img

ভারতকে জবাব দিতে ‘পূর্ণ ক্ষমতা পেল’ পাকিস্তান সেনাবাহিনী

প্রকাশিত :  ১২:৪০, ০৭ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫১, ০৭ মে ২০২৫

ভারতকে জবাব দিতে ‘পূর্ণ ক্ষমতা পেল’ পাকিস্তান সেনাবাহিনী

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীর জুড়ে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান এবং ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)।

বুধবার দুপুরে ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।   

পরে কমিটির বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত পরিকল্পিতভাবে পাঞ্জাব ও আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক বসতিতে, এমনকি মসজিদ ও বাড়িঘরের ওপরও হামলা চালিয়েছে। যাতে বহু নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। 

এতে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি সতর্ক করে বলেছে, চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার ভারতের ওপর বর্তায়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে এবং সে অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীকে উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্ণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কমিটি আরও জানায়, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ইতোমধ্যেই দেশের আকাশসীমা রক্ষায় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে—এ জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসাও করা হয়।

একই সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনএসসি বলেছে, ভারতকে তার আগ্রাসনের জন্য জবাবদিহি করানো উচিত। অন্যদিকে পাকিস্তান বরাবরই শান্তি চায়। তবে তা হতে হবে মর্যাদার সঙ্গে।

সেই সঙ্গে, পাকিস্তানের জনগণ বা ভূখণ্ডে কোনো রকম আঘাত বরদাস্ত করা হবে না বলেও দৃঢ়ভাবে জানানো হয়।

এদিকে, ভারতের ওই হামলায় পাকিস্তানি ভূখণ্ডে অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। 

ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

মিয়ানমারে উলফার ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলা

প্রকাশিত :  ১৪:৫৬, ১৩ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) অন্তত চারটি ক্যাম্পে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার ভোরের দিকে শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের সামরিক বাহিনীর চালানো এই হামলায় উলফার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এনইর খবরে বলা হয়েছে, আসামে উলফার চারটি ক্যাম্পকে নিশানা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতে নিষিদ্ধ এই সংগঠন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত উলফার একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটিতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানা হয়েছে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, হামলায় উলফার কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। নিহতদের মধ্যে উলফার অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংগঠনটির সামরিক শাখার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নয়ন অসমও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদ্রোহী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম-ইন্ডিপেনডেন্টের (উলফা-আই) মিয়ানমারে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

রোববার ভোরের দিকে মিয়ানমারে গোষ্ঠীটির পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে উলফা-আই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘‘সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চালানো এই হামলায় উলফা-আইয়ের অন্তত ১৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৯ জন।’’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উলফা-আইয়ের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নয়ন মেধি ওই হামলায় নিহত হয়েছেন। মণিপুরের বিদ্রোহী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রাজনৈতিক শাখা রেভল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্টের (আরপিএফ) কয়েকজন সদস্যও হতাহত হয়েছেন।

যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত দেশটির বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, এ ধরনের কোন অভিযানের তথ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে নেই।