img

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

প্রকাশিত :  ১৯:২১, ২৬ মার্চ ২০২৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে মদনপুর থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ৯টা থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকায় ট্রাক ঢুকতে না দেওয়ায় রাস্তায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকা পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে যানজট। রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যানজট যাত্রাবাড়ী থেকে মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটারের বেশি এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে যতদূর চোখ যায় শুধু গাড়ির সারি। মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন স্থবির হয়ে আছে।

পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় পুলিশ ট্রাক ঢুকতে না দেওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) আবু নাঈম সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে জানান, ডিএমপি থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকায় ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ঢাকায় কথা বলেছি ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের টিম যানজট নিরসনে কাজ করছে।

img

মানবিক করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি সরকার: প্রেস সচিব

প্রকাশিত :  ১২:৪৪, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে রাখাইনে করিডোর দেওয়া নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হলো- যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করেছে, যেমন সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমরা যে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছি। আমরা এ বিষয়েও উদ্বিগ্ন যে, রাখাইনে মানবিক দুর্দশা অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে, যা আমরা আর বহন করতে পারব না।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের সহায়তায় মানবিক ত্রাণসহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে সম্মত।

তবে এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে— বলেন শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, যেখানে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে।


জাতীয় এর আরও খবর