img

জাবিতে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রনিক কার্ট গাড়ি চালু

প্রকাশিত :  ০৯:১৪, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

জাবিতে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রনিক কার্ট গাড়ি চালু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে পরীক্ষামূলকভাবে ইলেকট্রিক কার্ট গাড়ি চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ‍্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুল আহসান ৪টি ইলেকট্রিক কার্ট গাড়ি উদ্বোধন করেন। এ সময় উপাচার্য ও তার সঙ্গে থাকা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা গাড়িতে করে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। 

জানা যায়, আগামী মঙ্গলবার থেকে এই কার্ট গাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। দুটি গাড়ি ছাত্রদের আবাসিক হল এবং দুটি ছাত্রীদের আবাসিক হল সংলগ্ন এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে যাবে। 

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কার্টের ভাড়া সর্বনিম্ন ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

গাড়ি উদ্বোধনের সময় উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা এক শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি অটোরিকশা দুর্ঘটনায়। এ ধরনের ঘটনা আর চাই না। তাই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরিবেশবান্ধব এই গাড়ি চালু করেছি।

উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ। আমরা দেখব, স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা এই ইলেকট্রিক আমাদের কতটা সার্ভিস দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই মূলত এ উদ্যোগ, তাদের আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে বলতে চাই, আফসানা কারীম রাচির জীবনের বিনিময়ে কখনো এটি যথার্থ কোনো পদক্ষেপ হতে পারে না। আমরা যেন তাকে ভুলে যাচ্ছি না সেই নিদর্শন হিসেবে এটাকে গ্রহণ করি। এ পরিবহণ দ্বারা যারা উপকৃত হবে তাদের ভালো অনুভূতিটা তার জন্য দোয়া হিসেবে যাবে, এই প্রত্যাশা রাখছি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর মার্কেটিং বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম (রাচি) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ হারান। এতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক‍্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অটোরিকশা নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে যে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, তা লাঘব করতেই বিকল্প যানবাহনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ  শিক্ষার্থীরা। 

বর্তমানে ক্যাম্পাসে প্যাডেলচালিত রিকশা চালু থাকলেও তার সংখ্যা ও ভাড়ার দিক বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী নয়। তাই শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে বিকল্প ও টেকসই সমাধান হিসেবে পরিবেশবান্ধব কার্ট গাড়ি চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত :  ১০:২২, ২০ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩০, ২০ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জে নাজমুল ইসলাম নামে এক সবজি ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এসময় তাদের প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। 

মামলার আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার পারধুন্দিয় গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাজা মিয়া, হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে মোজাহিদ, পারধুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও সাঘাটা থানার রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মিলন সরকার। 

অন্যদিকে ভিকটিম নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। 

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজমুল ইসলাম নওগা জেলার চকগৌরী বাজার হতে সবজি কিনে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় আড়তে বিক্রি করতেন। গত ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে সে একইভাবে ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরের দিনে পরিবারের সাথে কথা হলেও রাত ১২টার দিকে নাজমুলের মোবাইল থেকে ভিকটিমের বউয়ের মোবাইল ফোনে কল করে জানানো হয় নাজমুলকে চন্দ্রা এলাকা হতে কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা পেলে ছেড়ে দিবে। 

পরবর্তীতে পরিবার নাজমুলের সাথে কথা বলতে চাইলেও বলতে দেওয়া হয়না। পরেরদিন ১২ তারিখ সকালে জানতে পারেন যে নাজমুলকে সিরাজঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশ মৃত অবস্থায় পেয়েছে। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানায় গিয়ে পরিবার তার মৃতদেহ সনাক্ত করেন এবং নাজমুলের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলার এজাহার দায়ের করেন। 

এই মামলায় মোট ৭ জন আসামি করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৬৪, ৩০২, ২০১ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অধীন চার্জ গঠন করেন। পরে একজনের মৃত্যু হলে মামলার বিচার চলাকালে তাকে এই মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। 

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার রফিক সরকার জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৯৬ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজ এই রায় ঘোষণা করেন।