img

অনলাইন নিউজ থেকে গুগলের আয় ৪৭০ কোটি ডলার

প্রকাশিত :  ০৬:৫২, ১২ জুন ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০৩, ১২ জুন ২০১৯

অনলাইন নিউজ থেকে গুগলের আয় ৪৭০ কোটি ডলার

জনমত ডেস্ক : সার্চ ও নিউজ থেকে ২০১৮ সালে  গুগল ৪৭০ কোটি ডলার আয় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ মিডিয়া অ্যালায়েন্সের এক সমীক্ষায় এই তথ্য জানা গেছে। পরিসংখ্যানটা চমকে ওঠার মতোই। ‘অ্যাভেঞ্জার’ সিরিজের সর্বশেষ দুটি চলচ্চিত্রের টিকিট বিক্রি থেকেও এই পরিমাণ টাকা ওঠেনি। এমনকি পেশাদার ক্রীড়া দলের মূল্যের চেয়েও এটি বেশি।

কিন্তু এই সংবাদ তৈরিতে গুগলের ভূমিকা নেই। সে জন্য নিউজ মিডিয়া অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ডেভিড চ্যাভার্ন মনে করেন, যে সাংবাদিকেরা এই সংবাদ আধেয় তৈরি করছেন, তাঁরাও এই আয়ের ভাগীদার।

গত বছর মার্কিন সংবাদশিল্প ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেছে ৫১০ কোটি ডলার। অন্যদিকে নিউজ মিডিয়ার এই হিসাব অনেক কম করেই ধরা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবহারকারীরা গুগলে প্রদর্শিত সংবাদ প্রতিবেদনে ক্লিক করলে কোম্পানিটি যে পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়, সমীক্ষায় তা হিসাব করা হয়নি। সেটি হিসাবের মধ্যে আনলে হয়তো দেখা যাবে, গুগলের আয় মার্কিন সংবাদশিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে।

সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগলের ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সংবাদ। গুগলের ট্রেন্ডিং কোয়েরির (অনুসন্ধানের মূলধারা) ৪০ শতাংশ ক্লিক পড়ছে সংবাদে। কিন্তু এই আধেয়র নির্মাতাদের গুগল পয়সা দেয় না, যদিও তারা কখনো কখনো সংবাদমাধ্যম থেকে শিরোনাম একদম হুবহু তুলে দেয়। এই প্রসঙ্গে ফিলাডেলফিয়া মিডিয়া নেটওয়ার্কের কর্ণধার এগার বলেন, এই সংবাদ যারা তৈরি করে তাদের প্রতি গুগলের বিবেচনা থাকা দরকার।

এগার মনে করেন, এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংবাদ প্রতিষ্ঠানের চমৎকার মিথোজীবিতা গড়ে উঠতে পারে। ব্যাপারটা হলো, তিনি বলেন, ‘গুগলে যে এত মানুষ ঢুঁ মারছে তার প্রধান কারণ হচ্ছে সংবাদ। সে জন্য গুগল থেকে সংবাদ বিযুক্ত হোক, সেটা তারা চাইবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের দাবি গুগলের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে হতে পারে। সেটা হলো, আমাদের আধেয় দিয়ে ব্যবসা করে গুগল যে রাজস্ব আয় করছে তার ভাগ আমাদের দিতে হবে অথবা আমরা যে আধেয় তৈরি করছি তার হাদিয়া দিতে হবে।’

গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট ছাড়া ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি সংবাদ প্রচারিত হয়। বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে যত পরোক্ষ ক্লিক হয়, তার ৮০ শতাংশই আসে এই দুটি প্ল্যাটফর্ম থেকে। কিন্তু সংবাদমাধ্যম এ থেকে রাজস্ব পাচ্ছে না।

img

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৩:২৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।

সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।

মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।