
ভারতের সংসদে পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের বিবৃতি ও তিব্র প্রতিবাদ

ভারতের লোকসভায় পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের নেতৃবৃন্দ । জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে ভারতের সংসদে সদ্য পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বিলটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ইসলামবিদ্বেষী নীতিরই আরেকটি উদাহরণ। বিলটির মাধ্যমে মুসলিমদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান—মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, এতিমখানা—এসব পবিত্র সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওয়াকফ বোর্ডের স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং মুসলমানদের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সরাসরি হুমকির মুখে পড়েছে।
বিশেষত, সংশোধিত বিলে অমুসলিম সদস্য অন্তর্ভুক্তির বাধ্যবাধকতা একটি স্পষ্ট হস্তক্ষেপ এবং মুসলিম স্বার্থের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত বহন করে। এটি একটি গভীর রাজনৈতিক চাল, যার লক্ষ্য হলো মুসলিমদের ধর্মীয় পরিকাঠামো ও স্বকীয়তা দুর্বল করা।
আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই—তারা যেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর দমনমূলক ও বৈষম্যমূলক নীতি পরিহার করে, মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই—এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করুক, যেন ধর্মীয় অধিকারের এই লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া গড়ে ওঠে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে এর পক্ষে বিবৃতি দানকারীগণ হলেন- সভাপতি-ড. মাওলানা শুয়াইব আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মুফতি মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম, সহ-সভাপতি-হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তাছাদ্দুক আহমদ (কিদির্মিনিষ্টার), মাওলানা হামিদুর রহমান হিলাল (নিউক্যাসল), মাওলানা আব্দুল মজীদ (ডালষ্টন), মাওলানা ফখর উদ্দীন (বামিংহাম), মাওলানা শাহ আমীনুল ইসলাম (স্কানথপ), মাওলানা মুফতি ছাবির (ওয়ালসল),মাওলানা আব্দুস সালাম (ব্রাডফোর্ড),মাওলানা আব্দুল হান্নান (লুটন),শায়খ সৈয়দ মুয়াজ (কিদির্মিনিষ্টার),হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ,হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী,মাওলানা আশফাকুর রহমান (লন্ডন), মাওলানা আব্দাল হুসাইন জগদলী, আলহাজ্ব ইউনুস আলী (লন্ডন)।
জেনারেল সেক্রেটারী-মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী-হাফিজ মাওলানা ইলয়াস (লন্ডন), মুফতি শাহ হিফজুল করীম মাশুক (লেষ্টার),মাওলানা আখতারুজ্জামান (মিডলস্বরা)।
সহ- সেক্রেটারী-মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (লন্ডন), হাফিজ জিয়া উদ্দীন (লন্ডন), মাওলানা আব্দুল হক (রচডেল)।
সাংগঠনিক সম্পাদক- মাওলানা শামছুল আলম কিয়ামপুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক-মাওলানা নাজমুল হাসান (লন্ডন),হাফিজ মাওলানা মাসুম আহমদ (সাহেব জাদায়ে শায়খে কৌড়িয়া), হাফিজ মাওলানা আজহারুল ইসলাম খান (পোষ্টমাউথ), মাওলানা মঈন উদ্দীন খান (লন্ডন), মাওলানা আব্দুল গফ্ফার (লন্ডন), হাফিজ মাওলানা নিজাম উদ্দীন (বামিংহাম), হাফিজ মাওলানা মিজানুর রহমান (ওয়েস্ট লন্ডন), হাফিজ মিফতাহুর রহমান (লন্ডন)।
ট্রেজারারঃ হাফিজ রশীদ আহমদ (লন্ডন), সহ-ট্রেজারারঃ মাওলানা আব্দুর রহমান (ব্রাডফোর্ড)।
প্রচার সম্পাদকঃ মাওলানা শামছুল ইসলাম (ওয়েস্ট লন্ডন), সহ-প্রচার সম্পাদকঃ হাফিজ মাওলানা আব্দুল হাই (লন্ডন), মাওলানা তারেক চৌধুরী (লন্ডন)।
যুব বিষয়ক সম্পাদকঃ হাফিজ মাওলানা সৈয়দ হোসাইন বিন ইমামুদ্দীন; প্রশিক্ষণ সম্পাদকঃ মাওলানা ওলিউর রহমান; তাফসিরুল কোরআন বিষয়ক সম্পাদকঃ হাফিজ মাওলানা মশতাক আহমদ; দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক- মাওলানা নাজমুল হোসাইন; আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক : হাফিজ মাওলানা খালেদ আহমদ, সাহিত্য সম্পাদকঃ হাফিজ মাওলানা আদনান আহমদ, অফিস সম্পাদকঃ মাওলানা ফখরুদ্দীন বিশ্বনাথী;
ওয়েলফেয়ার সম্পাদকঃ, আলহাজ্ব হারুন মিয়া, সহ-ওয়েল ফেয়ার সম্পাদকঃ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান কুরেশী, আলহাজ্ব সৈয়দ হোসেন আহমাদ (কিডির মিনিস্টার), সৈয়দ আরজু মিয়া (সান্ডারল্যান্ড); মিডিয়া সেক্রেটারী: আরিফুল ইসলাম (লন্ডন)।