img

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগ বঞ্চিতদের অবস্থান ও মানববন্ধন

প্রকাশিত :  ১৩:০৪, ০৭ মে ২০২৫

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগ বঞ্চিতদের অবস্থান ও মানববন্ধন

২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদে নিয়োগ বঞ্চিতদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বঞ্চিত ৬১ জেলার প্রধান সমন্বয়ক কমিটি। 

আজ বুধবার (০৭ মে) সকাল  ৯ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও মানববন্ধন করেন বঞ্চিত শিক্ষক /শিক্ষিকারা।

প্রধান সমন্বয়ক নুরু উদ্দিন বলেন,প্রাথমিক শিক্ষা হলো একটি দেশের শিক্ষার মূল ভিত্তি। কিন্তু ন্যুগজনক হলেও সত্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অদৃশ্য অটিপতার কায়নে আমরা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত হই। নিয়োগ বাণিজ্য ও নিয়োগের দীর্ঘসূত্রিতায় ধার অন্যতম প্রধান কারণ। ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমরা মাত্র ৫৫, ২৯৫জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই যা মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর (২.৩%)। এদের মধ্যে ১৮,১৪৭জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে যা মোট পরীক্ষার্থীর মাত্র (০.৫৬%)। এর মধ্যে থেকেও ৪,০০০ এর অধিক কর্মস্থলে যোগদান করেনি। ২০১৮ সালে যে ৪০০০ হাজার যোগদান করেনি, আমরা ঐ ৪০০০ হাজারের নিয়োগ চাই ৬১ জেলার প্রার্থীরা।

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার প্রদিন পর সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে বলেছেন আমাদের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকে এখনও ২৮,৮৩২টি পদ শূন্য আছে। তাহলে প্রতীয়মান হয়, ২৮,৮৩২টি শূন্য পদ আর যোগদান করেনি ৪,০০০ মোট ৩২,৮৩২টি শূন্য পদ রেখে সে অর্থাৎ গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন পরবর্তী সার্কুলার দিয়ে, শত শত কোটি টাকা নিযোগ বানিজ্য করে, ৬১ জেলার নিয়োগ প্রার্থীদের বঞ্চিত করেছে এবং সার্কুলারে ০৮নং অনুচ্ছেদে বলা ছিল শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়ার কথা কিন্তু শূন্য পদ রেখে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করে। বর্তমানে আমরা ৭-৮ মাজার প্রার্থী ২০১৮ সালের নিয়োগের জন্য অবশিষ্ট আছি। বর্তমানে বয়স বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হলেও আমরা পায়নি। উচ্চ আদালতের মামলার জটিলতার কারনে ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় বছরে একটি মাত্র নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, যার কারনে ছয় বছরে অনেক চাকরির প্রত্যাশী আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়।

২০১৮ সালে ভিন্ন মতের প্রার্থীদের অর্থাৎ যারা আওয়ামী লীগ করেনি, তাদের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। উপর মহলের নির্দেশে। হাইকোর্টে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য রুল জারি হলে, হাইকোর্ট শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ না মেনে জাকির হোসেনের নির্দেশে পরবর্তী সার্কুলার দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করে শত শত কোটি টাকা কমিয়েছে ।আমরা ২০২০ সালে প্রেসক্লাব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ৫৭দিন আন্দোলন ও অনসন কর্মসূচি পালন করি। কিন্তু স্বৈরাচারের মন গলেনি।

সংকট নিরসনে বিগত ২ বছর যাবৎ আমরা নিজ অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মসূচি পালন করে আসছি। করোনা কালীন সময়ে সরকার তথা কৃষকের পাশে থেকে ধান কাটা, বিনামূল্যে শিশুদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, মশক নিধন কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো, টিউশনির টাকায় এতিম শিশুদের খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে পাঠ্যদান, করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাস আয়োজনসহ রাজপথে মানব বন্ধন, জেলায় জেলায় মানব বন্ধন অবস্থান কর্মসূচি, জাতীয় প্রেসক্লাবে টানা ৫৭দিন আন্দোলনসহ অনসন কর্মসূচি পালন করি। তার ধারাবাহিকতায় আমরা কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

২৭ নভেম্বর- ২০২৪ইং, রোজ বুধবার, সময় সকাল ৯.০০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন কর্মসূচি সফল করি। আমরা মানব বন্ধন কর্মসূচি শেষ করে, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের স্মরক লিপি দিতে সক্ষম হই ১। প্রধান উপদেষ্টা ২।শিক্ষা উপদেষ্টা ৩।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা ৪। শিক্ষা সচিব ৫। গণশিক্ষা সচিব ৬। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা ৭। জনপ্রশাসন সচিব ৮। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা ৯। মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। (স্মারক লিপি দেওয়া শেষ করি ০২-১২-২০২৪ইং তারিখ) স্মারক লিপি দেওয়ার পর আমরা সন্তোষ জনক ফল না পেয়ে, আমরা সিদ্ধান্ত নেই ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ইং রোজ রবিরার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মিরপুর-২, ঢাকা। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করি। এরপরও যদি আমরা অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছ থেকে আমরা কোনো সঠিক সমাধান না পেয়ে ০৭মে-২০২৫ ইং রোজ-বুধবার আবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষনা করি। আমরা ব্লকেট কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো, যদি আমাদের না মেনে নেওয়া হয়। এই আন্দোলন শুরু হয়-২০২০ সালে এখন চলমান আছে। আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারের মন্ত্রী জাকির হোসেনের কারনে আমরা নিয়োগ হতে বঞ্চিত হই ৬১ জেলার প্রার্থীরা।

img

৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত :  ১৮:১৮, ১৮ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষার লিখিত অংশের ফলাফল প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার (১৮ জুন)  রাতে পিএসসির ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) এই ফল প্রকাশ করা হয়। 

এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৮ জন। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গত বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। গত বছরের ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় পাস করেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন।

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন।

পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৪।

শিক্ষা এর আরও খবর