img

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদকে স্নাতক সমমান করার দাবিতে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ

প্রকাশিত :  ০৮:৪০, ২০ এপ্রিল ২০২৫

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদকে স্নাতক সমমান করার দাবিতে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতক সমমান করার দাবিতে আজ ২০ মার্চ রোববার জাতীয় প্রেসক্লোবের সামনে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এই মর্মে সাধারণ ডিপ্লোমা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি এবং ইন্টার্ন শিক্ষার্থীবৃন্দ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে । 

নিম্নে তাদের স্মারকলিপিটি হুবহু তুলে ধরা হল:

‘বরাবর,

মাননীয় উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

বিষয়ঃ নার্সিং শিক্ষায় বৈষম্য, অসংগতি এবং অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা দূর করতে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পাশ যোগ্যতায় ভর্তি হয়ে ০৩ (তিন) বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতক (পাস) / Degree (Pass) কোর্স সনদের সমমান করার দাবীতে স্মারকলিপি

জনাব,

সাধারণ ডিপ্লোমা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি এবং ইন্টার্ন শিক্ষার্থীবৃন্দের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের শিক্ষার্থীগণের পক্ষ থেকে আপনাকে অবগত করছি যে, পূর্বে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের অধীনে সকল নার্সিং শিক্ষা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাশের পর চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্স পরিচালিত হলেও বর্তমান নার্সর্বান্ধব সরকারের হাত ধরে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের লক্ষে নার্সিং কোর্সের ভর্তি যোগ্যতা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাশের পরিবর্তে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পাশ করা হয় যার ফলে গত ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পাশ যোগ্যতায় তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি ও চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন নার্সিং (বিএসসি) ইন নার্সি (শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগ) এবং পরবর্তিড়ে দুলাই-ই শিক্ষাবর্ষ থেকে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সগুলো পরিচালনা করে আসছে।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত প্রায় ৭,০০০ (সাত হাজারের) অধিক কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পাশ যোগ্যতা নিয়ে ০৩ (তিন) বছর মেয়াদী কোর্সগুলো স্নাতক (পাস) / Degree (Pass) কোর্স মানের হলেও অধিক জিপিএ নিয়ে সম যোগ্যতায় কেন্দ্রীয় ভাবে প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হয়ে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে সম্পূর্ণ ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনার পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস ও রাত্রীকালীন ডিউটি পালনসহ চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাশের পর ০৬ (ছয়) মাসের ইন্টানশীপ শেষ করতে হয় কিন্তু দ্বীর্ঘ ৩(তিন) বছর ৬(ছয়) মাস কঠোর সাধনার পর প্রাপ্ত সার্টিফিকেটের মান সেই ভর্তিকালীন যোগ্যতার সমানই যা সম্পূর্ণ অমানবিক, ন্যায়বিরুদ্ধতা, চরম সমন্বয়হীনতা এবং ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে অধ্যয়নরত এবং এসব কোর্স সম্পন্নকারীদের প্রতি দৃশ্যমান চরম বৈষম্যতা, অবহেলা ও অবিচারের শামীল।

অতএব, নার্সিং শিক্ষায় বৈষম্য, অসংগতি এবং অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা দূর করতে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পাশ যোগ্যতায় ভর্তি হয়ে ০৩ (তিন) বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতক (পাস) / Degree (Pass) কোর্স সনদের সমমান করতে মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।’

শিক্ষা এর আরও খবর

img

সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত :  ১০:২২, ২০ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩০, ২০ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জে নাজমুল ইসলাম নামে এক সবজি ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এসময় তাদের প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। 

মামলার আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার পারধুন্দিয় গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাজা মিয়া, হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে মোজাহিদ, পারধুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও সাঘাটা থানার রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মিলন সরকার। 

অন্যদিকে ভিকটিম নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। 

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজমুল ইসলাম নওগা জেলার চকগৌরী বাজার হতে সবজি কিনে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় আড়তে বিক্রি করতেন। গত ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে সে একইভাবে ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরের দিনে পরিবারের সাথে কথা হলেও রাত ১২টার দিকে নাজমুলের মোবাইল থেকে ভিকটিমের বউয়ের মোবাইল ফোনে কল করে জানানো হয় নাজমুলকে চন্দ্রা এলাকা হতে কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা পেলে ছেড়ে দিবে। 

পরবর্তীতে পরিবার নাজমুলের সাথে কথা বলতে চাইলেও বলতে দেওয়া হয়না। পরেরদিন ১২ তারিখ সকালে জানতে পারেন যে নাজমুলকে সিরাজঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশ মৃত অবস্থায় পেয়েছে। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানায় গিয়ে পরিবার তার মৃতদেহ সনাক্ত করেন এবং নাজমুলের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলার এজাহার দায়ের করেন। 

এই মামলায় মোট ৭ জন আসামি করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৬৪, ৩০২, ২০১ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অধীন চার্জ গঠন করেন। পরে একজনের মৃত্যু হলে মামলার বিচার চলাকালে তাকে এই মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। 

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার রফিক সরকার জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৯৬ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজ এই রায় ঘোষণা করেন।