সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড

img

এক ম্যাচ থাকতেই সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড

প্রকাশিত :  ১৯:৩৯, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ২২:২৪, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এক ম্যাচ থাকতেই সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড

সাউদাম্পন টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে ৬০ রানে হেরে গেছে ভারত। এতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিল ইংলিশরা। সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর লন্ডনে শুরু হবে। 

 

রবিবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ২৭১ রান তোলেই শেষ হয় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। এর আগে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৪৬ ও ভারত ২৭১ রান করে। তাই জয়ের জন্য ভারতের সামনে ২৪৫ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। লক্ষ্য পূরণ করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। 

 

দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৬০ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল ইংলিশরা। এ দিন আর ১১ রান করেই ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংস সমাপ্ত হয়। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে মোটামুটি সহজ লক্ষ্য তাড়া করতেই নামে ভারত। কিন্তু দলটির ব্যাটসম্যানরা ইংলিশ বোলারদের কাছে বিধ্বস্ত হয়। 

 

স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের বোলিংয়ে মাত্র ২২ রানে তিন উইকেট হারায় ভারত। এরপর বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানে চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন। তারা দুজন এই জুটিতে যোগ করেন ১০১ রান। হাফসেঞ্চুরি করেন দুজনই। তবে এরপর মঈন আলীর বলে কোহলি-রাহানে আউট দুজনই হয়ে গেলে সেই ধাক্কা আর সামলে নিতে পারেনি দলটি। 

 

শেষ দিকে রিশাব পান্ত ও রবীচন্দ্র অশ্বিন কিছুটা চেষ্টা করেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানেই থামতে হয় ভারতকে। অশ্বিন ২৫ ও পান্ত ১৮ রান করেন। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে মঈন আলী সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন। জেমস অ্যান্ডারসন ও বেন স্টোকস নেন দুটি করে উইকেট। 



 

img

যে কারণে বাদ সাইফউদ্দিন

প্রকাশিত :  ১০:৪৯, ১৪ মে ২০২৪

অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। এই দলে রয়েছে বেশ কয়েকটা চমকও। ইনজুরিতে থাকা তাসকিন আহমেদকে আইসিসির এই মেগা আসরে টাইগারদের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে দলে জায়গা মেলেনি পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় উৎরে গেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

৩৬ মিনিটের সংবাদ সম্মলেনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর তানজীমের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাকি দুই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকার। 

এক প্রশ্নের উত্তর লিপু বলেন, ‘এখানে সবাই খুব ক্লোজ লড়াই করেছে। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ তারিখে সেটা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে দুটো চিন্তা ছিল যে বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করা। আর একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে তা দেখা। তো আমাদের যে আস্থার জায়গাটা। সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল। এজন্য ওকে আমরা দলে রেখেছি।’

সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাইফুদ্দিন খেলেছেন ৪ ম্যাচ। চট্টগ্রামে প্রথম তিনটি আর ঢাকায় শেষ ম্যাচটি। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত, ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। এরপরের তিন ম্যাচে সাইফুদ্দিনের পারফরম্যান্স যথাক্রমে ১ উইকেটে ৩৭, ৩ উইকেটে ৪২ ও ১ উইকেটে ৫৫ রান।

শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাত খুলে রান দেয়াটাই কাল হয়েছে সাইফুদ্দিনের। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ হারে শেষ পর্যন্ত। অন্যদিকে তানজীম হাসান সাকিব দুই ম্যাচ খেলেন। চট্টগ্রামে ১ ম্যাচে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, ঢাকায় চতুর্থ ম্যাচে ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। 

৪ ম্যাচে সাইফুদ্দিন ৮ উইকেট নিয়েও কেন বাদ? অন্যদিকে মাত্র ১ উইকেট নেওয়া তানজীমে কেন নির্বাচকদের আস্থা? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সাকিবকে (তানজীম) শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে দেয়ার চেষ্টা সেটা সাইফুদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে।’

‘আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আসলে সাইফউদ্দিন ও সাকিবের সঙ্গেই লড়াই চলছিল’-আরও যোগ করেন প্রধান নির্বাচক। 

বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নির্বাচকদের নজরে আসেন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করা সাইফুদ্দিন। ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেন ৬৩ রান। ফরচুন বরিশালের চ্যাম্পিয়নে রাখেন বড় ভূমিকা। তবে সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি জিম্বাবুয়ে সিরিজে। তাই তো দলে থেকেও শেষ পর্যন্ত নাই হয়ে গেলেন।