img

রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন, গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত :  ০৮:২৫, ১১ মে ২০২৫

রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন, গেজেট প্রকাশ

রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

শনিবার (১০ মে) রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ গেজেট জারি করা হলে রোববার (১১ মে) বিষয়টি জানা গেছে।

প্রকাশিত এই গেজেটে বলা হয়, সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।

সংশোধিত আইনের আওতায় কোনো সংগঠন যেমন রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী কোনো সত্তা যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত থাকে বলে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়, তাহলে ওই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল করা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনাল পাবে।

এ বিষয়ে শনিবার (১০ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।

নতুন আইন অনুযায়ী, সংগঠন সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে সহায়তা, নির্দেশনা, প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা অংশগ্রহণ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

জাতীয় এর আরও খবর

img

সরকার দক্ষিণ সিটির সেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে : ‘আমরা ঢাকাবাসী’র চলমান আন্দোলনে ইশরাক

প্রকাশিত :  ১১:৪৪, ১৮ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩, ১৮ জুন ২০২৫

সরকার বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সেবায় বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, আমরা নগরবাসীর সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, অথচ সরকার থেকেই সেই সেবায় বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে।

বুধবার (১৮ জুন) নগর ভবনে কর্মচারী ও ‘আমরা ঢাকাবাসী’র চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেছেন, সরকার বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সেবায় বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, আমরা নগরবাসীর জরুরি সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, অথচ সরকার থেকেই সেই সেবায় বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে।  

বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনে কর্মচারী ও 'আমরা ঢাকাবাসী'র চলমান আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নগর ভবনের ভেতরে কর্মচারীদের মাঝে 'ফগিং মেশিন' দিয়ে মশক নিধন কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন তিনি। 

ইশরাক বলেন, 'আমাদের আন্দোলন চলমান থাকা অবস্থাতেও আমরা জরুরি সেবাগুলো চালু রেখেছি কিন্তু সরকার থেকে—বিশেষ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের কাজ করতে নিষেধ করেছেন বলে শুনতে পেরেছি।' 

তিনি বলেন, 'গতকাল জানতে পেরেছি, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও সচিব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা জন্ম নিবন্ধন বা নাগরিক সনদে স্বাক্ষর না করেন। একটা ন্যাক্কারজনক কাজ করতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে সেবায় বিঘ্ন ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপানোর।' 

ইশরাক বলেন, 'গতকাল আসিফ মাহমুদ বলেছেন যে, আমি নাকি আইন লঙ্ঘন করেছি এবং ফৌজদারি অপরাধ করেছি। আমি তাকে বলতে চাই আমি যদি অপরাধই করে থাকি তাহলে আপনারা সরকারে থেকেও কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছেন না?' 

তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছেন না আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার? আমরা এসব ভয় পাই না। খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭ বছর আমরা যুদ্ধ করেছি লড়াই করেছি, জেল খেটেছি, গুম হয়েছি। যত ধরনের নির্যাতন আছে আমরা সহ্য করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি।' 

উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে ইশরাক আরও বলেন, 'আপনাদের মতো শিশু উপদেষ্টা যদি আমাদের সাথে কথা বলতে চায়, সেই কথা বলাও আমাদের জন্য অবমাননাকর। আজকে যা কিছু হচ্ছে সকল কিছুর জন্যই এই বর্তমান সরকারকে দায়ী থাকতে হবে। সরকার এসকল লোকজন দিয়ে কথা বলাচ্ছে এবং আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন ও খাটো করার চেষ্টা করছে।' 

উল্লেখ্য, টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মচারী, সাবেক কাউন্সিলর, সমর্থকদের নিয়ে আজ (১৭ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে সভা করেছেন ইশরাক হোসেন। 

যদিও এখনো তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেননি, তবুও প্রথম দিনের সভায় টাঙানো ব্যানারে তাকে 'মাননীয় মেয়র' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে আজকের ব্যানারে তার নামের আগে লেখা ছিল 'নির্বাচিত মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন'।