশনাল আইজি (চলতি দায়িত্বে) মো. ছিবগাত উল্লাহ, অ্যাডিশনাল আইজিপি (চলতি দায়িতে) মো. মাইনুল হাসান, ডিআইজি সরদার নুরুল আমিন, ডিআইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কাজী মো. ফজলুল করিম, ডিআইজি (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) মো. আহসান হাবীব পলাশ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (জিএমপি, গাজীপুর) মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূইয়া, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট) আহম্মদ মুঈদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. জুয়েল রানা, পুলিশ পরিদর্শক (সিএমপি, চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফজলুল কাদের চৌধুরী। 

পিপিএম পেয়েছেন পুলিশ সুপার (এপিবিএন) খন্দকার ফজলে রাবি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম) রাসেল, পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গাজী গোলাম কিবরিয়া (এপিবিএন), পুলিশ পরিদর্শক মু. মাসুদুর রহমান (অফিসার ইনচার্জ, আলমডাঙ্গা থানা, চুয়াডাঙ্গা), পুলিশ পরিদর্শক মো. একরামুল হোসাইন (জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জ), এসআই শ্রী বেনু রায় (জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনা), এসআই ফিরোজ আহাম্মদ (পিবিআই, কুমিল্লা জেলা), এসআই মো. মাহমুদুল হাসান (হবিগঞ্জ জেলা), এসআই মো. এনামুল হক (মির্জাগঞ্জ থানা, পটুয়াখালী), এসআই রাছিব খান (কাউন্টার টেরোরিজম, সিএমপি), এসআই মো. আশিকুর রহমান (পিবিআই, সিরাজগঞ্জ জেলা), এসআই মো. আজিমুল হক (খাগড়াছড়ি থানা), এএসআই মো. নাজমুল হুসাইন (ডিএমপি ঢাকা হতে সংযুক্ত কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ) রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা পেয়েছেন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত (পুলিশ সুপার পিবিআই নরসিংদী জেলা) মো. এনায়েত হোসেন মান্নান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান, মাগুরা জেলার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, মো. কুদরত-ই-খুদা (পুলিশ সুপার, পিবিআই ঢাকা জেলা), লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আবুল কালাম আজাদ (উপ-পরিচালক (এক্স), র‌্যাব সদর দপ্তর), এমএম মোহাইমেনুর রশিদ (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ) মো. ফারুক আহমেদ (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, নীলফামারী), মো. আশরাফুল আলম (সহকারী পুলিশ সুপার, দোহার সার্কেল, ঢাকা) এম. জে. সোহেল (সহকারী পুলিশ কমিশনার, ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স ডিভিশন, ডিএমপি), মো. রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস (সহকারী পুলিশ সুপার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ), মো. মোস্তফা কামাল (পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), কাউনিয়া থানা, রংপুর) এসআই মো. সুমন মিয়া (পিবিআই), এসআই বরুন কুমার সরকার (গোদাগাড়ী মডেল থানা, রাজশাহী), এসআই মো. রকিবুল হাসান (পুলিশ সদর দপ্তর) এসআই মো. ইমরান আহমেদ (পিবিআই ঢাকা জেলা), এসআই মো. ইয়াসিন (জেলা গোয়েন্দা শাখা, মুন্সীগঞ্জ), এএসআই মো. কামরুজ্জামান (এসবি, ঢাকা), কনস্টেবল মো. রিয়াদ হোসেন (ডিএমপি), কনস্টেবল মো. হাবিবুর রহমান (এন্টি টেররিজম ইউনিট, ঢাকা), কনস্টেবল মোহাম্মদ জোনাইদুল হক (পুলিশ সদর দপ্তর), কনস্টেবল মো. মোবারক হোসেন (পরিবহণ বিভাগ, ডিএমপি)।


জাতীয় এর আরও খবর