img

রান দিলেন, রেকর্ডও গড়লেন রিশাদ

প্রকাশিত :  ০৬:৩৪, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

রান দিলেন, রেকর্ডও গড়লেন রিশাদ

মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে পরাজিত লাহোর কালান্দার্সের হয়ে রিশাদ হোসেন করেছেন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় কীর্তি—পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বাংলাদেশি হিসেবে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন এই তরুণ লেগির দখলে।

ম্যাচে রিশাদের পরিসংখ্যান বলছে—৪ ওভারে ৪৫ রান, ২ উইকেট। রান খরচ হয়েছে বটে, তবে তার উইকেটগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দেন ১০ রান। এরপর ১২তম ওভারে ফের আসেন বোলিংয়ে—সেখানে দেন ১২ রান। যদিও পরের দুই ওভারে কিছুটা জ্বলে ওঠেন রিশাদ। তুলে নেন উসমান খান ও অ্যাস্টন টার্নারের উইকেট। সেই দুই ওভারে আবারও খরচ করেন ২৩ রান।

লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি এদিন ব্যবহার করেছেন সাতজন বোলারকে। একমাত্র আব্বাস আফ্রিদিকে ছাড়া সবার ইকোনমি রেট ছিল ৭-এর ওপরে। কিন্তু তাতেও থামেনি মুলতানের রানের ঝড়। মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল স্কোরবোর্ডে তোলে ২২৮ রান। আর সেই পাহাড় টপকাতে গিয়ে ৩৩ রানে হেরে যায় লাহোর।

তবে দিনটি রিশাদের জন্য মনে রাখার মতো। ৮ উইকেট নিয়ে তিনি এখন পিএসএলে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে শীর্ষে। ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রেকর্ড—তবে তারা দুজন এই সংখ্যক উইকেট পেতে খেলেছিলেন কমপক্ষে দুটি আসর। রিশাদ তা করেছেন মাত্র তিন ম্যাচে।

এই ৮ উইকেটের সুবাদে রিশাদ এখন এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডের মালিক। ২০১৬-১৭ মৌসুমে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে মাহমুদউল্লাহ নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। এবার রিশাদ সেই রেকর্ডও নিজের করে নিলেন।

চলতি আসরে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় আপাতত রিশাদ আছেন তৃতীয় স্থানে। তার উপরে আছেন জেসন হোল্ডার (১১ উইকেট) ও হাসান আলী (১০ উইকেট)। সামনে আরও ম্যাচ বাকি—তালিকার শীর্ষে ওঠাও অসম্ভব নয় রিশাদের জন্য।


img

মেসির জোড়া গোলে টানা পঞ্চম জয় মায়ামির

প্রকাশিত :  ০৭:৫৫, ১৩ জুলাই ২০২৫

অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে প্রথমে দলকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। বিরতির পরপরই লড়াইয়ে ফেরে প্রতিপক্ষ ন্যাশভিলে। এরপর আবার মেসির ঝলক। তাতে লিগে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিলো ইন্টার মায়ামি।

আজ রোববার (১৩ জুলাই) ভোরে আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া গোলে ভর করে ন্যাশভিলে এসসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মায়ামি।

গত ম্যাচেই এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোল করার ইতিহাস গড়েন মেসি। এবার সেই সংখ্যাকে তিনি পাঁচে বাড়িয়ে নিলেন। এ নিয়ে মন্ট্রিয়েল, কলম্বাস ক্রু, আবার মন্ট্রিয়ল, নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলুশন এবং ন্যাশভিলের বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচেই করলেন জোড়া গোল।

ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপত্য দেখায় মায়ামি। তবে অষ্টম মিনিটে জোড়া সুযোগ মিস করে হতাশায় পোড়ান তাদেও আয়েন্দে ও লুইস সুয়ারেজ। ১৫তম মিনিটে বক্সে বেঞ্জামিন ক্রেমাসচির হেড রুখে দেন ন্যাশভিলের গোলরক্ষক জো উইলিস। 

একের পর এক ব্যর্থতার পর অবশেষে ১৭তম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে সাফল্য পায় মায়ামি। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তার বাঁকানো নিচু শট জড়ায় জালে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগান পাননি উইলিস।

একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত থাকা ন্যাশভিলে লড়াইয়ে ফেরে বিরতির পর। ৪৯তম মিনিটে ডানপ্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে বক্সের বাইরে থেকে ক্রস নেন ডিফেন্ডার অ্যান্ডি নাজার। গোলমুখে বল পেয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন হ্যানি মুখতার। তাতে সমতায় ফেরে ন্যাশভিলে।

তবে গোলরক্ষক উইলিসের ভুলে বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারেনি তারা। ৬২তম মিনিটে সতীর্থের ব্যাকপাস বুকে নিয়ে ফের সতীর্থকে দিতে গিয়ে মেসিকে দিয়ে বসেন উইলিস। ডি-বক্স লাইনে বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগান আর্জেন্টাইন তারকা। ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে গোলরক্ষককে পরাস্ত করার পর ন্যাশভিলের আরেক ডিফেন্ডারের বাধা অতিক্রম করে গোল আদায় করে নেন মেসি। 

আর এ গোলেই নির্ধারণ হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। যদিও সমতায় ফেরার দুটো সুযোগ পেয়েছিল ন্যাশভিলে। কিন্তু তারা সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। তাতে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি।

এ জয়ে ১৯ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে অবস্থান করছে মায়ামি। তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে শীর্ষে উঠে আসার। ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।