অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস

img

ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

প্রকাশিত :  ০৫:৪৬, ১০ মে ২০২৫

ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। ভারত এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছিল।

পাকিস্তানের দাবি, অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুসের অংশ হিসেবে তারা ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার আদমপুরে অবস্থিত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করেছে। 
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, দেশটির বিমান বাহিনী তাদের প্রতিশোধমূলক হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে একটি জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান গুরুতর আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। এস-৪০০ সিস্টেমটি অত্যাধুনিক। এটির মূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। যা ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কৌশলগত সম্পদের মধ্যে একটি ছিল।
অবশ্য গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ভারত মিসাইল হামলা চালানোর পর থেকেই একের পর এক দাবি করছে পাকিস্তান। প্রথমে তারা পাকিস্তানের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। পরে ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করে। যদিও এসব দাবির বিষয়ে ভারত এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি। তবে বিবিসি ভারতের রাফাল বিমান ভূপাতিত করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছিল।
এদিকে শুক্রবার রাতে ভারতের ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালানোর দাবি করেছে পাকিস্তান। অবশ্য পাকিস্তান এমন দাবি করলেও ভারত এসব দাবির কথা স্বীকার করেনি।
এই দাবি ছাড়াও ভারতের শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার দাবি করেছে পাকিস্তান। তাদের দাবি সাইবার হামলা করেছে তারা। যদিও বিবিসি এসব দাবির সত্যতা এখন পর্যন্ত যাচাই করতে পারেনি। আর ভারতের দিক থেকেও এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য আসেনি।
তবে ক্ষমতাসীন বিজেপির ওয়েবসাইট ভারতে দেখা যাচ্ছে। যাতে পরিষ্কার এই ওয়েবসাইটটি এখনো সাইবার হামলার শিকার হয়নি।
তবে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারত শাসিত কাশ্মীরে নিহত হয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

মিয়ানমারে উলফার ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলা

প্রকাশিত :  ১৪:৫৬, ১৩ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) অন্তত চারটি ক্যাম্পে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার ভোরের দিকে শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের সামরিক বাহিনীর চালানো এই হামলায় উলফার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এনইর খবরে বলা হয়েছে, আসামে উলফার চারটি ক্যাম্পকে নিশানা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতে নিষিদ্ধ এই সংগঠন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত উলফার একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটিতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানা হয়েছে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, হামলায় উলফার কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। নিহতদের মধ্যে উলফার অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংগঠনটির সামরিক শাখার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নয়ন অসমও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদ্রোহী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম-ইন্ডিপেনডেন্টের (উলফা-আই) মিয়ানমারে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

রোববার ভোরের দিকে মিয়ানমারে গোষ্ঠীটির পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে উলফা-আই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘‘সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চালানো এই হামলায় উলফা-আইয়ের অন্তত ১৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৯ জন।’’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উলফা-আইয়ের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নয়ন মেধি ওই হামলায় নিহত হয়েছেন। মণিপুরের বিদ্রোহী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রাজনৈতিক শাখা রেভল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্টের (আরপিএফ) কয়েকজন সদস্যও হতাহত হয়েছেন।

যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত দেশটির বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, এ ধরনের কোন অভিযানের তথ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে নেই।