img

আন্দোলনের মুখে কুয়েট ভিসি-প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিল সরকার

প্রকাশিত :  ২১:০৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ২১:০৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

আন্দোলনের মুখে কুয়েট ভিসি-প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিল সরকার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্যকে (প্রোভিসি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির চলমান সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দেয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েটে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অনশন ও শৃঙ্খলাজনিত অচলাবস্থার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জনের বেশি আহত হন। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

এই পরিস্থিতিতে কুয়েটের ২৯ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ২২ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশনে বসেন। শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল অনশন ভাঙাতে গেলেও ব্যর্থ হন। আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন।

এর আগে অধ্যাপক মাছুদ নিজে থেকে পদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, সরকার চাইলে পদ ছাড়ব, নিজে থেকে নয়। শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকেই তাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে। একইসঙ্গে শিগগিরই স্থায়ী নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তুতিও চলছে।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত :  ১০:২২, ২০ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩০, ২০ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জে নাজমুল ইসলাম নামে এক সবজি ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এসময় তাদের প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। 

মামলার আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার পারধুন্দিয় গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাজা মিয়া, হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে মোজাহিদ, পারধুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও সাঘাটা থানার রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মিলন সরকার। 

অন্যদিকে ভিকটিম নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। 

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজমুল ইসলাম নওগা জেলার চকগৌরী বাজার হতে সবজি কিনে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় আড়তে বিক্রি করতেন। গত ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে সে একইভাবে ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরের দিনে পরিবারের সাথে কথা হলেও রাত ১২টার দিকে নাজমুলের মোবাইল থেকে ভিকটিমের বউয়ের মোবাইল ফোনে কল করে জানানো হয় নাজমুলকে চন্দ্রা এলাকা হতে কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা পেলে ছেড়ে দিবে। 

পরবর্তীতে পরিবার নাজমুলের সাথে কথা বলতে চাইলেও বলতে দেওয়া হয়না। পরেরদিন ১২ তারিখ সকালে জানতে পারেন যে নাজমুলকে সিরাজঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশ মৃত অবস্থায় পেয়েছে। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানায় গিয়ে পরিবার তার মৃতদেহ সনাক্ত করেন এবং নাজমুলের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলার এজাহার দায়ের করেন। 

এই মামলায় মোট ৭ জন আসামি করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৬৪, ৩০২, ২০১ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অধীন চার্জ গঠন করেন। পরে একজনের মৃত্যু হলে মামলার বিচার চলাকালে তাকে এই মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। 

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার রফিক সরকার জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৯৬ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

শিক্ষা এর আরও খবর