img

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে লন্ডনে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১৮:৫৪, ১৫ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে লন্ডনে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক ইউনূস সরকার দ্বারা অবৈধভাবে উপমহাদেশের প্রাচীন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী, গণমানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্দোগে লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে গত ১১ ই মে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। 

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী  আব্দুর রহমান, সাবেক মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ার উজ্জামান চৌধুরী, প্রাক্তন এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি  হরমুজ আলী, সহ সভাপতি শাহ আজিজুর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী,  মাসুক ইবনে আনিস, আস ম মিসবাহ, শাহ শামীম আহমদ , সারব আলী, তারিফ আহমদ, সৈয়দ সুরুক আলি,ও  কাউসার চৌধুরীসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে ব্রিকলেনের রাস্তায় এক বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রাজপথ, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনার বজ্রনিনাদে মুখরিত হয় সমাবেশস্থল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ড. ইউনুস, ও আসিফ নজরুলদের ব্রিটেনে অবাঞ্চিত ঘোষনা, আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করে দিলেই শেষ নয়, আওয়ামীলীগ আর দিগুন শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে, অতীত ইতিহাস তাই বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে বাংলার জনগণের সাথ প্রবাসীরাও হতবাক ও ক্ষুব্ধ। আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, আজ স্বাধীন দেশে সেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে জনগণের ম্যান্ডেটহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলার মাটিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উর্বর ভূমিতে পরিণত করতে চায়। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ মানে হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও মূলবোধকে নির্বাসিত করা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের নগ্ন উল্লম্ফনকে প্রশয় দেওয়া। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে বিশ্বময় প্রবাসীরা। 

বাংলাদেশ আজ মহা সংকটে পরিনত হয়েছে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ’৭১ এর পরাজিত শক্তি, ভিনদেশিদের যোগসাজশে বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। মেটিকুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে সবকিছু ধ্বংস করে চলেছে। 

এদিকে যুক্তরাজ্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গত ১২ ই মে বৃটেনের কার্ডিফ শহরে  আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ইউকে ওয়েলস আওয়ামী লীগের  সভাপতি   মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক  এম.এ.মালিক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায়  সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম নজরুল, সহ সভাপতি এস এ রহমান মধু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মোসাদ্দেক আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক রুবেল, দফতর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আহমদ শিবুল, সাবেক যুবনেতা আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, সাবেক ছাত্রনেতা আকতার উজ্জামান কোরেশি নিপু, সাবেক যুবনেতা আসকর আলী, ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, সহ সভাপতি রকিবুর রহমান, ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  এ বি রুনেল, সহ  আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রাক্তন ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন। 

বক্তারা  বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় জারি করা এই নিষেধাজ্ঞাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর শঙ্কা তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ এই পদক্ষেপকে “#অবৈধ” ও “#অসাংবিধানিক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই নিষেধাজ্ঞাকে বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নিয়ে এই সিদ্ধান্তকে “বিভেদ সৃষ্টিকারী” এবং “গণতান্ত্রিক নীতির উপর আঘাত” বলে অভিহিত করেছে, যা সমাজে বিভক্তি বাড়াচ্ছে এবং ভিন্নমত দমন করছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

স্বাদ, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে ব্রিটেনের কার্ডিফে বিগ-হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল সম্পন্ন

প্রকাশিত :  ১৬:৫৬, ১৭ জুন ২০২৫

কার্ডিফ থেকে সাজেল আহমেদ: হালাল খাবার হলো সেই সব খাদ্য, যা কোরআন ও হাদিসে নিষিদ্ধ করা হয়নি এবং যা পবিত্র ও উপকারী। গণতন্ত্রের মাতৃভূমি খ্যাত মাল্টিকালচারাল ও মাল্টিন্যাশনাল শহর  ব্রিটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরের কার্ডিফে-বে ওয়েলস মেলোনিয়াম সেন্টারে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিবছরের মতো গত ১৪ জুন ( শনিবার) ও ১৫ জুন (রোববার) দু\'দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিগ-হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল ২০২৫।

মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবনাচার ও সংস্কৃতি সবার কাছে তুলে ধরতে তৃতীয়  বছরের মতো এবারকার চমৎকার  আয়োজনে বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে প্রচুর লোকের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। 

স্বাদ, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির মিলনমেলার মূল আয়োজক ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর, ব্রিটেনে বেড়ে উঠা নব প্রজন্মের সন্তান সাজ হারিছ মেলা সফল করতে সহযোগিতাকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই  উৎসব শুধু খাবারের স্বাদ নয়, বরং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনও দৃঢ় করেছে। 

আগামী বছর ও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। 

ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ওয়েলস বাংলা নিউজ এর সম্পাদক, কমিউনিটি লিডার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের বৃহত্তম হালাল খাবার উৎসব যুব সংগঠক সাজ হারিছ এর  টিমের সাবিক ব্যাবস্থাপনায় আয়োজিত এই হালাল উৎসবটি শুধু বাংলাদেশ ও মুসলিম কমিউনিটি নয়, সকল ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ হালাল খাবারের স্বাদ নেওয়া সহ সব কমিউনিটিকে একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এ যেনো এক প্রাণের বন্ধন বলে উল্লেখ করে এই সব ইভেন্টে আগামীতেও কমিউনিটির সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। 

উল্লেখ্য যে, বিগ -হালাল ফুড  ফেস্টিভ্যাল হলো ব্রিটেনের কার্ডিফের একটি বার্ষিক খাদ্য উৎসব, যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক হালাল রেস্তোরাঁ, ফুড ট্রাক এবং শেফদের তৈরি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সংস্কৃতির হালাল ডিশ যেমন বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান কুজিন, পাকিস্তানি, আরবি, তুর্কি, দক্ষিণ এশীয়, উত্তর আফ্রিকান এবং কানাডিয়ান ফিউজন  হালাল খাবারের প্রেমিকরা একত্রিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রান্নার স্বাদ উপভোগ করেন।

এছাড়াও মেলায় রকমারী স্টলের পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনের সুযোগসহ শিশুদের জন্য গেমস ও ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কশপ, হস্তশিল্প ও ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী সহ এই ফেস্টিভ্যালের একটি অংশ দান ও স্থানীয় চ্যারিটিকে সমর্থন করে। অনেক সময় ফুড ড্রাইভ বা অনাথ আশ্রমের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়। 


কমিউনিটি এর আরও খবর