img

ভিসির অপসারণ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত :  ০৭:৩৭, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 ভিসির অপসারণ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের ১৮ ঘণ্টা পার হয়েছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ২৯ জন শিক্ষার্থী অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে সোমবার বিকাল ৪টায় পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। আরও একজন মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

এদিকে, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুর্বল হয়ে পড়ছেন। দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তারা।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকালে আবারো শিক্ষার্থীদের আমরণ কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস অনশনস্থলে এসে ছাত্রদের খোঁজখবর নিয়েছেন।

এর আগে, সোমবার বেলা আড়াইটায় ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত অনশনস্থল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় অবস্থান নেন। টানা আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও শিক্ষার্থীদের নমনীয় করতে না পেরে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালকসহ শিক্ষকরা সেখান থেকে চলে যান।

এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় থাকে। তারা বলছেন, এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে অনশন থেকে তারা সরবেন না।

রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এরপর থেকেই ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত :  ১০:২২, ২০ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩০, ২০ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জে নাজমুল ইসলাম নামে এক সবজি ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এসময় তাদের প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। 

মামলার আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার পারধুন্দিয় গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাজা মিয়া, হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে মোজাহিদ, পারধুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও সাঘাটা থানার রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মিলন সরকার। 

অন্যদিকে ভিকটিম নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। 

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজমুল ইসলাম নওগা জেলার চকগৌরী বাজার হতে সবজি কিনে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় আড়তে বিক্রি করতেন। গত ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে সে একইভাবে ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরের দিনে পরিবারের সাথে কথা হলেও রাত ১২টার দিকে নাজমুলের মোবাইল থেকে ভিকটিমের বউয়ের মোবাইল ফোনে কল করে জানানো হয় নাজমুলকে চন্দ্রা এলাকা হতে কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা পেলে ছেড়ে দিবে। 

পরবর্তীতে পরিবার নাজমুলের সাথে কথা বলতে চাইলেও বলতে দেওয়া হয়না। পরেরদিন ১২ তারিখ সকালে জানতে পারেন যে নাজমুলকে সিরাজঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশ মৃত অবস্থায় পেয়েছে। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানায় গিয়ে পরিবার তার মৃতদেহ সনাক্ত করেন এবং নাজমুলের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলার এজাহার দায়ের করেন। 

এই মামলায় মোট ৭ জন আসামি করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৬৪, ৩০২, ২০১ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অধীন চার্জ গঠন করেন। পরে একজনের মৃত্যু হলে মামলার বিচার চলাকালে তাকে এই মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। 

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার রফিক সরকার জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৯৬ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজ এই রায় ঘোষণা করেন।