img

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে ৩টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে: রয়টার্স

প্রকাশিত :  ০৯:২০, ০৭ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৩৯, ০৭ মে ২০২৫

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে ৩টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে: রয়টার্স
ভারতের মিসাইল হামলার জবাবে দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা আগেই জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবি নিশ্চিত করা হয়নি।
অবশ্য স্থানীয় সরকারের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, বুধবার ভারতের জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সরকারের চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। ভারত সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের ৯টি “সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে” আঘাত হানার কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরই এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের একজন সামরিক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। যদিও ভারত এই দাবি নিশ্চিত করেনি।
এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক হামলা চালানোর পর পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন, সমস্ত ভারতীয় বিমান তাদের আকাশসীমায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের এই প্রধান সামরিক মুখপাত্রের মতে, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বর্তমানে তীব্র গুলি বিনিময় চলছে। তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) সমস্ত বিমান নিরাপদ রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সূত্র জিও নিউজকে জানিয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় ভূপাতিত ভারতীয় বিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফাল ফাইটার জেট, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান রয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

‘অল্পের জন্য বেঁচে যান’ ইরানি প্রেসিডেন্ট, ছোড়া হয় ৬টি বোমা

প্রকাশিত :  ০৭:২৬, ১৩ জুলাই ২০২৫

সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সংশ্লিষ্ট এক আউটলেটের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।  

ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত ১৬ জুন, সোমবার সকালে পশ্চিম তেহরানের ভবনের নিচতলায় দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একটি অধিবেশন চলছিল। তখন ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ চালায়। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈঠকে মাসুদ পেজেশকিয়ান ছাড়াও, পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, বিচার বিভাগীয় প্রধান মোহসেনি এজেই এবং দেশটির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ফার্স নিউজ বলেছে, পালানোর রাস্তা বন্ধ এবং বায়ুপ্রবাহ ব্যাহত করতে ভবনের প্রবেশ ও প্রস্থান পথ লক্ষ্য করে ছয়টি বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার জন্য পরিকল্পিত একটি অভিযানের আদলে এই আক্রমণটি তৈরি করা হয়েছিল। 

রিপোর্টে আরও বলা হয়, বিস্ফোরণের পর ফ্লোরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কর্মকর্তারা আগে থেকে প্রস্তুত করা একটি \'জরুরি হ্যাচ\' দিয়ে পালাতে সক্ষম হন। তবে এই এক্সিট পথ দিয়ে বের হওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এবং আরও কিছু কর্মকর্তা পায়ে সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার্সের রিপোর্টে ইরানি প্রেসিডেন্টসহ কর্মকর্তারা তেহরানের ঠিক কোথায় এই বৈঠক করছিলেন তার তথ্য দেওয়া হয়নি।

তবে ইরান ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গত ১৬ জুন পশ্চিম তেহরানে শাহরাক-ই-গারবের কাছে একটি এলাকায় হামলায় চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। 

এদিকে সম্প্রতি মার্কিন রক্ষণশীল উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, সংঘাতের সময় ইসরায়েল তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।