এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, বাড়ছে ভাতা
প্রকাশিত :
১১:০৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর আসছে। উৎসব ভাতা হিসেবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পাবেন তারা। বর্তমানে মূল বেতনের ২৫ শতাংশ পেয়ে থাকেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
সম্প্রতি ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ সভার সভাপতিত্ব করেন। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এসংক্রান্ত প্রস্তাবে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী ঈদুল আজহা থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বৈঠক উপলক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থসচিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
আগামী ২৯ এপ্রিল তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তারা দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
বর্তমানে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা তিন লাখ ৯৮ হাজার ৬৮ জন। উৎসব ভাতা বাড়ানো হলে এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ২২৯ কোটি টাকা।
প্রকাশিত :
১০:২২, ২০ মে ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩০, ২০ মে ২০২৫
সিরাজগঞ্জে নাজমুল ইসলাম নামে এক সবজি ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এসময় তাদের প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজমুল ইসলাম নওগা জেলার চকগৌরী বাজার হতে সবজি কিনে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় আড়তে বিক্রি করতেন। গত ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে সে একইভাবে ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরের দিনে পরিবারের সাথে কথা হলেও রাত ১২টার দিকে নাজমুলের মোবাইল থেকে ভিকটিমের বউয়ের মোবাইল ফোনে কল করে জানানো হয় নাজমুলকে চন্দ্রা এলাকা হতে কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা পেলে ছেড়ে দিবে।
পরবর্তীতে পরিবার নাজমুলের সাথে কথা বলতে চাইলেও বলতে দেওয়া হয়না। পরেরদিন ১২ তারিখ সকালে জানতে পারেন যে নাজমুলকে সিরাজঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশ মৃত অবস্থায় পেয়েছে। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানায় গিয়ে পরিবার তার মৃতদেহ সনাক্ত করেন এবং নাজমুলের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলার এজাহার দায়ের করেন।
এই মামলায় মোট ৭ জন আসামি করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৬৪, ৩০২, ২০১ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অধীন চার্জ গঠন করেন। পরে একজনের মৃত্যু হলে মামলার বিচার চলাকালে তাকে এই মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার রফিক সরকার জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৯৬ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজ এই রায় ঘোষণা করেন।