img

ইসরায়েলের কাছ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে ভারত!

প্রকাশিত :  ১১:২২, ০৯ মে ২০২৫

ইসরায়েলকে অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী করছে ভারত!

 ইসরায়েলের কাছ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে ভারত!

পাক-ভারত যুদ্ধে আলোচনায় ফিলিস্তিনের গাজায় অসহায় নিরীহ মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালানো ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। সম্প্রতি ভারত, পাকিস্তানে হামলা চালাতে ব্যবহার করেছে ইসরায়েলের তৈরি মনুষ্যবিহীন হারোপ ড্রোন। ১৫০ কোটি টাকা মূল্যের এক-একটি ড্রোন অত্যন্ত উচ্চগতির এবং নির্ভূলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পাকিস্তান এই হারোপ ড্রোনের কমপক্ষে ২৫টি ভূপাতিত করার দাবি করেছে। এরপরই মূলত আলোচনায় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ঠিক কি পরিমাণ অস্ত্র কিনেছে ভারত? ইসরায়েলের তৈরি কী কী যুদ্ধাস্ত্র ও সারঞ্জাম রয়েছে নরেন্দ্র মোদির কাছে?

ভারত শুধু গত এক দশকেই ইসরায়েলের কাছে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করেছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে রাডার, ড্রোন, মিসাইল এবং অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম । ভারত, ইসরায়েলের কাছে এসব যুদ্ধাস্ত্র কিনে ইসরায়েলকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করেছে। ইহুদি রাষ্ট্র দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের সাধারণ নিরীহ মুসলমানদের ওপর নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে গণহত্যা করছে, এসব জানার পরও নরেন্দ্র মোদির সরকার শুধুমাত্র গত ১০ বছরেই ৪০ হাজার কোটি টাকার এই যুদ্ধ সারঞ্জাম ইসরায়েলের কাছে কিনেছে।

কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী মোদি ভারতের জনগণের কাছেই মুসলিম গণহত্যার কারণে কসাই উপাধী পেয়েছে। কসাই মোদি যেনো মুসলিম নিধনের ছকে নেমেছে এবার। ইসরায়েলের কাছে প্রকাশ্য চুক্তিতেই ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র কিনেছে। যদিও বিভিন্ন সূত্র বলছে এটি আরও কয়েকগুন হবে। এদিকে ভারতের আরএসএস সংগঠনের সদস্যরা ইসরায়েলের হয়ে ফিলিস্তিনিদের নিধনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। আরএসএস হলো নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির আদর্শে আদর্শিত হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন। যারা সবসময়ই ইসরায়েলকে সাপোর্ট করে আসছে। যদিও ভারত কখনো আরএসএস এর ফিলিস্তিনের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে হ্যাঁ বা না কিছুই বলেনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত কিছু ছবি ও ভিডিও দেখে স্পষ্ট যে আরএসএস এর সদস্যরা সরাসরি মুসলিম নিধনের মিশনে ইসরায়েলের সাথে এক হয়ে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ করছে।

কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী মোদি সরকারের ইসরায়েলের কাছে কেনা রাডার, ড্রোন, মিসাইল এবং অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে, হারোপ ড্রোন, বারাক-৮ মিসাইল সিস্টেম, স্পাইক অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল, হেরন ও সার্চার ড্রোন, ফ্যালকন এওয়াকস সিস্টেম, স্পাইডার এয়ার ডিফেন্স ও নজরদারি সরঞ্জাম। মোদি ইসরায়েলের কাছে এসমস্ত অস্ত্র কিনে ইসরায়েলকে সরাসরি সাহায্য করেছে অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী হতে। সেই অর্থ ব্যবহার করেই গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের নারকীয় গণহত্যার মিশনে নেমেছে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার। আর এদিকে মোদিও কোন প্রমাণ ছাড়াই কাশ্মীর হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে তার বদলা নেওয়ার নাম করে পাকিস্তানের সাধারণ মুসলমানদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। জঙ্গি আস্তানায় হামলা চালানোর কথা বললেও ভারতীয় সেনারা হামলা করছে মুসলামানদের ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ আর মাদ্রাসায়। এ যেনো ইসরায়েলের মতই মুসলিম নিধনের নয়া মিশন।

img

ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত :  ০৭:২২, ১৭ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২৩, ১৭ জুন ২০২৫

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৮ জনই ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে ৩৮ জন দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতর্কিত স্থানগুলোতে ত্রাণ আনতে যান তারা।
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পরিচালিত জিএইচএফের কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। গাজা কর্তৃপক্ষ ও সমালোচকেরা এই ত্রাণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ আখ্যা দিয়েছেন। জিএইচএফ গত ২৭ মে থেকে কার্যক্রম শুরু করার পর এসব স্থানে ত্রাণ নিতে গিয়ে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ।  

ইরানের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিনিময়ের মধ্যেও ইসরাইলি বাহিনী গাজায় তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। 

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় ৫৫ হাজার ৩৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা এক লাখের বেশি। এ ছাড়া ২০ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর